Saturday, July 20

শরণখোলায় মৎস্য বিভাগের খাল খননে পুকুর চুরির অভিযোগ


শরণখোলা (বাগেরহাট): বাগেরহাটের শরণখোলায় মৎস্য বিভাগের তিনটি খাল খননে ব্যাপক অনিয়ম ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। প্রায় ১২ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রকল্প তিনটির কাজ জুনের মধ্যে শেষ করার কথা থাকলেও নিয়ম মাফিক কাজ না করেই চুড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। অভিযোগ রয়েছে, নামমাত্র কাজ করে সিংহভাগ টাকা ভাগবাটোয়ারা করে নিয়েছে প্রকল্পের সভাপতি, ঠিকাদার ও মৎস্য বিভাগ।
প্রকল্প তিনটি হচ্ছে, উপজেলার রায়েন্দা ইউনিযনের উত্তর রাজাপুর এলাকার চিনির খাল, খোন্তাকাটা ইউনিয়নের রাজৈর এলাকার কালিয়ার খাল এবং ধানসাগর ইউনিয়নের বাধাল এলাকার মালসার খাল। মৎস্য বিভাগের আর্থিক সহায়তায় এবং সার্বিক তত্ত্বাবধানে শরণখোলায় এ প্রকল্প তিনটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
সরেজমিন প্রকল্প এলাকা ঘুরে এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, খালের পাড় কেটেছেঁটে শুধু পরিস্কার করা হয়েছে। প্রত্যেকটি খালে মাপের চেয়ে দৈর্ঘ্যে ৩০০ থেকে ৪০০ ফুট কম কাটা হয়েছে। প্রস্থ্যে ও গভীরে একই অনিয়ম করা হয়েছে। খাল খননে পুকুর চুরি করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চিনির খাল খননে দৈর্ঘ্যে ১৮শ’ ফুট, প্রস্থ্যে (তলায়) ২২ ফুট ও গভীরে ৩ ফুটের বিপরিতে বরাদ্দ ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা, কালিয়ার খালে দৈর্ঘ্যে ১২শ’ ফুট, প্রস্থ্যে ২০ ফুট ও গভীরে ৩ ফুটের বিপরিতে বরাদ্দ ৪ লাখ টাকা এবং মালসার খালে দৈর্ঘ্যে ১৩শ’ ফুট, প্রস্থ্যে ৩০ ফুট ও গভীরে ৩ ফুটের বিপরিতে বরাদ্দ ৪ লাখ টাকাসহ তিনটি খাল খননে মোট ১১ লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ রয়েছে। প্রকল্প তিনটির একটিতেও নিয়ম মাফিক কাজ করা হয়নি।
রাজৈর এলাকার কালিয়ার খাল প্রকল্পের সভাপতি মো. রতন হাওলাদার জানান, ৪ লাখ টাকার প্রকল্পের এ কাজ ২ লাখ টাকায় সাদ্দাম নামের এক ঠিকাদারের কাছে বিক্রি করে দেয়া হয়েছে। বাকি ২ লাখের মধ্যে এক লাখ দেয়া হয়েছে মৎস্য অফিসে।
অপরদিকে, মালসার খালের সভাপতি ইউপি সদস্য শামীম মুন্সী জানান, বৃষ্টির কারণে কিছু কাজ অসমাপ্ত রয়েছে। সম্পূর্ণ কাজ শেষে চেক গ্রহন করা হবে। তার কাজে কোনো অনিয়ম হয়নি বলে জানিয়েছেন। চিনির খালের সভাপতি মাসুম মীর জানান, ১৫% (পার্সেন্ট) টাকা মৎস্য অফিসে দিতে হয়েছে। 
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফেরদৌস আনসারী জানান, তিনি ২৩ জুন যোগদান করেছেন। প্রকল্পের কাজ তদারকির দায়িত্বে ছিলেন সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা। তাই এব্যাপারে সঠিক কিছু বলতে পারেননি তিনি। সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা খোন্দকার সহিদুর রহমান ভাগবাটোয়ারার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, প্রকল্পের কাজ সঠিকভাবেই হয়েছে। --ডিনিউজ

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়