Friday, July 5

৬ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হাসপাতালটি এখন গোচারণ ভূমি

কুমিল্লা: নাঙ্গলকোট উপজেলার গোহারুয়া গ্রামে ২০শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালটি উদ্বোধন করার পর ৭ বছর অতিবাহিত হলেও এখনো চালু করা হয়নি। ফলে নাঙ্গলকোট, সোনাইমুড়ী, মনোহরগঞ্জ ও সেনবাগ উপজেলার লক্ষ লক্ষ মানুষ দীর্ঘদিন ধরে সু-চিকিৎসা ব্যবস্থার আধুনিকতার ছোঁয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। অবহেলিত এই গ্রামীন জনগোষ্ঠীকে সু-চিকিৎসা দিতে ৪টি উপজেলার সংযোগস্থল গোহারুয়া নামক স্থানে গত জোট সরকারের আমলে ২০০৪-০৫ অর্থ বছরে সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডঃ মোশারফ হোসেন ও স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আবদুল গফুর ভূঁইয়া ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালটির নির্মান কাজ শুরু করে। প্রায় ৬ কোটি টাকা ব্যয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয় এ হাসপাতালটি নির্মাণ করে। ২০০৬ সালের ২৪শে অক্টোবর সাবেক শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী আমান উল্যা আমান ও স্থানীয় এমপি আবদুল গফুর ভূঁইয়া আনুষ্ঠানিক ভাবে হাসপাতালটি উদ্বোধন করেন। উদ্বোধন কালে হাসপাতালটি চালু দেখানো হয়। কিন্তু উদ্বোধনের পর থেকে হাসপাতালটির কার্যক্রম সম্পূর্ণ ভাবে বন্ধ হয়ে যায়। ফলে ঐ অঞ্চলের লক্ষ লক্ষ মানুষ দীর্ঘদিন ধরে সু-চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। দরিদ্র অসহায় মানুষ লাকসাম, কুমিল্লা, ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে গিয়ে অধিক টাকা ব্যয় এবং সময় নষ্ট করে চিকিৎসা নিতে বাধ্য হচ্ছে। 
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতাল এলাকাটি গরু-ছাগল বেধে রেখেছে স্থানীয় এলাকাবাসী। হাসপাতাল ভবন ও আবাসিক ভবন গুলোতে আগাছা জম্মিয়ে ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, প্রয়োজনীয় জনবলের ব্যবস্থা না করে হাসপাতালটি উদ্বোধন করা হয়েছে। এতে দীর্ঘদিন পরিত্যাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকায় হাসপাতালের অনেক যন্ত্রপাতি ও আসবাবপত্র চুরি হয়ে গেছে। তাই প্রয়োজনীয় জনবলের অভাব ও বিভিন্ন সমস্যার কারনে হাসপাতালটি কোন চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে না। এখন সকল সমস্যা সমাধান করে হাসপাতালটি চালু করা হলে মানুষের দূর্ভোগ কিছুটা হলেও ঘ্রাস পাবে। 
এমতাবস্থায় হাসপাতালটি চালু করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের জরুরী হস্তক্ষেপ কমনা করেছেন নাঙ্গলকোট, সোনাইমুড়ী, মনোহরগঞ্জ ও সেনবাগ উপজেলাবাসী।--ডিনিউজ

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়