Friday, July 5

প্রচারণা শেষ, রাত পোহালেই যুদ্ধ ব্যালটে

গাজীপুর সিটি করপোরেশন (জিসিসি) নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শেষ হয়েছে বৃহস্পতিবার। এখন অপেক্ষার পালা। শুক্রবার রাত পোহালেই শনিবার সকাল থেকে শুরু হয়ে বিকেল পর্যন্ত চলবে ভোট যুদ্ধ।
গাজীপুরসহ সারা দেশের মানুষ এখন উত্তেজনা, উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা নিয়ে তাকিয়ে আছে জিসিসি নির্বাচনের দিকে। চলছে শেষ মুহূর্তের ভোটের হিসেব।
সাম্প্রতিক চার সিটি নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীদের পরাজয়ে গাজীপুরে নিজেদের বিজয় নিশ্চিত করতে মরিয়া হয়ে ওঠেছে আওয়ামী লীগ।
অন্যদিকে, বিজয়ের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে বদ্ধ পরিকর বিএনপি।
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নিবার্চন এখন বড় দুই দলের মর্যাদার লড়াইয়ে পরিণত হয়েছে।
নির্বাচনী প্রচারণা আর আসন্ন ব্যালটের লড়াই নিয়ে নানা হিসেব নিকেশ চলছে চায়ের দোকান থেকে জাতীয় পর্যায়ে। বিরোধী দল ও তাদের সমর্থিত প্রার্থীর পক্ষ থেকে নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের দাবি তোলা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে সেনা মোতায়েনের দাবি জানিয়েছেন বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল।
অপরদিকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও তাদের সমর্থিত প্রার্থীর পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে পরাজয়ের ভয় থেকেই বিএনপি এমন দাবি তুলছে।
গাজীপুরে মেয়র পদে লড়ছেন মোট ৭ জন। তবে সাধারণ মানুষের মতে, নগর পিতা নির্বাচিত হবেন বড় দুই রাজনৈতিক দলের মধ্যে থেকে কেউ।
অন্যদিকে, গাজীপুরের ভোটের সমীকরণ ৩ ভাগে পরিণত হয়েছে বলে দাবি করছেন অনেকে। তাদের মতে, পোশাক শ্রমিক, হেফাজত বা জাতীয় পার্টি মেয়র নির্বাচনে বড় বিষয় হয়ে দাঁড়াবে।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসাইন মুহম্মদ এরশাদ নির্বাচনী শেষ মুহূর্তে এসে নাটকীয়ভাবে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী আজমত উল্লাহকে সমর্থন দিলেও, জেলা জাতীয় পার্টির তৃণমূল নেতা-কর্মীরা বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী এম এ মান্নানের পক্ষে কাজ করে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম নির্বাচন থেকে সরে গিয়ে আজমত উল্লাহকে সমর্থন দিলেও, ব্যালট পেপারে জাহাঙ্গীরের নাম ও প্রতীক থাকবে। তাই অনেক ভোটার জাহাঙ্গীরের প্রতি তাদের গভীর ভালবাসা হয়ত ব্যালট পেপারের মধ্যে দিয়ে প্রমাণ করবেন বলেও মনে করেন নির্বাচন বিশ্লেষকেরা।
সিটি নির্বাচন উপলক্ষে পুরো গাজীপুর নগরীতে সর্বোচ্চ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এছাড়া যে কোনো ধরনের নাশকতা এড়াতে ও ঝুকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে মোতায়েন করা হবে অতিরিক্ত র‌্যাব, পুলিশ ও বিজিবি।
৩২৯.৯০ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের দেশের সর্ববৃহৎ সিটি করপোরেশনে মোট ভোটার সংখ্যা ১০ লাখ ২৬ হাজার। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৫ লাখ ২৭ হাজার ৭৭৭ জন ও নারী ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৯৯ হাজার ১৬১ জন।
মেয়র পদে ৭ জনসহ ৫৭টি কাউন্সিলর ও ১৯টি সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদসহ মোট ৭৬টি পদের বিপরীতে ৫৮৫ জন কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করবেন।--পরিবর্তন ডটকম

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়