ঢাকা: বাংলাদেশের সঙ্গে স্থলসীমান্ত চুক্তি করার মাধ্যমে ভারত কি কি সুবিধা পাবে তা জানাতে একটি পুস্তিকা প্রকাশ করেছে ভারত সরকার। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিকে সীমান্ত চুক্তি নিয়ে কিছু ভুল ধারণার অবসানে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই পুস্তিকা প্রকাশ করেছে। আগামী বর্ষাকালীন অধিবেশনে স্থলসীমান্ত চুক্তিটি সংসদে পেশ করার জন্য ভারত সরকার আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে।
বিজেপির সঙ্গে একটা সমঝোতায় পৌঁছানোর চেষ্টা চলছে। অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গেও সরকার এই চুক্তির ব্যাপারে স্পষ্ট তথ্য তুলে ধরতে ছাপানো পুস্তিকাটি পাঠাতে শুরু করেছে। বিজেপির একটি অংশের মতে, ছিট মহল হস্তান্তর হলে ভারত অনেক জমি হারাবে। ভারতে বাংলাদেশের যে ৫১টি ছিঠমহল রয়েছে তার জমির পরিমাণ ৭ হাজার একর। আর বাংলাদেশে ভারতের যে ১১১টি ছিটমহল রয়েছে তার জমির পরিমাণ ১৭ হাজার একর।
তাই বিনিময় হলে ভারতের ১০ হাজার একর জমি হারানোর সম্ভাবনা। ভারত সরকার অবশ্য বোঝাতে চেয়েছে যে, কাগজে কলমে বাংলাদেশ বেশি জমি পাবে ঠিকই। কিন্তু বাস্তব পরিস্থিতি হল, ওই জমি কখনোই ভারতের হাতে ছিল না। ভারতীয ছিটমহলগুলি সবই বাংলাদেশের গভীরে। তাই বাস্তব পরিস্থিতিকেই বৈধতা দিতে চাইছে ভারত সরকার।
অপদখলীয় জমির প্রশ্নে আসামের বিজেপি সংগঠন অনেক জমি হারানোর কথা বলে যে আন্দোলন করছে তা যে ঠিক নয়, ভারত সরকারের পুস্তিকাতে সেই দাবি করা হয়েছে। বলা হয়েছে, ভারত বরং ৫০০ একর জমি বাংলাদেশের কাছ থেকে ফেরত পাবে। এই পুস্তিকার মাধ্যমে একটি ঐকমত্য গড়ে তোলা যাবে বলে মনে করছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্তারা। এক সময় বিজেপির সঙ্গে সালমান খুরশিদের আলোচনায় জট কিছুটা কেটেছিল। এখনও বিজেপি খুব একটা গররাজি নয়। তবে অতিরিক্ত জমির ব্যাপারে স্পষ্ট ব্যাখ্যা চেয়েছিল বিজেপি।
পুস্তিকার তথ্য সেই দাবি পূরণ করবে বলে মনে করা হচ্ছে। রাজনৈতিক মহলের মতে, বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কে আস্থা রাখতে এই চুক্তিটি করা খুব জরুরি বলে মনে করছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্তারা। আর সেজন্যই পুস্তিকা ছাপিয়ে সরকার স্পষ্ট ব্যাখ্যা দেবার চেষ্টা করেছে।-মানব জমিন
খবর বিভাগঃ
দেশের বাইরে
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়