Friday, July 19

ইউনিক কমিউনিটি সেন্টারের মালিকানা নিয়ে পারিবারিক দন্দ্ব চরমে

নিজস্ব প্রতিবেদক:
কানাইঘাট পৌর শহরে অবস্থিত ইউনিক কমিউনিটি সেন্টারের অংশিদারিত্ব মালিকানা নিয়ে ৮ সহোদর ভাইদের মধ্যে চরম আকার ধারণ করেছে। দন্দ্বের জের ধরে ছোট ভাইয়ের মামলায় বড় দুই ভাইকে গত রবিবার কানাইঘাট থানা পুলিশ গ্রেফতার করায় সহোদর ভাইদের মধ্যে এ নিয়ে যে কোন সময় বড় ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে বলে স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন। জানা যায়, ইউনিক কমিউনিটি সেন্টারের যৌথ মালিকানা নিয়ে পৌরসভার নয়াতালুক গ্রামে মৃত মুদরিছ আলীর বড় পুত্র জলাল আহমদ, শফিক আহমদসহ একদিকে চার ভাই অপরদিকে জমির উদ্দিন, আজির উদ্দিনসহ তিন ভাইয়ের মধ্যে বছর দিন ধরে দন্দ্ব চলে আসছিল। কমিউনিটি সেন্টারের অংশিদারিত্ব মালিকানার বিষয়টি সহোদর ভাইদের নিয়ে বসে এলাকায় মুরব্বিয়ানগণ নিষ্পত্তির জন্য বহুবার গ্রাম্য সালিশে বসলেও কোন সমাধান হয়নি। বর্তমানে পৌর মেয়র লুৎফুর রহমানের কার্যালয়ে বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন থাকা অবস্থায় সেন্টারের মালিক দাবী করে গত শনিবার রাতে জমির উদ্দিন কমিউনিটি সেন্টারের পূর্বের সাইনবোর্ডটি পরিবর্তন করে তার নামে একটি সাইনবোর্ড তুললে সহোদর ভাইদের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরদিন রবিবার বড়ভাই জালাল আহমদ, শফিক আহমদ গংরা নতুন সাইনবোর্ডটি ভেঙ্গে ফেললে ছোট ভাই জমির উদ্দিন ঘটনাস্থলে পুলিশ নিয়ে আসেন। পুলিশের উপস্থিতিতে সহোদর ভাইরা মারামারিতে লিপ্ত হলে আজির উদ্দিন নামে এক ভাই আহত হন। একপর্যায়ে পুলিশ এক পরে জালাল আহমদ, শফিক উদ্দিনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। ঐদিন উক্ত বিষয়টি সামাজিকভাবে বসে নিষ্পত্তির জন্য এলাকায় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ চেষ্টা করলেও ছোট ভাই জমির উদ্দিন রাতে থানায় জামিন অযোগ্য ধারা দিয়ে আটককৃত দুই ভাইসহ পরিবারের ৭জনের বিরুদ্ধে বাদী হয়ে মামলা করেন। অপরদিকে ইউনিক কমিউনিটি সেন্টারে অংশীদারিত্ব মালিকানা দাবী করে অপর ভাইরা জমির উদ্দিনসহ তিনভাইয়ের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। পারিবারিক বিরোধ ও মামলা মোকদ্দমার জের ধরে কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত অভিজাত এ কমিউনিটি সেন্টারটি যে কোন সময় বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে স্থানীয় লোকজন মনে করছেন। এ ব্যাপারে মামলার বাদী কমিউনিটি সেন্টারটি মালিক দাবীদার জমির উদ্দিন জানান তার বড়ভাই জালাল উদ্দিন সহ ৪ভাই সেন্টারটির অংশীদারিত্ব মালিকানা নেই। অজতা তারা আমাদের উপর নির্যাতন করছে। বিধায় থানায় মামলা দিয়েছি। অপরদিকে বর্তমানে কারারুদ্ধ জমির উদ্দিনের বড়ভাই জালাল আহমদ জানিয়েছেন তিনিসহ তার ৮ভাই যৌথভাবে কমিউনিটি সেন্টারটি মালিক। তিনিসহ ৫ ভাইকে সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করার জন্য ছোট ভাই জমিরসহ অপর দুই ভাইর যোগসাজশে মিথ্যা মামলা দিয়ে তাদের হয়রাণী করা হচ্ছে বলে গত রবিবার থানা হাযতে স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান। 


শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়