Sunday, July 14

ঝিনাইগাতীতে নারী শ্রমিকেদের মজুরীর বৈষম্য

শেরপুর: ন্যায্য মূল্য নেই, কাজের সময়সীমা নেই, ভাল ব্যবহার নেই তারপরও নারী শ্রমিকের কাজ থেমে নেই। শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলায় ক্রমশঃ বৃদ্ধি পাচ্ছে নারী শ্রমিকের সংখ্যা। বিগত ৫ বছরে এর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে দ্বিগুণেরও বেশী হয়েছে। উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে নারী শ্রমিকেরা বিভিন্ন কাজ করে জীবন নির্বাহ করে থাকে। রাস্তাঘাটে মাটি কাটা, কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচীতে কাজ করা, ফসলের জমি নিড়ানি ও রোপন করা, বাড়ির আঙ্গিনা পরিষ্কার, কয়লা ও খোঁয়া ভাঙ্গা, রাইস মিল, স’মিল, ধানের চাতাল, হোটেলসহ ছোট ছোট শিল্প প্রতিষ্ঠানে কাজ করে চলেছে নারী শ্রমিকরা। তবে পারিশ্রমিক পুরুষের তুলনায় অনেক কম।  অসহায় ছিন্নমূল নারীদের কোন রকম খেয়ে না খেয়ে দিন পার করতে পারলেই হল। এসব কাজে স্বামী পরিত্যাক্তা বিধবা এবং অসহায় শ্রেণীর নারীরা বেশী সম্পৃক্ত। বর্তমানে এক শ্রেণীর মাঝ বয়সী মহিলারা রাস্তার পাশে বিভিন্ন খাবার জিনিস নিয়ে বসে বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করে। যতই দিন যাচ্ছে উপজেলায় ততই মহিলা শ্রমিকের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। উপজেলার ডেফলাই গ্রামে মাটি কাটার কাজ করছে সতীবালা, কানন বালা ও জুলেখা বেগমসহ কয়েকজন মহিলা শ্রমিক। কথা হয় তাদের সাথে। নারী পুরুষের কাজে সমতা থাকলেও মজুরীর বৈষম্যতার কথা জানালেন তারা। পুরুষের মজুরী প্রতিদিন সাড়ে ৩শ’ থেকে ৪শ’ টাকা হলেও নারী শ্রমিকেরা পাচ্ছে দেড়শ টাকা। 
দিন মজুর জুলেখা বেগম (৩৫) জানান, একদিন শ্রম বিক্রি না করলে হাড়ি চুলায় উঠে না। হলদীগ্রামের স্বামী পরিত্যক্তা হাজেরা বেগম (৩২) জানায়, ২ মেয়ে আর ১ ছেলের খাবার যোগাড় করতে প্রতিদিন শ্রম বিক্রি করি। হালিমা বেগম (২৮) জানায়, সারাদিন ধানের চাতালে কাজ করে হাজিরা পায় মাত্র দেড়শ টাকা। পক্ষান্তরে একজন পুরুষ শামীম মিয়া (২৫) সে পায় ৩শ ৫০ টাকা। সমান কাজ করেও মজুরী কম বেশী হওয়ায় ক্ষোভ আছে মহিলা শ্রমিকদের। অবশ্য আশাহত হয়নি শালচূড়া গ্রামের জমেলা বেগম। তার ধারণা এক সময় নারী শ্রমিকদের কদর হবে। তখন নারী শ্রমিকদের দাম ও মজুরী বাড়বে। ---ডিনিউজ

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়