ঢাকা : গাজীপুরের প্রথম নগর পিতা হতে যাচ্ছেন ১৮ দলীয় সমর্থিত মেয়রপ্রার্থী অধ্যাপক এম এ মান্নান। গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের এ পর্যন্ত বেসরকারিভাবে প্রাপ্ত ফলাফলের ভিত্তিতে তিনি তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আজমত উল্লা খানের চেয়ে বিপুল ভোটে এগিয়ে আছেন। বহু নাটকের পর জাহাঙ্গীর আলম ও জাতীয় পার্টির প্রেসিডেন্ট হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের পক্ষ থেকে আজমত উল্লা খানকে সমর্থন ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) থেকে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দের পরও মান্নান গাজীপুর সিটি করপোরেশনের প্রথম মেয়র হতে যাচ্ছেন।
জিসিসির ৩৯২ টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৯২টি কেন্দ্রের ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে।এর মধ্যে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী এম এ মান্নান পেয়েছেন ১৬৩৪৯০ ভোট এবং আওয়ামী সমর্থিত প্রার্থী আজমত উল্লা পেয়েছেন ১১১৯৫৯ ভোট। এ পর্যন্ত প্রাপ্ত কেন্দ্রের ফলাফলে ৫১৫৩১ ভোট বেশী পেয়ে জয়ের পথে এগিয়ে আছেন মান্নান।
প্রগতি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে এম এ মান্নান পেয়েছেন ১৩৩৭ এবং আজমত উল্লা ৮৩৭ ভোট পেয়েছেন। কোনাবাড়ি টাঙ্গাইল প্রি ক্যাডেট স্কুল কেন্দ্রে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী পেয়েছেন ৮৯০ ভোট এবং আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী পেয়েছেন ৩৯০ ভোট। এমকে কুদ্দুস উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে এমএ মান্নান পেয়েছেন ১৪০০ ভোট অ্যদিকে আজমত উল্লা পেয়েছেন ৬০০ ভোট। টঙ্গী দারুল উলুম মাদরাসা কেন্দ্রে মান্নান ৫২৪ এবং আজমত ৩৭২ এবং কোনাবাড়ি কুদ্দুস নগর উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী পেয়েছেন ১২৮৫ ভোট এবং আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী ৬৩৩ ভোট। ইসমাইল পাঠান একাডেমি কেন্দ্রে এমএ মান্নান পেয়েছেন ২০৯৯ এবং আজমত উল্লা খান ৯৬৬ ভোট পেয়েছেন।
এদিকে মহাজোট সমর্থিত মেয়র প্রার্থী আজমত উল্লাহ খান নিজের কেন্দ্রেই পরাজিত হয়েছেন। তার নিজ কেন্দ্র লিটল ফ্লাওয়ারস কিন্ডার গার্ডেন স্কুল কেন্দ্রে তিনি ১৮ দলীয় জোট প্রার্থী এমএ মান্নানের কাছে ১১০ ভোটে হেরে গেছেন। এ কেন্দ্রে এমএ মান্নান টেলিভিশন প্রতীকে পেয়েছেন ৮২০ ভোট। অন্যদিকে আজমত উল্লাহ খান দোয়াত-কলম প্রতীকে পেয়েছেন ৭১০ ভোট।
শনিবার সকাল আটটা থেকে বিকাল চারটা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোট নেওয়া হয়। শুরু থেকেই কেন্দ্রগুলোতে ছিল ভোটারদের ব্যাপক উপস্থিতি। নির্বাচন উপলক্ষে সিটি করপোরেশন এলাকায় কড়া নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়। জিসিসি নির্বাচন নিয়ে নির্বাচন কমিশনে দিনভর ছিল বিএনপি ও আওয়ামী লীগের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ। তবে নির্বাচন শেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিব উদ্দিন আহমদ নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে বলে দাবি করেছেন। দিন শেষে বিএনপিরও নির্বাচন নিয়ে নরম সুর দেখা গেছে।
প্রায় ৩৩০ বর্গকিলোমিটার এলাকা নিয়ে গঠিত গাজীপুর সিটির ১০ লাখ ২৬ হাজার ৯৩৮ জন ভোটার আজ তাদের পছন্দের প্রার্থী বাছাই করছেন। ভোটারদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ৫ লাখ ২৭ হাজার ৭৭৭ জন ও মহিলা ভোটার ৪ লাখ ৯৯ হাজার ১৬২ জন।
নির্বাচনে মেয়র পদে ছয়জন প্রার্থী ছিলেন। ৫৭টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৪৫৫ জন এবং ১৯টি সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ১২৮ জন প্রতিন্দ্বীতা করেছেন।
মেয়র পদে মূল প্রতিন্দ্বীতা হয়েছে ১৮ দলীয় জোট প্রার্থী অধ্যাপক এম এ মান্নান (টেলিভিশন) এবং ১৪ দলীয় প্রার্থী আজমত উল্লাহ খানের (দোয়াত-কলম) মধ্যে। এছাড়া অন্যান্য মেয়র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেন, আমান উল্লাহ (তালা), ডা. নাজিম উদ্দিন আহমেদ (ঘোড়া),মোঃ মেজবাহ উদ্দিন সরকার রুবেল (হাঁস) এবং রিনা সুলতানা (প্রজাপতি)।
তবে বিজয়ী হতে যাওয়া আলহাজ অধ্যাপক এম এ মান্নান গাজীপুর সিটি করপোরেশনের অন্তর্গত সালনা গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে ১৯৫০ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফলিত রসায়নে এমএসসি ডিগ্রি অর্জন করেন। পরে টঙ্গী কলেজে শিক্ষক হিসেবে যোগদানের মাধ্যমে কর্মজীবন শুরু করেন। শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি রাজনৈতিক ও সামাজিক বিভিন্ন কর্মকা-ে নিজেকে সম্পৃক্ত করেন। তিনি ১৯৭৮ সালে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক দলে (জাগদল) যোগদান করেন, যা পরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে অধ্যাপক এম এ মান্নান জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক, সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে তিনি বিএনপি চেয়ারপরসনের উপদেষ্টা হিসেবে তার দায়িত্ব পালন করছেন।
অধ্যাপক মান্নান ১৯৯১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) মনোনীত প্রার্থী হিসেবে সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তাকে তৎকালীন মন্ত্রিসভায় ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেয়া হয়। পরে নবগঠিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি তিনি জাতীয় রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। সেই সাথে তার নির্বাচনী এলাকা গাজীপুরের উন্নয়নে ব্যাপক অবদান রাখেন অধ্যাপক এম এ মান্নান।--ডিনিউজ
জিসিসির ৩৯২ টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৯২টি কেন্দ্রের ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে।এর মধ্যে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী এম এ মান্নান পেয়েছেন ১৬৩৪৯০ ভোট এবং আওয়ামী সমর্থিত প্রার্থী আজমত উল্লা পেয়েছেন ১১১৯৫৯ ভোট। এ পর্যন্ত প্রাপ্ত কেন্দ্রের ফলাফলে ৫১৫৩১ ভোট বেশী পেয়ে জয়ের পথে এগিয়ে আছেন মান্নান।
প্রগতি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে এম এ মান্নান পেয়েছেন ১৩৩৭ এবং আজমত উল্লা ৮৩৭ ভোট পেয়েছেন। কোনাবাড়ি টাঙ্গাইল প্রি ক্যাডেট স্কুল কেন্দ্রে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী পেয়েছেন ৮৯০ ভোট এবং আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী পেয়েছেন ৩৯০ ভোট। এমকে কুদ্দুস উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে এমএ মান্নান পেয়েছেন ১৪০০ ভোট অ্যদিকে আজমত উল্লা পেয়েছেন ৬০০ ভোট। টঙ্গী দারুল উলুম মাদরাসা কেন্দ্রে মান্নান ৫২৪ এবং আজমত ৩৭২ এবং কোনাবাড়ি কুদ্দুস নগর উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী পেয়েছেন ১২৮৫ ভোট এবং আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী ৬৩৩ ভোট। ইসমাইল পাঠান একাডেমি কেন্দ্রে এমএ মান্নান পেয়েছেন ২০৯৯ এবং আজমত উল্লা খান ৯৬৬ ভোট পেয়েছেন।
এদিকে মহাজোট সমর্থিত মেয়র প্রার্থী আজমত উল্লাহ খান নিজের কেন্দ্রেই পরাজিত হয়েছেন। তার নিজ কেন্দ্র লিটল ফ্লাওয়ারস কিন্ডার গার্ডেন স্কুল কেন্দ্রে তিনি ১৮ দলীয় জোট প্রার্থী এমএ মান্নানের কাছে ১১০ ভোটে হেরে গেছেন। এ কেন্দ্রে এমএ মান্নান টেলিভিশন প্রতীকে পেয়েছেন ৮২০ ভোট। অন্যদিকে আজমত উল্লাহ খান দোয়াত-কলম প্রতীকে পেয়েছেন ৭১০ ভোট।
শনিবার সকাল আটটা থেকে বিকাল চারটা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোট নেওয়া হয়। শুরু থেকেই কেন্দ্রগুলোতে ছিল ভোটারদের ব্যাপক উপস্থিতি। নির্বাচন উপলক্ষে সিটি করপোরেশন এলাকায় কড়া নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়। জিসিসি নির্বাচন নিয়ে নির্বাচন কমিশনে দিনভর ছিল বিএনপি ও আওয়ামী লীগের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ। তবে নির্বাচন শেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিব উদ্দিন আহমদ নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে বলে দাবি করেছেন। দিন শেষে বিএনপিরও নির্বাচন নিয়ে নরম সুর দেখা গেছে।
প্রায় ৩৩০ বর্গকিলোমিটার এলাকা নিয়ে গঠিত গাজীপুর সিটির ১০ লাখ ২৬ হাজার ৯৩৮ জন ভোটার আজ তাদের পছন্দের প্রার্থী বাছাই করছেন। ভোটারদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ৫ লাখ ২৭ হাজার ৭৭৭ জন ও মহিলা ভোটার ৪ লাখ ৯৯ হাজার ১৬২ জন।
নির্বাচনে মেয়র পদে ছয়জন প্রার্থী ছিলেন। ৫৭টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৪৫৫ জন এবং ১৯টি সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ১২৮ জন প্রতিন্দ্বীতা করেছেন।
মেয়র পদে মূল প্রতিন্দ্বীতা হয়েছে ১৮ দলীয় জোট প্রার্থী অধ্যাপক এম এ মান্নান (টেলিভিশন) এবং ১৪ দলীয় প্রার্থী আজমত উল্লাহ খানের (দোয়াত-কলম) মধ্যে। এছাড়া অন্যান্য মেয়র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেন, আমান উল্লাহ (তালা), ডা. নাজিম উদ্দিন আহমেদ (ঘোড়া),মোঃ মেজবাহ উদ্দিন সরকার রুবেল (হাঁস) এবং রিনা সুলতানা (প্রজাপতি)।
তবে বিজয়ী হতে যাওয়া আলহাজ অধ্যাপক এম এ মান্নান গাজীপুর সিটি করপোরেশনের অন্তর্গত সালনা গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে ১৯৫০ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফলিত রসায়নে এমএসসি ডিগ্রি অর্জন করেন। পরে টঙ্গী কলেজে শিক্ষক হিসেবে যোগদানের মাধ্যমে কর্মজীবন শুরু করেন। শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি রাজনৈতিক ও সামাজিক বিভিন্ন কর্মকা-ে নিজেকে সম্পৃক্ত করেন। তিনি ১৯৭৮ সালে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক দলে (জাগদল) যোগদান করেন, যা পরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে অধ্যাপক এম এ মান্নান জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক, সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে তিনি বিএনপি চেয়ারপরসনের উপদেষ্টা হিসেবে তার দায়িত্ব পালন করছেন।
অধ্যাপক মান্নান ১৯৯১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) মনোনীত প্রার্থী হিসেবে সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তাকে তৎকালীন মন্ত্রিসভায় ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেয়া হয়। পরে নবগঠিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি তিনি জাতীয় রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। সেই সাথে তার নির্বাচনী এলাকা গাজীপুরের উন্নয়নে ব্যাপক অবদান রাখেন অধ্যাপক এম এ মান্নান।--ডিনিউজ
খবর বিভাগঃ
সর্বশেষ সংবাদ
সারাদেশ
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়