Monday, July 22

কানাইঘাটে টাকা আত্মসাতের ঘটনায় মাওলানা গ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিবেদক:
 কানাইঘাটে একটি কোম্পানীর শেয়ারহোল্ডার এবং ঋণ দেওয়ার নামে লোকজনদের কাছ থেকে জামানত স্বরূপ কয়েক ল টাকা আত্মসাতের ঘটনায় থানা পুলিশ গত রবিবার সুরমা এডুকেশন এন্ড ডেভেলাপমেন্ট নামে একটি প্রতিষ্ঠানে এমডি প্রতারক মাওঃ বদরুল হোসেন (৫০) কে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃত মাওঃ বদরুল ইসলামের বাড়ী উপজেলার ৩নং দিঘীর পাড় পূর্ব ইউপির কুওরের মাটি গ্রামে। এলাকাবাসীর কাছ থেকে জানা যায়, কুওরের মাটি গ্রামের মৃত আব্দুর রকিবের পুত্র বদরুল ইসলাম স্থায়ীভাবে স্ত্রী, সন্তানদের নিয়ে বিয়ানীবাজার উপজেলায় বসবাস করে আসছেন। তিনি সেখানকার দা’সূরা সিনিয়র মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল। বিয়ানীবাজার পৌর শহরে সুরমা এডুকেশন এন্ড ডেভেলাপমেন্ট নামে একটি প্রতিষ্ঠানের এমডিও তিনি। উক্ত কোম্পানীর শেয়ার হোল্ডার ও ঋণ বিতরণের নামে তার নিজ বাড়ী দিঘীরপাড় ইউপির বিভিন্ন গ্রাম থেকে বিশেষ করে প্রবাসী পরিবারের মহিলা থেকে শুরু করে প্রায় আড়াইশ লোকজনের কাছ থেকে বদরুল ইসলাম গত দু’বছর ধরে ল ল টাকা জামানত স্বরূপ নেন। দীর্ঘদিন পরও জামানতের টাকা দিয়ে ঋণ না পেয়ে সম্প্রতি টাকা ফেরতের দাবীতে পাওনাদাররা প্রতারক বদরুল ইসলামের বিরুদ্ধে এলাকায় সোচ্চার হয়ে উঠলে তিনি টাকা ফেরত দিচ্ছেন, দিমু করে প্রতারণার আশ্রয় নিলে প্রতারিতদের পে স্থানীয় দর্পনগর পূর্ব গ্রামের আব্দুল মান্নান বাদী হয়ে বদরুল ইসলামের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেন। গত রবিবার বদরুল ইসলাম তার নিজ বাড়ী কুওরের মাটি গ্রামে চুপিসারে আসার পথে স্থানীয় সড়কের বাজার থেকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কানাইঘাট থানার এস.আই আরিফ তাকে গ্রেফতার করেন। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মুমিন চৌধুরী জানিয়েছেন বদরুল মাওলানা হায়হায় কোম্পানীর এমডি পরিচয় নিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে তার এলাকার শত শত লোকদের কাছ থেকে ল ল টাকা ঋণ দেওয়ার নামে আত্মসাত করেছেন। গতকাল ধৃত আসামীকে পুলিশ আদালতে সোপর্দ করে।


শেয়ার করুন

1 comment:

  1. আমি মাওলানা বদরুল ইসলামকে একজন ভালো আলেম হিসেবে চিনি। তিনি একসময় বড়লেখা মোহাম্মাদীয় আলিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক ছিলেন। রিপোর্টে দেখলাম, বর্তমানে তিনি বিয়ানীবাজার দাসউরা মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তাঁর মতো একজন আলেম এ ধরনের দুর্নীতিতে জড়াতে পারেন-এটা আমার অবিশ্বাস্য মনে হয়। সত্য-মিথ্যা জানিনা, তবে এ ব্যাপারে এখনই কিছু বলা যাবেনা। দীর্ঘ তদন্তের প্রয়োজন। কোনো হায়হায় কোম্পানীর কবলে পড়ে নিজে ফেঁসে যেতেও পারেন।
    একটা কথা আমাদের মনে রাখতে হবে, পুলিশ কাউকে হাতকড়া পরালে, গ্রেফতার করে জেলে পুরলেই কিন্তু ঐ ব্যক্তি দোষী হয়ে যাননা। উনাকে বিন্দুমাত্র অপরাধী বলা যায়না-যথক্ষন পর্যন্ত না আদালত তাঁকে দোষী সাব্যস্থ করে।
    --তাইছির মাহমুদ, নির্বাহী সম্পাদক, সাপ্তাহিক নতুন দিন

    ReplyDelete

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়