- ঢাকা: ২০০৭ সালের জরুরি অবস্থা চলাকালে রাজনৈতিক দল গঠনের চেষ্টা করলেও গণতান্ত্রিক শাসনে ফেরার পর আর সে চেষ্টা করেননি গ্রামীণ ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালন ড. মুহম্মদ ইউনূস। এবার একই ধরনের রাজনৈতিক সংকট হলে এই নোবেল বিজয়ী আর সে পথে যাবেন না বলে জানিয়েছে তার ঘনিষ্টজনরা
জাতীয় নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে ২০০৭ সালের পয়লা নভেম্বর জরুরি অবস্থা জারি করেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন আহমেদ। সঙ্গে সঙ্গে সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ হয়ে যায়।তবে জরুরি অবস্থা চলাচালেই বেশ কটি রাজনৈতিক দলের প্রক্রিয়া শুরু হয়। এর মধ্যে আছে ফেরদৗস আহমেদ কোরেশির পিডিপি (প্রগ্রেসিভ ডেমোক্রেটিক পার্টি), সৈয়দ মোহাম্মদ ইব্রাহিমের কল্যাণ পার্টি এবং ড. মুহম্মদ ইউনূসের নাগরিক শক্তি।
নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের দাবিতে বিরোধী দলের আন্দোলন এবং সরকারের অটল অবস্থানে আগামী নির্বাচন নিয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। এবারও ২০০৭ সালের মতো পরিস্থিতি হলে ড. ইউনূস কি এ রকম দল গঠনের উদ্যোগে নেবেন?—জানতে চাইলে তাঁর ভাই মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর বলেন, ‘আমি এই প্রক্রিয়ায় কখনও ছিলাম না আর এ নিয়ে আমাদের নতুন করে কোনো চিন্তাও নাই’।
এরআগে ২০০৭ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি ড. মুহাম্মদ ইউনূস নিজের দলের নাম নাগরিক শক্তি হবে বলে ঘোষণা করেন। তিনি সেদিন পরবর্তী নির্বাচনে ৩০০ আসনে প্রার্থী দেয়ার ঘোষণাও দেন।
এরপর রীতিমতো মগবাজারে সেন্টার ফর ডেভেলপমেন্ট কমিউনিকেশন নামে একটি সেন্টার করে প্রতিদিন জনগণের মতামত নেয়ার ব্যবস্থা করেন ড. ইউনূস। আর এই প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা করেন তার ভাই জাহাঙ্গীর। নতুন দলের পক্ষে বিভিন্ন গণমাধ্যমে লেখালেখিও করেন তিনি। এক এগারো সমর্থনকারী বেশ কটি দৈনিক পত্রিকার সমর্থনও পান ড. ইউনূস।
সেন্টার ফর ডেভেলপমেন্ট কমিউনিকেশন নামক কার্যালয়ে ইউনূসকে রাজনীতিতে স্বাগত জানিয়ে বিপুল সংখক মানুষ প্রতিদিন যোগাযোগ করে-এমন কথাও ছড়ানো হয় সে সময়। সেন্টারটি খোলার কয়েক দিনের মধ্যেই দেশ ও বিদেশে অবস্থানরত আনুমানিক প্রায় ১০ লাখ মানুষ ড. ইউনূসের রাজনীতিতে যোগদান এবং দল গঠনের পক্ষে মত দিয়েছেন বলেও দাবি করা হয়। ব্যক্তিগত মতামতের পাশাপাশি অনেকে দলগতভাবেও ইউনূসের রাজনীতি শুরুর সমর্থন জানিয়েছেন, এমন দাবিও করা হয় সে সময়।
তবে বেশিদূর আগাতে পারেননি ড. ইউনূস। পরে একটি জাতীয় দৈনিকে তিনি রাজনৈতিক দল গঠন প্রক্রিয়া থেকে সরে আসার ঘোষণা দেন। ওই লেখায় তিনি অনুযোগের সুরে লিখেছিলেন, তাঁকে গাছে তুলে মই সরিয়ে নেয়া হয়েছে। তবে কে বা কারা ওই মই সরিয়েছে সে বিষয়ে তিনি কিছু বলেননি।-ঢাকা টাইমস
খবর বিভাগঃ
বিশেষ খবর
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়