চট্টগ্রাম: দক্ষিণ চট্টগ্রামের ৭টি উপজেলার ৩০ গ্রামের কিছু বাসিন্দা মঙ্গলবার থেকে রোজা পালন শুরু করেছেন। সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে দেশে প্রচলিত নিয়মের একদিন কিংবা দু’দিন আগেই এসব গ্রামের প্রায় দু‘হাজার পরিবারের মানুষ রোজা পালন শুরু করেছেন। এদের মধ্যে অধিকাংশই চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার সিলসিলিয়া আলীয়া জাহাগীর পীর দরবার শরিফের অনুসারী। দরবারে আলিয়া জাহাগিরিয়া মমতাজিয়া দরবার শরীফের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
এসব গ্রামের মধ্যে আছে, সাতকানিয়া উপজেলার মীর্জারখীল, চরতি, সুইপুর, ঘাসিয়াডাঙ্গা ও কেরাণীহাট, পটিয়া উপজেলার কালারপোল, হাইদগাঁও, মল্লপাড়া ও বাহুলী, চন্দনাইশের কাঞ্চননগর, গাছবাড়িয়া, হারালা, বাইনজুড়ী, কানাইমাদারি ও ঢেমশা, আনোয়ারার তৈলারদ্বীপ, বরুমছড়া, বারখাইন, সরকারহাট, গহিরা ও বারশত, বোয়ালখালী উপজেলার চরণদ্বীপ, খরণদ্বীপ, পূর্ব গোমদন্ডী ও পশ্চিম কধুরখীল, বাঁশখালী উপজেলার কালীপুর, চাম্বল, শেখেরখীল, পূঁইয়াছড়া ও ডোমার এবং লোহাগাড়ার ধর্মপুর ও কলাউজান।
দক্ষিণ চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার মীর্জারখীল দরবার শরীফ এলাকার বাসিন্দা ব্যবসায়ী হেলালুল হাই বলেন, ‘ সোমবার সৌদি আরবে চাঁদ দেখা যাওয়ায় আমরা আজ থেকে রোজা রাখা শুরু করেছি।’
তাদের পূর্ব-পুরুষদের প্রথা অনুযায়ীই সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রোজা রেখে আসছেন বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, ‘ইমাম জাফর সাদের চন্দ্র হিসাব অনুযায়ী আমরা রোজা পালন করে থাকি। এছাড়া ইসলাম ধমের্র সবাইকে তো একসঙ্গেই রোজা রাখতে হবে।’
জানা গেছে, লোকমুখে প্রচলিত আছে, প্রায় দু’শ বছর আগে পীরসাহেব তার মুরিদদের নির্দেশ দিয়েছিলেন, সৌদি আরবে যেদিন চাঁদ দেখা যাবে পরদিন থেকেই বিশ্বের সকল স্থানে রোজা পালন শুরু হবে।
একইভাবে ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আযহাও পালন করতে হবে সৌদি আরবের অনুসরণে। এরপর থেকেই এসব গ্রামে সৌদি আরবের রীতি অনুসারে রোজা ও দুটি ঈদ পালনের রীতি চলে আসছে।--ডিনিউজ
খবর বিভাগঃ
অন্য জেলা
সর্বশেষ সংবাদ
সারাদেশ
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়