ঢাকা : বাংলাদেশে সাভারে বিধ্বস্ত হওয়া রানা প্লাজার ধ্বসংস্তূপ থেকে ১৭ দিনের মাথায় রেশমা বেগমের উদ্ধারের ঘটনা নিয়ে এবার অনুসন্ধান করেছে বিবিসি। শুক্রবার বিশ্ববিখ্যাত এই গণমাধ্যম তাদের অনলাইন সংস্করণ এ সংন্ত্রান্ত তথ্য তুলে ধরেন। বিবিসি বিবিসি বাংলা বিভাগের ঢাকার আকবর হোসেন প্রতিবেদনটি তৈরি করেন। ডিনিউজ এর পাঠকদের জন্য রিপোর্টটি প্রচার করা হল।
বাংলাদেশে সাভারে বিধ্বস্ত হওয়া রানা প্লাজার ধ্বসংস্তূপ থেকে ১৭ দিনের মাথায় রেশমা বেগমের উদ্ধারের ঘটনা বিশ্ব গণমাধ্যমে ব্যাপক আলোড়ন তুলেছিল।
কিন্তু লন্ডন ভিত্তিক পত্রিকা সানডে মিরর রেশমাকে উদ্ধারের ঘটনাকে ‘সাজানো নাটক’ বলে বর্ণনা করার পর এনিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে বাংলাদেশের সেনাবাহিনী। এনিয়ে এখন নানা আলোচনা চলছে।
লন্ডনের সানডে মিরর রেশমাকে উদ্ধারের ঘটনাটিকে ‘বানোয়াট’ বলে বর্ণনা করার পর এনিয়ে বাংলাদেশের সংসদেও সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে তীব্র বাক-বিতন্ডা হয়।
সানডে মিরর পত্রিকার প্রতিবেদনের মূল ভিত্তি ছিল বাংলাদেশের দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার অনলাইন সংস্করনের একটি প্রতিবেদন।
সানডে মিরর দাবি করছে রেশমাকে উদ্ধারের আগের দিন আশপাশের বাসিন্দাদের সরিয়ে দেয়া হয়েছিল এবং গণমাধ্যমের জন্য ভিডিও চিত্র ধারনের উপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছিল।
আসলে কি ঘটেছিল? সেটি জানতে গিয়েছিলাম রানা প্লাজার কারখানা যেখানে ছিল তার কয়েকশ গজ দূরে একটি বাড়িতে। সেই বাড়িটিতে থাকেন হামিদা বেগম। রানা প্লাজা বিধ্বস্তের পর দিন-রাত নিজের বাসা থেকেই উদ্ধার তৎপরতা দেখেছেন তিনি।
হামিদা বেগম বলেন ,“প্রথম থেইকা শেষ পর্যন্ত সব আমরা দেখছি। ২৪ ঘন্টাই আমরা বিল্ডিংয়ে ছিলাম। আমরা সময় জানালা দিয়া সবকিছু দেখছি।” তিনি বলেন রেশমাকে উদ্ধারের আগের দিনও তারা বাড়িতেই ছিলেন। বাড়ি ছেড়ে দিতে কেউ কোন চাপ কিংবা অনুরোধ করেনি বলেও হামিদা বেগম উল্লেখ করেন।
একই বাড়িতে থাকেন রোজিনা আক্তার। তাকেও জিজ্ঞেস করেছিলাম রেশমাকে উদ্ধারের আগের দিন কোন ধরনের অস্বাভাবিক তৎপরতা তার নজরে এসেছিল কিনা?
রোজিনা আক্তার বলেন, “বাসা থেকে জানালা দিয়ে দেখতাম কীভাবে লাশ নিয়ে যাচ্ছে, কীভাবে সবকিছু সরানো হচ্ছে। সবকিছু দেখতাম।” রোজিনা বলেন রেশমাকে উদ্ধারের আগের দিন তিনি বাসায় ছিলেন। বাসা ছেড়ে দেবার জন্য কোন অনুরোধ কিংবা চাপ আসেনি বলেও উল্লেখ করেন রোজিনা।
রানা প্লাজা বিধ্বস্ত হবার পর থেকেই সেখানে ২৪ ঘন্টা অবস্থান করেন দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমের অনেক সাংবাদিক। সরাসরি সম্প্রচার করেছে বাংলাদেশের টেলিভিশন স্টেশনগুলো। কিন্তু সানডে মিরর বলছে রেশমাকে উদ্ধারের ২৪ ঘন্টা আগে গণমাধ্যমের জন্য ভিডিও চিত্র ধারনের উপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছিল।
কিন্তু এধরনের কোন পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হয়নি বলে জানালেন আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা এসোসিয়েটেট প্রেসের বাংলাদেশ প্রতিনিধি জুলহাস আলম। তিনি বলেন বিধ্বস্ত রানা প্লাজার সামনে থেকে সংবাদ কভার করা কিংবা অবাধ বিচরনের ক্ষেত্রে তার কোন সমস্যায় পড়তে হয়নি।
সানডে মিরর যে দিন-ক্ষনের কথা বলছে তখন সেখানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের ২৪ঘন্টার সংবাদ-ভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল সময় টেলিভিশনের সংবাদদাতা সারোয়ার রেজা জিমি।
তিনি বলেন, “ রেশমাকে উদ্ধারের আগে রাত পৌনে একটা পর্যন্ত আমি সেখানে ছিলাম। আমরা স্বাধীনভাবে কাজ করেছি এবং অঘোষিতভাবেও কোন তৎপরতা চোখে পড়েনি।” মি: জিমি বলেন ঘটনাস্থলেও কাছাকাছি গিয়ে চিত্র ধারন করতেও তারা কোন বাধা পাননি।
লন্ডনের সানডে মিরর এবং বাংলাদেশের আমার দেশ পত্রিকার প্রতিবেদন অনুযায়ী রানা প্লাজা বিধ্বস্তের পর সেখান থেকে এক সহকর্মীর সাথে উদ্ধার পেয়ে রেশমা নিকটস্থ এনাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি হয় এবং দুইদিন সেখানে অবস্থান করে। এই হাসপাতালে শতশত আহত মানুষেকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছিল।
কিন্তু এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক(জনসংযোগ) জাহিদুর রহমান বলেন, রেশমা তাদের হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন, এরকম কোন তথ্য তাদের কাছে নেই।
কয়েকদিন আগে এক সংবাদ সম্মেলনে মি: রহমান বলেন , “আমাদের হাসপাতালে দুইদিন ভর্তি থাকলে তাকে অবশ্যই নিবন্ধনের আওতায় আসতে হতো।”
রেশমাকে উদ্ধারের বিষয়টি নিয়ে দুই একটি খবরের কাগজে সন্দেহ কিংবা প্রশ্ন উত্থাপন করা হলেও সাধারণ মানুষের কারও কারও মধ্যেও এনিয়ে নানা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে।এসব সন্দেহ আর প্রশ্নের তৈরি হচ্ছে মূলত লোকমুখে কথার উপর ভিত্তি করেই।-বিবিসি
বাংলাদেশে সাভারে বিধ্বস্ত হওয়া রানা প্লাজার ধ্বসংস্তূপ থেকে ১৭ দিনের মাথায় রেশমা বেগমের উদ্ধারের ঘটনা বিশ্ব গণমাধ্যমে ব্যাপক আলোড়ন তুলেছিল।
কিন্তু লন্ডন ভিত্তিক পত্রিকা সানডে মিরর রেশমাকে উদ্ধারের ঘটনাকে ‘সাজানো নাটক’ বলে বর্ণনা করার পর এনিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে বাংলাদেশের সেনাবাহিনী। এনিয়ে এখন নানা আলোচনা চলছে।
লন্ডনের সানডে মিরর রেশমাকে উদ্ধারের ঘটনাটিকে ‘বানোয়াট’ বলে বর্ণনা করার পর এনিয়ে বাংলাদেশের সংসদেও সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে তীব্র বাক-বিতন্ডা হয়।
সানডে মিরর পত্রিকার প্রতিবেদনের মূল ভিত্তি ছিল বাংলাদেশের দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার অনলাইন সংস্করনের একটি প্রতিবেদন।
সানডে মিরর দাবি করছে রেশমাকে উদ্ধারের আগের দিন আশপাশের বাসিন্দাদের সরিয়ে দেয়া হয়েছিল এবং গণমাধ্যমের জন্য ভিডিও চিত্র ধারনের উপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছিল।
আসলে কি ঘটেছিল? সেটি জানতে গিয়েছিলাম রানা প্লাজার কারখানা যেখানে ছিল তার কয়েকশ গজ দূরে একটি বাড়িতে। সেই বাড়িটিতে থাকেন হামিদা বেগম। রানা প্লাজা বিধ্বস্তের পর দিন-রাত নিজের বাসা থেকেই উদ্ধার তৎপরতা দেখেছেন তিনি।
হামিদা বেগম বলেন ,“প্রথম থেইকা শেষ পর্যন্ত সব আমরা দেখছি। ২৪ ঘন্টাই আমরা বিল্ডিংয়ে ছিলাম। আমরা সময় জানালা দিয়া সবকিছু দেখছি।” তিনি বলেন রেশমাকে উদ্ধারের আগের দিনও তারা বাড়িতেই ছিলেন। বাড়ি ছেড়ে দিতে কেউ কোন চাপ কিংবা অনুরোধ করেনি বলেও হামিদা বেগম উল্লেখ করেন।
একই বাড়িতে থাকেন রোজিনা আক্তার। তাকেও জিজ্ঞেস করেছিলাম রেশমাকে উদ্ধারের আগের দিন কোন ধরনের অস্বাভাবিক তৎপরতা তার নজরে এসেছিল কিনা?
রোজিনা আক্তার বলেন, “বাসা থেকে জানালা দিয়ে দেখতাম কীভাবে লাশ নিয়ে যাচ্ছে, কীভাবে সবকিছু সরানো হচ্ছে। সবকিছু দেখতাম।” রোজিনা বলেন রেশমাকে উদ্ধারের আগের দিন তিনি বাসায় ছিলেন। বাসা ছেড়ে দেবার জন্য কোন অনুরোধ কিংবা চাপ আসেনি বলেও উল্লেখ করেন রোজিনা।
রানা প্লাজা বিধ্বস্ত হবার পর থেকেই সেখানে ২৪ ঘন্টা অবস্থান করেন দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমের অনেক সাংবাদিক। সরাসরি সম্প্রচার করেছে বাংলাদেশের টেলিভিশন স্টেশনগুলো। কিন্তু সানডে মিরর বলছে রেশমাকে উদ্ধারের ২৪ ঘন্টা আগে গণমাধ্যমের জন্য ভিডিও চিত্র ধারনের উপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছিল।
কিন্তু এধরনের কোন পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হয়নি বলে জানালেন আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা এসোসিয়েটেট প্রেসের বাংলাদেশ প্রতিনিধি জুলহাস আলম। তিনি বলেন বিধ্বস্ত রানা প্লাজার সামনে থেকে সংবাদ কভার করা কিংবা অবাধ বিচরনের ক্ষেত্রে তার কোন সমস্যায় পড়তে হয়নি।
সানডে মিরর যে দিন-ক্ষনের কথা বলছে তখন সেখানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের ২৪ঘন্টার সংবাদ-ভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল সময় টেলিভিশনের সংবাদদাতা সারোয়ার রেজা জিমি।
তিনি বলেন, “ রেশমাকে উদ্ধারের আগে রাত পৌনে একটা পর্যন্ত আমি সেখানে ছিলাম। আমরা স্বাধীনভাবে কাজ করেছি এবং অঘোষিতভাবেও কোন তৎপরতা চোখে পড়েনি।” মি: জিমি বলেন ঘটনাস্থলেও কাছাকাছি গিয়ে চিত্র ধারন করতেও তারা কোন বাধা পাননি।
লন্ডনের সানডে মিরর এবং বাংলাদেশের আমার দেশ পত্রিকার প্রতিবেদন অনুযায়ী রানা প্লাজা বিধ্বস্তের পর সেখান থেকে এক সহকর্মীর সাথে উদ্ধার পেয়ে রেশমা নিকটস্থ এনাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি হয় এবং দুইদিন সেখানে অবস্থান করে। এই হাসপাতালে শতশত আহত মানুষেকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছিল।
কিন্তু এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক(জনসংযোগ) জাহিদুর রহমান বলেন, রেশমা তাদের হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন, এরকম কোন তথ্য তাদের কাছে নেই।
কয়েকদিন আগে এক সংবাদ সম্মেলনে মি: রহমান বলেন , “আমাদের হাসপাতালে দুইদিন ভর্তি থাকলে তাকে অবশ্যই নিবন্ধনের আওতায় আসতে হতো।”
রেশমাকে উদ্ধারের বিষয়টি নিয়ে দুই একটি খবরের কাগজে সন্দেহ কিংবা প্রশ্ন উত্থাপন করা হলেও সাধারণ মানুষের কারও কারও মধ্যেও এনিয়ে নানা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে।এসব সন্দেহ আর প্রশ্নের তৈরি হচ্ছে মূলত লোকমুখে কথার উপর ভিত্তি করেই।-বিবিসি
খবর বিভাগঃ
বিশেষ খবর
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়