হেফাজতে ইসলামের আমীর আল্লামা শাহ্ আহমদ শফী বলেছেন, “বাংলাদেশের মতো বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশে ইসলামের দুশমনরা মুসলমানদের রক্ত নিয়ে খেলছে। তবে ইসলামবিদ্বেষী শক্তির মোকাবেলায় সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারের জন্য নবীপ্রেমিক লাখো জনতা প্রস্তুত রয়েছেন।আমাদের লড়াই চলবেই।”
ওমরা করতে গিয়ে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ এর মদিনা মুনাওয়ারা শাখার আয়োজিত এক সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
শনিবার বিকেলে মদিনা মুনাওয়ারা শাখার সভাপতি রফিকুল ইসলাম মাদানী এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সম্মেলনে প্রধান অতিথির ভাষণে আল্লামা শাহ্ আহমদ শফী বলেন, “পৃথিবীর প্রায় সর্বত্র মুসলমানরা ইসলামবিদ্বেষী শাসকগোষ্ঠীর হাতে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। কেবল ঈমান ও ইসলামের ধারক-বাহক ও তাওহীদ-রিসালতে বিশ্বাসী হবার কারণে আরাকান, ফিলিস্তিন, কাশ্মীর, আফগানিস্তানসহ কিন্তু হতাশ হবার কোনো কারণ নেই। কারণ তরুণ-যুবকসহ নানা বয়সের মানুষ ঈমানী বলে বলিয়ান হয়ে তাগুতের মোকাবেলায় ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে।”
আল্লামা শাহ্ আহমদ শফী আরো বলেন, “ইসলামের শত্রুরা ভেবেছিল, বিগত ৫ মে শাপলা চত্বরে লাখো জনতার মহাসমাবেশে বাতি নিভিয়ে রাতের অন্ধকারে গণহত্যা চালিয়ে ইসলামকে নিশ্চিহ্ন করবে। কিন্তু নবীপ্রেমিক তাওহীদি জনতা ইতোমধ্যে গোটা দেশে বহুগুণ ঈমানী শক্তি নিয়ে আরও বৃহৎ আন্দোলনের জন্য প্রস্তুতি নিয়েছে। সারা বাংলাদেশে অভূতপূর্ব জাগরণ সৃষ্টি হয়েছে। নবীপ্রেমিক তাওহীদি জনতার এই মহাজাগরণ ঠেকানোর শক্তি কারও নেই।”
তিনি বলেন, “কেয়ামত পর্যন্ত নাস্তিক্যবাদী ইসলামবিদ্বেষী শক্তির মোকাবেলায় দেওবন্দি ওলামায়ে কেরাম সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত রয়েছেন।”
আহমদ শফী বলেন, “আমাদের অসংখ্য আলিম-হাফেজ, মুফতি-মুহাদ্দিস, ছাত্র ও নবীপ্রেমিক জনতাকে বর্তমান সরকার যৌথবাহিনী দিয়ে নির্মমভাবে শহীদ করেছে। শত শত মানুষ পঙ্গু এবং চিরদিনের জন্য অন্ধ হয়ে গেছেন। হাজার হাজার মানুষ সেদিন গুরুতর আহত হয়েছেন। তাদেরকে আমরা পর্যাপ্ত চিকিৎসা সেবা দিতে পারিনি।”
সম্মেলন শেষে আল্লামা শফী বাংলাদেশের মুসলমানদের ইজ্জত-আব্রু রক্ষা, দেশে শাস্তি-সমৃদ্ধি অর্জন, ৫ মে গণহত্যা আহতদের সুস্থতা কামনা ও শহীদদের মর্যাদা বৃদ্ধি এবং প্রবাসীদের কল্যাণের জন্য মহান আল্লাহর দরবারে বিশেষ মুনাজাত করেন।
মদিনা শাখার সভাপতি মাওলানা সাইয়েদ রফিকুল ইসলাম মাদানীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, মাওলানা আনাস মাদানী, মাওলানা হাফেজ মুজ্জাম্মেল হক, মাওলানা মসিহুল্লাহ, মাওলানা মুস্তাফিজুর রহমান, মাওলানা সুফিয়ান আনিস, মুফতি মাসুম বিল্লাহ ফিরোজী, মাওলানা আজিজ ফোরকান আল মাদানী, হাফেজ বশির, হাফেজ শাহাদাত ও মাওলানা মোজ্জাম্মেল প্রমুখ।--পরিবর্তন
ওমরা করতে গিয়ে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ এর মদিনা মুনাওয়ারা শাখার আয়োজিত এক সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
শনিবার বিকেলে মদিনা মুনাওয়ারা শাখার সভাপতি রফিকুল ইসলাম মাদানী এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সম্মেলনে প্রধান অতিথির ভাষণে আল্লামা শাহ্ আহমদ শফী বলেন, “পৃথিবীর প্রায় সর্বত্র মুসলমানরা ইসলামবিদ্বেষী শাসকগোষ্ঠীর হাতে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। কেবল ঈমান ও ইসলামের ধারক-বাহক ও তাওহীদ-রিসালতে বিশ্বাসী হবার কারণে আরাকান, ফিলিস্তিন, কাশ্মীর, আফগানিস্তানসহ কিন্তু হতাশ হবার কোনো কারণ নেই। কারণ তরুণ-যুবকসহ নানা বয়সের মানুষ ঈমানী বলে বলিয়ান হয়ে তাগুতের মোকাবেলায় ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে।”
আল্লামা শাহ্ আহমদ শফী আরো বলেন, “ইসলামের শত্রুরা ভেবেছিল, বিগত ৫ মে শাপলা চত্বরে লাখো জনতার মহাসমাবেশে বাতি নিভিয়ে রাতের অন্ধকারে গণহত্যা চালিয়ে ইসলামকে নিশ্চিহ্ন করবে। কিন্তু নবীপ্রেমিক তাওহীদি জনতা ইতোমধ্যে গোটা দেশে বহুগুণ ঈমানী শক্তি নিয়ে আরও বৃহৎ আন্দোলনের জন্য প্রস্তুতি নিয়েছে। সারা বাংলাদেশে অভূতপূর্ব জাগরণ সৃষ্টি হয়েছে। নবীপ্রেমিক তাওহীদি জনতার এই মহাজাগরণ ঠেকানোর শক্তি কারও নেই।”
তিনি বলেন, “কেয়ামত পর্যন্ত নাস্তিক্যবাদী ইসলামবিদ্বেষী শক্তির মোকাবেলায় দেওবন্দি ওলামায়ে কেরাম সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত রয়েছেন।”
আহমদ শফী বলেন, “আমাদের অসংখ্য আলিম-হাফেজ, মুফতি-মুহাদ্দিস, ছাত্র ও নবীপ্রেমিক জনতাকে বর্তমান সরকার যৌথবাহিনী দিয়ে নির্মমভাবে শহীদ করেছে। শত শত মানুষ পঙ্গু এবং চিরদিনের জন্য অন্ধ হয়ে গেছেন। হাজার হাজার মানুষ সেদিন গুরুতর আহত হয়েছেন। তাদেরকে আমরা পর্যাপ্ত চিকিৎসা সেবা দিতে পারিনি।”
সম্মেলন শেষে আল্লামা শফী বাংলাদেশের মুসলমানদের ইজ্জত-আব্রু রক্ষা, দেশে শাস্তি-সমৃদ্ধি অর্জন, ৫ মে গণহত্যা আহতদের সুস্থতা কামনা ও শহীদদের মর্যাদা বৃদ্ধি এবং প্রবাসীদের কল্যাণের জন্য মহান আল্লাহর দরবারে বিশেষ মুনাজাত করেন।
মদিনা শাখার সভাপতি মাওলানা সাইয়েদ রফিকুল ইসলাম মাদানীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, মাওলানা আনাস মাদানী, মাওলানা হাফেজ মুজ্জাম্মেল হক, মাওলানা মসিহুল্লাহ, মাওলানা মুস্তাফিজুর রহমান, মাওলানা সুফিয়ান আনিস, মুফতি মাসুম বিল্লাহ ফিরোজী, মাওলানা আজিজ ফোরকান আল মাদানী, হাফেজ বশির, হাফেজ শাহাদাত ও মাওলানা মোজ্জাম্মেল প্রমুখ।--পরিবর্তন
খবর বিভাগঃ
বিশেষ খবর
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়