স্কুলে ক্লাসরুম ভর্তি বাচ্চাদের উপর দমাদম গুলি চালানোর ঘটনা যুক্তরাষ্ট্রে প্রায়শই ঘটে। অস্ত্র আইনের কড়াকড়ি নেই সেখানে। এ নিয়ে অভিভাবকদের অভিযোগের শেষ নেই। কিন্তু আজ অবধি বিষয়টি আমলে নেয়নি প্রশাসন। সেই যুক্তরাষ্ট্রেই কিনা ফেসবুকের একটি মন্তব্যের (কমেন্ট) জন্য এক তরুনকে জেল খাটতে হচ্ছে। গত মার্চ মাস থেকে জাস্টিন কার্টার নামের ১৯ বছর বয়সী সেই তরুণ জেলেই কাটাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রে এটি ব্যতিক্রমী ঘটনা।
জাস্টিন কার্টারের বাবা জ্যাক কার্টার সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ফেসবুকে জাস্টিন তার এক বন্ধুর সাথে একটি অনলাইন ভিডিও গেম নিয়ে তর্ক করেছিল। ছেলের বন্ধু তাকে ‘ক্রেজি’ বলায় জাস্টিন মজা করার উদ্দেশে বন্ধুকে একটি কমেন্ট করে। যা নিয়েই ঘটে বিপত্তি। সে লিখেছিল, “হ্যা আমার মাথা সত্যিই খারাপ, আমি স্কুল ভর্তি বাচ্চাদের গুলি করব এবং তাদের তাজা হৃদপিণ্ড চিবিয়ে খাব।” এই কমেন্ট কাল হয় কার্টারের জন্য।
জাস্টিনের বাবার দাবি, তার ছেলে এই কমেন্টের পর, “LOL’’ এবং "J/K" শব্দটি লিখেছিল। এ থেকে পরিস্কার, সে স্রেফ মজা করার জন্যই এটা লিখেছিল। প্রসঙ্গত, ফেসবুকের জনপ্রিয় দুটি টার্ম হলো LOL এবং J/K বা JK যার অর্থ হলো হাসিতে ফেটে পড়া (laughing out loud=LOLO), আমি মশকরা করছি (Just Joking=J/K)। তাচ্ছিল্য বা কৌতুক করার জন্য কোনো বাক্যের শেষে সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহারকারীরা শব্দদুটি ব্যবহার করে থাকেন।
একজন নারী ওই কমেন্টের সূত্র ধরে পুলিশের কাছে রিপোর্ট করে দেন। নিউটন ও কানেক্টিকাটের স্কুলের দুর্ঘটনার বিষয়টি মাথায় রেখেই পুলিশ দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করে।
জাস্টিনের ৮ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে ফেসবুকে জাস্টিনের করা ওই কমেন্ট একটি ‘সন্ত্রাসবাদী হুমকি!’ এটাকে তুচ্ছ করে দেখার কিছু নেই।
তবে বিষয়টি নিয়ে অভিভাবক মহলে প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। তারা পুলিশের অতিশয় তৎপরতায় ক্ষুব্ধ। তারা অভিযোগ করছেন, কার্টার স্পষ্ট করেই তার কমেন্ট করেছে। এটা যে স্রেফ কৌতুক সেটা পরিস্কার। স্কুলের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থতার দায়ভার এভাবে নীরিহ ফেসবুক ব্যবহারকারী ওই তরুন কার্টারের ওপর চাপানো সঠিক সিদ্ধান্ত নয়, এটি অন্যায়। তারা কার্টারের মুক্তির জন্য ফেসবুক ও অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারও চালাচ্ছে।(পরিবর্তন ডটকম)
খবর বিভাগঃ
বিশেষ খবর
সর্বশেষ সংবাদ
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়