Saturday, July 13

পুলিশ পাহাড়ায় শালিসে ভাংচুর ও মারামারির সমাধান


পাবনা: পুলিশ পাহাড়ায় শালিশী বৈঠকের মধ্য দিয়ে ভাংচুর ও মারামারির ঘটনা সমাধান করলো আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতারা। শালিসী বৈঠকে প্রাপ্ত বয়স্কদের কানধরে মাফ চাওয়ানো ও ক্ষতিগ্রস্থকেই উল্টো জরিমানা করায় শালিসী বৈঠকের প্রধানদের নিরপেক্ষতা নিয়ে দেখা দিয়েছে প্রশ্ন। শনিবার সকালে পাবনা বাইপাশ মোড়ে এ শালিসী বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। 
জানা গেছে,  একটি শালিসী বৈঠকের বিষয়কে কেন্দ্র করে গত ২৬ জুন পাবনা সদর থানার ভেতর শালগাড়িয়া সদ্দার পাড়াএলাকার ইউনুস আলী সরদ্দার ও বিএনপি নেতা ফিরোজের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায় ইউনুসকে থানার ভেতরেই মারধর করে ফিরোজ হোসেন। এরই জেরধরে ইউনুসের ছেলে কামাল তার সঙ্গিদের নিয়ে ফিরোজ হোসেনকে বেধরক মারপিট করে। ফিরোজকে মারধরের জেরধরে ওই দিন রাতে এক দল যুবক শালগাড়িয়া বাইপাশ মোড়ে জৈনক লালের একটি দোকান ভাংচুর করে। এ সকল ঘটনাকে কেন্দ্র করে কয়েকদিন ওই এলাকায় চলে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা। এ সকল ঘটনায় পাবনা সদর থানায় লালসহ তিনজন পৃথক তিনটি অভিযোগও দায়ের করেন। কিন্তু থানা পুলিশ মামলা না নিয়ে বিষয় গুলো স্থানীয় ভাবে সমাধান করতে বলে। এরই জেরধরে শনিবার সকালে পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি বেলায়েত আলী বিল্লুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয় শালিসী বৈঠক। শালিসে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির জেলা পর্যায়ের আরো নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। শালিসে ক্ষতিগ্রস্থ লালের পক্ষের লোকদেরকে ফিরোজ হোসেনকে মারার অপরাধে ২৮ হাজার টাকা জরিমানা এবং প্রাপ্ত বয়স্ক কয়েক যুবককে কানধরে মাফ চাওয়ানো হয়। অপর দিকে লালের দোকান ভাংচুরের অভিযোগে অপর পক্ষকে মাত্র ৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এদিকে প্রাপ্ত বয়স্কদের জন সম্মুখে এভাবে কান ধরে মাফ চাওয়ানোর ঘটনায় এবং ক্ষতিগ্রস্থদের উল্টো ২৮ হাজার টাকা জরিমানা করায় শালিসে উপস্থিত এবং এলাকাবাসীদের মধ্যে চরম ক্ষোভের সুষ্টি হয়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ব্যাক্তি বলেন, আধুনিকতার এই যুগে প্রাপ্ত বয়স্ক যুবকদের জন সম্মুখে কান ধরে মাফ চাওয়ানো এটা মেনে নেওয়া যায়না। এটা মানবাধিকার লঙ্ঘল। বিচারের জন্য আইন আদালত আছে। শাস্তি দিতে হয় আদালত দিবে।  -ডিনিউজ

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়