কুমিল্লা: সংসদীয় আসন পুন:নির্ধারণ করায় বেকাদায় পড়েছেন বিএনপির পল্লী উন্নয়ন সম্পাদক মনিরুল হক চৌধুরী ও নাঙ্গলকোট আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল গফুর ভূইয়া ও মোবাশ্বের আলম ভূইয়া। সদর দক্ষিণ উপজেলাকে নাঙ্গলকোটের সাথে যুক্ত করায় এখন দল থেকে তিন প্রার্থীকে মনোনয়নের লড়াইয়ে অবতীর্ণ হতে হবে। তবে মনির চৌধুরী বলেছেন তিনি প্রার্থী হবেন না, দল চাইলে প্রার্থী হবেন। অপর দিকে বিশেষ সুবিধজনক অবস্থানে রয়েছেন নাঙ্গলকোটের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আ হ ম মুস্তফা কামাল (লোটাস কামাল)। নব গঠিত এ আসনে তিনি ছাড়া প্রভাবশালী কোন প্রপ্রিন্দ্বী প্রার্থী নেই। ফলে আঞ্চলিকতা বাধা হয়ে না দাঁড়ালে আওয়ামী লীগ এ আসনের সুবিধা পেতে পারে। বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশন সংসদীয় আসন পুনর্বিন্যাস করায় নাঙ্গলকোট উপজেলার সাথে সদর দক্ষিণ উপজেলা যুক্ত হয়েছে। কুমিল্লার টমসম ব্রিজ থেকে নাঙ্গলকোটের সাতবাড়িয়া পর্যন্ত এ আসনটি এখন কুমিল্লায় সবচেয়ে বড় আসন। নাঙ্গলকোট উপজেলার চেয়ে সদর দক্ষিণ উপজেলায় ভোটার সংখ্যাও বেশি। কিন্তু সবকিছু ছাপিয়ে এখন বড় সমস্যা বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রার্থীদের নিয়ে। অন্তত তিনজন এ আসনে নির্বাচনের জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত। যদিও মনিরুল হক চৌধুরী বলছেন তিনি প্রার্থী হবেন না তার পরেও তিনি বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীদের কাছে মূর্তিমান আতঙ্ক। অপরদিকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য আ হ ম মুস্তফা কামালের সাথে মনোনয়ন প্রতিদ্বন্দ্বিতা তো দূরের কথা রাজনীতি নিয়ে এখন ভাবতে হবে আওয়ামীলীগের সম্ভাব্য মনোনয়ন চাইতে ইচ্ছুকদের। কেন না নাঙ্গলকোটে যারা এ প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে উঁকিঝুঁকি দিচ্ছিলেন তাদের সদর দক্ষিণ উপজেলার কথা মাথায় আসায় নতুন করে রাজনীতি নিয়েই ভাবতে হবে। আর এ কারণে নাঙ্গলকোটে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা বেশ ফুরফুরে মেজাজে আছেন গতকাল থেকেই। অপরদিকে কুমিল্লা বরুড়া আসনে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা আছেন বেশ খুশিতে। মিষ্টিও বিতরণ হয়েছে সেখানে। বড় বড় নেতারা বরুড়ার নেতাদের সাথে পেরে না উঠায় এ আনন্দ। ---ডিনিউজ
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়