ঢাকা : জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির গোলাম আযমের বিরুদ্ধে পাঁচ ধরনের মানবতাবিরোধী অপরাধের ৬১টি অভিযোগ গঠন করেন ট্রাইব্যুনাল। অপরাধের পাঁচটি ধরন হলো- মানবতাবিরোধী অপরাধের ষড়যন্ত্র, পরিকল্পনা, উসকানি, সহযোগিতা এবং হত্যা ও নির্যাতনের অভিযোগ। দীর্ঘ তদন্ত শেষে সুচারুভাবে অভিযোগগুলো উপস্থাপন করেন তদন্ত কর্মকর্তা এএসপি মতিউর রহমান। এসব অভিযোগ প্রমাণের জন্য বিভিন্ন তথ্য- উপাত্তের পাশাপাশি ট্রাইব্যুনালে ১৭ জন সাক্ষী হাজির করে প্রসিকিউশন (রাষ্ট্রপক্ষ)।
ষড়যন্ত্র : গোলাম আযমের বিরুদ্ধে প্রথম অভিযোগ হলো, তিনি মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনে ষড়যন্ত্র করেছেন। এ ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি ঘটনার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে, ১৯৭১ সালের ৪ এপ্রিল গোলাম আযম, নূরুল আমীন, মৌলভী ফরিদ আহমেদ, খাজা খয়েরউদ্দিন, এ কে এম শফিকুল ইসলাম, মাওলান নূরুজ্জামান, হামিদুল হক চৌধুরী, মোহসিন উদ্দিন আহমেদ, এ টি সাদীসহ ১২ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের 'খ' অঞ্চলের সামরিক আইন প্রশাসক জেনারেল টিক্কা খানের সঙ্গে দেখা করে 'নাগরিক শান্তি কমিটি' গঠনের ষড়যন্ত্র করেন। পূর্ব সাক্ষাতের সূত্রধরে ৬ এপ্রিল তিনি আবারও টিক্কা খানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং ওই ষড়যন্ত্রে অংশ নেন। ১৯ জুন এই ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতায় তিনি পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডিতে দেশটির প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের সঙ্গে উচ্চপর্যায়ের একটি বৈঠক করেন তিনি। এরপর ১ ডিসেম্বর রাওয়ালপিন্ডিতে আবারও ইয়াহিয়া খানের সঙ্গে বৈঠক করেন। এ বৈঠকে বাংলাদেশের মুক্তিকামী মানুষকে নিশ্চিহ্ন করতে রাজাকার বাহিনীর শক্তি বাড়ানোর পরামর্শ দেন তিনি।
পরিকল্পনা : এ পর্বে গোলাম আযমের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের পরিকল্পনার অভিযোগ আনা হয়েছে। ৪ এপ্রিল টিক্কা খানের সঙ্গে বৈঠকে সারা দেশে শান্তি কমিটি গঠনের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ৯ এপ্রিল তিনি ও অন্যরা ঢাকায় ১৪০ সদস্যের নাগরিক শান্তি কমিটি গঠন করেন। ৪ মে রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডে এ কিউ এম শফিকুল ইসলামের বাসভবনে খাজা খয়েরউদ্দিনের সভাপতিত্বে শান্তি কমিটির সভা হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন গোলাম আযম। বৈঠকে ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন ইউনিয়নে শান্তি কমিটি গঠনের বিষয়েও পরিকল্পনা করা হয়।
উসকানি : ৭ এপ্রিল এক যুক্ত বিবৃতিতে গোলাম আযম স্বাধীনতাকামী মানুষকে 'ভারতীয় অনুপ্রবেশকারী' হিসেবে উল্লেখ করেন। ২২ এপ্রিল শান্তি কমিটির সভা শেষে এক বিবৃতিতে তিনি অধীনস্থ সংগঠনগুলোর সদস্যদের 'দেশপ্রেমিক নাগরিক' উল্লেখ করে দেশের সাধারণ নাগরিকদের নির্মূলের আহবান জানান। ১৭ মে ঢাকার এক সভায় স্বাধীনতা আন্দোলনকে 'রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপ' ও মুক্তিযোদ্ধাদের 'বিশ্বাসঘাতক' উল্লেখ করে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর 'অপারেশন সার্চলাইট' নামের সেনা অভিযানের প্রশংসা করেন। ১৯৭১ সালের জুলাই ও আগস্টে দেশের বিভিন্ন এলাকায় আয়োজিত সভায় মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক ও উত্তেজনাকর বক্তব্য দেন তিনি। ১৪ আগস্ট পাকিস্তানের ২৫তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলে, ১৭ ও ২৩ আগস্ট দলীয় সভায় এবং ২৬ আগস্ট পেশোয়ারে অনুষ্ঠিত দলীয় অনুষ্ঠানে তিনি বিভিন্ন উসকানিমূলক বক্তব্য দেন। ১৭ সেপ্টেম্বর মোহাম্মদপুরের ফিজিক্যাল এডুকেশন সেন্টারে শিক্ষা গ্রহণরত রাজাকারদের শিবির পরিদর্শন করে তাদের সশস্ত্র হওয়ার আহ্বান জানান গোলাম আযম।
সহযোগিতা : এই পর্বে মানবতাবিরোধী অপরাধে সহযোগিতা বা সম্পৃক্ততার অভিযোগ আনা হয়। ৪ ও ৬ এপ্রিল টিক্কা খানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে গোলাম আযমসহ অন্যরা সহযোগিতার আশ্বাস দেন। ৯ এপ্রিল গোলাম আযমের সহযোগিতায় নাগরিক শান্তি কমিটি গঠিত হলে ১৫ এপ্রিল এর নাম পরিবর্তন করে কেন্দ্রীয় শান্তি কমিটি নামকরণ করা হয়। গোলাম আযম শান্তি কমিটির কার্যকরী কমিটির অন্যতম সদস্য ছিলেন। ১৮ জুন লাহোর বিমানবন্দরে গোলাম আযম বলেন, 'জনগণ সেনাবাহিনীর সঙ্গে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করতে চায়।' ১৯ জুন রাওয়ালপিন্ডিতে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তিনি সেনাবাহিনীকে সহযোগিতা ও মুক্তিযোদ্ধাদের মোকাবিলার জন্য রাজাকার, আলবদর, আলশামস বাহিনীকে অস্ত্র সরবরাহের আহ্বান জানান।
হত্যা ও নির্যাতন : এই পর্বে গোলাম আযমের বিরুদ্ধে হত্যা ও নির্যাতনের একটি ঘটনার কথা বলা হয়েছে। এ অভিযোগে বলা হয়, কুমিল্লার হোমনা থানার রামকৃষ্ণপুর গ্রামের সিরু মিয়া ১৯৭১ সালে ঢাকার মোহাম্মদপুর থানায় দারোগা হিসেবে কর্মরত ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে ২৮ মার্চ স্ত্রী আনোয়ারা বেগম ও ১৪ বছরের ছেলে আনোয়ার কামালকে নিয়ে তিনি কুমিল্লার নিজ বাড়িতে যান। সেখানে ভারতে যাতায়াতে শরণার্থীদের তিনি সাহায্য করতেন। ২৭ অক্টোবর সকালে ভারত যাওয়ার সময় কসবা থানার তন্তর চেকপোস্টের কাছে রাজাকারদের হাতে সিরু মিয়া ও তার ছেলেসহ ছয়জন ধরা পড়েন। রাজাকার ক্যাম্পে নিয়ে কয়েক দিন নির্যাতনের পর তাদের পাঠিয়ে দেওয়া হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া কারাগারে। স্বামী-সন্তানের ধরা পড়ার খবর পেয়ে সিরু মিয়ার স্ত্রী গোলাম আযমের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। গোলাম আযমের দুই ছেলের শিক্ষক ছিলেন সিরু মিয়ার ভগি্নপতি। তিনি গোলাম আযমের কাছে সিরু মিয়া ও তার ছেলেকে মুক্তি দিতে অনুরোধ করেন। গোলাম আযম ব্রাহ্মণবাড়িয়া শান্তি কমিটির নেতা পেয়ারা মিয়ার কাছে একটি চিঠি পাঠান। চিঠিতে সিরু মিয়া ও তার ছেলেকে হত্যার নির্দেশ ছিল। চিঠি পাওয়ার পর ঈদের দিন রাতে সিরু মিয়াসহ ৩৯ জনকে পাকিস্তানি সেনারা রাজাকার ও আলবদরদের সহযোগিতায় কারাগার থেকে বের করে নিয়ে পৈরতলা রেলব্রিজের কাছে নিয়ে যায়। সেখানে পাকিস্তানি সেনাদের গুলিতে ৩৮ জন মারা গেলেও প্রাণে বেঁচে যান একজন।--ডিনিউজ
ষড়যন্ত্র : গোলাম আযমের বিরুদ্ধে প্রথম অভিযোগ হলো, তিনি মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনে ষড়যন্ত্র করেছেন। এ ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি ঘটনার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে, ১৯৭১ সালের ৪ এপ্রিল গোলাম আযম, নূরুল আমীন, মৌলভী ফরিদ আহমেদ, খাজা খয়েরউদ্দিন, এ কে এম শফিকুল ইসলাম, মাওলান নূরুজ্জামান, হামিদুল হক চৌধুরী, মোহসিন উদ্দিন আহমেদ, এ টি সাদীসহ ১২ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের 'খ' অঞ্চলের সামরিক আইন প্রশাসক জেনারেল টিক্কা খানের সঙ্গে দেখা করে 'নাগরিক শান্তি কমিটি' গঠনের ষড়যন্ত্র করেন। পূর্ব সাক্ষাতের সূত্রধরে ৬ এপ্রিল তিনি আবারও টিক্কা খানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং ওই ষড়যন্ত্রে অংশ নেন। ১৯ জুন এই ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতায় তিনি পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডিতে দেশটির প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের সঙ্গে উচ্চপর্যায়ের একটি বৈঠক করেন তিনি। এরপর ১ ডিসেম্বর রাওয়ালপিন্ডিতে আবারও ইয়াহিয়া খানের সঙ্গে বৈঠক করেন। এ বৈঠকে বাংলাদেশের মুক্তিকামী মানুষকে নিশ্চিহ্ন করতে রাজাকার বাহিনীর শক্তি বাড়ানোর পরামর্শ দেন তিনি।
পরিকল্পনা : এ পর্বে গোলাম আযমের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের পরিকল্পনার অভিযোগ আনা হয়েছে। ৪ এপ্রিল টিক্কা খানের সঙ্গে বৈঠকে সারা দেশে শান্তি কমিটি গঠনের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ৯ এপ্রিল তিনি ও অন্যরা ঢাকায় ১৪০ সদস্যের নাগরিক শান্তি কমিটি গঠন করেন। ৪ মে রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডে এ কিউ এম শফিকুল ইসলামের বাসভবনে খাজা খয়েরউদ্দিনের সভাপতিত্বে শান্তি কমিটির সভা হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন গোলাম আযম। বৈঠকে ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন ইউনিয়নে শান্তি কমিটি গঠনের বিষয়েও পরিকল্পনা করা হয়।
উসকানি : ৭ এপ্রিল এক যুক্ত বিবৃতিতে গোলাম আযম স্বাধীনতাকামী মানুষকে 'ভারতীয় অনুপ্রবেশকারী' হিসেবে উল্লেখ করেন। ২২ এপ্রিল শান্তি কমিটির সভা শেষে এক বিবৃতিতে তিনি অধীনস্থ সংগঠনগুলোর সদস্যদের 'দেশপ্রেমিক নাগরিক' উল্লেখ করে দেশের সাধারণ নাগরিকদের নির্মূলের আহবান জানান। ১৭ মে ঢাকার এক সভায় স্বাধীনতা আন্দোলনকে 'রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপ' ও মুক্তিযোদ্ধাদের 'বিশ্বাসঘাতক' উল্লেখ করে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর 'অপারেশন সার্চলাইট' নামের সেনা অভিযানের প্রশংসা করেন। ১৯৭১ সালের জুলাই ও আগস্টে দেশের বিভিন্ন এলাকায় আয়োজিত সভায় মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক ও উত্তেজনাকর বক্তব্য দেন তিনি। ১৪ আগস্ট পাকিস্তানের ২৫তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলে, ১৭ ও ২৩ আগস্ট দলীয় সভায় এবং ২৬ আগস্ট পেশোয়ারে অনুষ্ঠিত দলীয় অনুষ্ঠানে তিনি বিভিন্ন উসকানিমূলক বক্তব্য দেন। ১৭ সেপ্টেম্বর মোহাম্মদপুরের ফিজিক্যাল এডুকেশন সেন্টারে শিক্ষা গ্রহণরত রাজাকারদের শিবির পরিদর্শন করে তাদের সশস্ত্র হওয়ার আহ্বান জানান গোলাম আযম।
সহযোগিতা : এই পর্বে মানবতাবিরোধী অপরাধে সহযোগিতা বা সম্পৃক্ততার অভিযোগ আনা হয়। ৪ ও ৬ এপ্রিল টিক্কা খানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে গোলাম আযমসহ অন্যরা সহযোগিতার আশ্বাস দেন। ৯ এপ্রিল গোলাম আযমের সহযোগিতায় নাগরিক শান্তি কমিটি গঠিত হলে ১৫ এপ্রিল এর নাম পরিবর্তন করে কেন্দ্রীয় শান্তি কমিটি নামকরণ করা হয়। গোলাম আযম শান্তি কমিটির কার্যকরী কমিটির অন্যতম সদস্য ছিলেন। ১৮ জুন লাহোর বিমানবন্দরে গোলাম আযম বলেন, 'জনগণ সেনাবাহিনীর সঙ্গে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করতে চায়।' ১৯ জুন রাওয়ালপিন্ডিতে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তিনি সেনাবাহিনীকে সহযোগিতা ও মুক্তিযোদ্ধাদের মোকাবিলার জন্য রাজাকার, আলবদর, আলশামস বাহিনীকে অস্ত্র সরবরাহের আহ্বান জানান।
হত্যা ও নির্যাতন : এই পর্বে গোলাম আযমের বিরুদ্ধে হত্যা ও নির্যাতনের একটি ঘটনার কথা বলা হয়েছে। এ অভিযোগে বলা হয়, কুমিল্লার হোমনা থানার রামকৃষ্ণপুর গ্রামের সিরু মিয়া ১৯৭১ সালে ঢাকার মোহাম্মদপুর থানায় দারোগা হিসেবে কর্মরত ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে ২৮ মার্চ স্ত্রী আনোয়ারা বেগম ও ১৪ বছরের ছেলে আনোয়ার কামালকে নিয়ে তিনি কুমিল্লার নিজ বাড়িতে যান। সেখানে ভারতে যাতায়াতে শরণার্থীদের তিনি সাহায্য করতেন। ২৭ অক্টোবর সকালে ভারত যাওয়ার সময় কসবা থানার তন্তর চেকপোস্টের কাছে রাজাকারদের হাতে সিরু মিয়া ও তার ছেলেসহ ছয়জন ধরা পড়েন। রাজাকার ক্যাম্পে নিয়ে কয়েক দিন নির্যাতনের পর তাদের পাঠিয়ে দেওয়া হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া কারাগারে। স্বামী-সন্তানের ধরা পড়ার খবর পেয়ে সিরু মিয়ার স্ত্রী গোলাম আযমের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। গোলাম আযমের দুই ছেলের শিক্ষক ছিলেন সিরু মিয়ার ভগি্নপতি। তিনি গোলাম আযমের কাছে সিরু মিয়া ও তার ছেলেকে মুক্তি দিতে অনুরোধ করেন। গোলাম আযম ব্রাহ্মণবাড়িয়া শান্তি কমিটির নেতা পেয়ারা মিয়ার কাছে একটি চিঠি পাঠান। চিঠিতে সিরু মিয়া ও তার ছেলেকে হত্যার নির্দেশ ছিল। চিঠি পাওয়ার পর ঈদের দিন রাতে সিরু মিয়াসহ ৩৯ জনকে পাকিস্তানি সেনারা রাজাকার ও আলবদরদের সহযোগিতায় কারাগার থেকে বের করে নিয়ে পৈরতলা রেলব্রিজের কাছে নিয়ে যায়। সেখানে পাকিস্তানি সেনাদের গুলিতে ৩৮ জন মারা গেলেও প্রাণে বেঁচে যান একজন।--ডিনিউজ
খবর বিভাগঃ
বিশেষ খবর
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়