ঢাকা : ইনস্যুরেন্স প্রতারণার কারণে জুরিপ আল আসা নামে এক বাংলাদেশীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে টোকিও মেট্রোপলিটন পুলিশ বিভাগ। এ বিষয়টি নিয়ে জাপান সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে। এর কারণ অন্যখানে। জুরিপ আল আসা জাপানের প্রথম সারির মডেল, টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব রোলা’র পিতা। এ কারণে তাকে জড়িয়ে তার পিতাকে নিয়ে নানা রকম রিপোর্ট প্রকাশিত হচ্ছে। জাপান ডেইলি প্রেসের এক রিপোর্টে সমপ্রতি বলা হয়েছে, জুরিপ আল আসা একজন খাঁটি বাংলাদেশী। কিন্তু তিনি বাংলাদেশের আরেক ব্যক্তির সঙ্গে জাপানের জাতীয় স্বাস্থ্য ইন্স্যুরেন্স ব্যবস্থা থেকে ৮ লাখ ৭৫ হাজার ইয়েন হস্তগত করেছেন। সাংকেই শিমবুন পত্রিকা পুলিশ সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে, ২০০৯ সালের ডিসেম্বরে জুরিপ একটি ভুয়া মেডিকেল ইন্স্যুরেন্সের কাগজপত্র দাখিল করেন। তাতে তিনি বলেন, তাকে অপারেশনের জন্য বিদেশ যেতে হবে। এ জন্য তিনি শতকরা ৭০ ভাগ অর্থ চান। কিন্তু পরে যখন প্রতারণা ধরা পড়ে তখন ২০১২ সাল। ততক্ষণে জুরিপের সঙ্গে যে ব্যক্তি জড়িত ছিল তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর পর পরই জাপান থেকে পালিয়ে যান জুরিপ। পুলিশের সন্দেহ এভাবে বাংলাদেশীদের একটি চক্র অনেক সময় ধরে প্রতারণা চালিয়ে আসছে। এখন জুরিপকে ধরতে মেট্রোপলিটন পুলিশ ইন্টারপোলের সহায়তা চাইছে। জুরিপের নাম তোলা হবে আন্তর্জাতিক ওয়ান্টেড লিস্টে। এসব ঘটনায় রোলা’র কোন ভূমিকা না থাকলেও তাকে জড়িয়ে মিডিয়ায় নানারকম তথ্য ছড়িয়ে পড়ছে। তিনি মিডিয়ার বৈষম্যমূলক আচরণের শিকার হচ্ছেন। এবিষয়ে জাপান থেকে রাহমান মনি জানান, সমপ্রতি জাপানে বাংলাদেশকে যিনি পরিচয় করিয়েছেন তার নাম রোলা। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পর তিনিই বাংলাদেশের সুনাম প্রসার করেছেন জাপানে। বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত এই মডেল কন্যা জাপান যুবসমাজে তো বটেই সর্বস্তরের জাপানিদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় ও প্রতিষ্ঠিত। তিনি একাধারে মডেল, টিভি প্রেজেন্টার এবং গায়িকা। রোলা তার আসল নাম নয়, মিডিয়া নাম। বাংলাদেশকে নিয়ে তিনি গর্ববোধ করেন, বাংলাদেশকে নিয়ে রয়েছে তার অনেক স্বপ্ন। তিনি মনে করেন ১০ বছর পর আজকের এই বাংলাদেশ থাকবে না, অনেক দূর এগিয়ে যাবে, সার্বিকভাবে। এশিয়া তো বটেই অনেক উন্নত দেশেরও হিংসার পাত্র হবে বাংলাদেশ। ২৩ বছর বয়সী এই মডেল সমপ্রতি জাপান মিডিয়ার বৈষম্যের শিকার হয়েছেন। আর তার কারণ আর কেউ নয়, যার কারণে তিনি বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত, সেই জন্মদাতা পিতা। পিতার অপকর্মের জন্য তিনি জাপান মিডিয়ার অপপ্রচারের শিকার। তিনি বলেছেন, তার কাজের চুক্তি বাতিলের যে খবর প্রচারিত হয়েছে তা সত্যের অপলাপ এবং চুক্তি বাতিলের জন্য উৎসাহ দেয়া ছাড়া আর কিছু নয়। প্রকৃত সত্য হলো আজ পর্যন্ত কোন কোম্পানিই চুক্তি বাতিল করেনি। রোলা’র পিতার বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি ভুয়া কাগজপত্র দিয়ে স্বাস্থ্য বীমার অর্থ তুলে প্রতারণা করেছেন। অভিযোগ অবশ্যই গুরুতর। এতে তিনি জাপান প্রবাসীদের এত দিনের সুনাম নষ্ট করেছেন। আমরাও চাই তিনি তার প্রাপ্য শাস্তি পান। পার পাওয়ার কোন অবকাশ নেই। অভিযোগ প্রমাণিত হলে শাস্তি তাকে পেতেই হবে।--ডিনিউজ
খবর বিভাগঃ
দেশের বাইরে
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়