রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ): আসন্ন রমজানকে সামনে রেখে সোনারগাঁয়ের কাঁচপুরে পোকা মারার বিষ ‘ডিডিটি’ স্প্রে করে পাকানো হচ্ছে কলা। কলা খাওয়ার নামে ক্রেতা যে বিষ খাচ্ছেন তা দেখার কেউ নেই। জানা গেছে, কলা দ্রুত বৃদ্ধির জন্য নানা ধরনের কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয়। তারপর একশ্রেণীর অতিমুনাফা লোভী ব্যবসায়ী অপরিপক্ক কলা পাকানোর জন্য এতে ‘ডিডিটি’ ও অন্যান্য কেমিক্যাল স্প্রে করেন। এভাবে দুই দফায় কলায় কেমিক্যাল ব্যবহার করা হচ্ছে। এতে খরচ কম, লাভও বেশি হয় বলে জানালেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন চাষি।
উপজেলার কাঁচপুর, নয়াপুর, জামপুর, মোগড়াপাড়া, ধন্ধির বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় অর্ধশতাধিক কলার আড়ৎ রয়েছে। এসব এলাকার আড়তগুলোতে ডিডিটিসহ তুত ও কার্বাইড জাতীয় রাসায়নিক পদার্থ মেশানো কলার রং ১২ ঘন্টার মধ্যে হলুদ ও আকর্ষণীয় আকার ধারণ করে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলেছেন, ‘ডাইক্লোরো ডাইফিনাইল ট্রাইক্লোরোইথেন’ বা ডিডিটি সাধারণত পোকামাকড় দমনে ব্যবহার করা হয়। আর ‘ডিডিটি’র সঙ্গে অন্য কেমিক্যাল মেশালে এর ক্ষমতা কয়েক গুণ বেড়ে যায়। যা মানবদেহে ঢুকলে কম সময়ে মারাত্মক ক্ষতি করে। ক্যান্সারসহ নানা মরণব্যাধি সৃষ্টি করে। বিশেষ করে মহিলাদের স্তন ক্যান্সার হওয়ার আশংকা থাকে বেশি। তারা বলেন, সামনে রমজান মাস। এ সময় কলার কদর থাকে একটু বেশি। তাই মুনাফালোভী ব্যবসায়ীরা কলাসহ অন্যান্য ফল পাকিয়ে পচন রোধে ও দীর্ঘদিন রেখে বিক্রির জন্য ফরমালিন ব্যবহার করে গুদামজাত করে।
চিকিৎসকদের মতে, ‘ডিডিটি’ ও কেমিক্যাল মেশানো খাদ্য খেয়ে কেউ মারা গেলে বহু বছর পর কবর থেকে লাশ উত্তোলন করে পরীক্ষা করলেও সেই কেমিক্যালের আলামত পাওয়া যাবে। দেড়শ’ বছরেও এসব কেমিক্যালের তেজস্ক্রিয়া নষ্ট হয় না বলে তারা জানান।
সোনারগাঁয়ের জামপুর এলাকার একজন আড়ৎদার জানান, সাগর, চম্পা, সবরি, কবরিসহ বিভিন্ন জাতের কলা দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে সোনারগাঁয়ের আসে। নরসিংদীর কলার কদর সোনারগাঁয়ে বেশি।
উপজেলার পানাম নগরীতে মেহের সাগর ও সবরি কলার চাষ হয়ে থাকে। চাষিরা অকপটে স্বীকার করেন যে ভারত থেকে চোরাই পথে আসা বিষাক্ত কেমিক্যালের সাথে ডিডিটি সংমিশ্রণে তৈরি কেমিক্যাল দুই দফা কলায় ব্যবহার করা হয়। কলা আসার শুরুতে এক দফা দেয়া হয়। এতে পোকামাকড় মরে যায় এবং কলায় কোন রকম দাগ পড়ে না ও দ্রুত বেড়ে ওঠে। দ্বিতীয় দফায় একই কলায় স্প্রে করা হয় হলদে রং ধারণ করার জন্য।
স্থানীয় কৃষিবিদরা কেমিক্যাল সম্পর্কে একই মতামত পোষণ করে বলেন, ব্যবহারকারীরা নিজেরাও জানে না যে তারা কী ধরনের বিষ ব্যবহার করছেন। তারা জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলছেন বলে কৃষিবিদরা জানান।
এদিকে রূপগঞ্জ, আড়াইহাজার উপজেলাসহ নরসিংদী জেলা সদর, পলাশ, মনোহরদী ও শিবপুর উপজেলায় কলার চাষ হয়ে থাকে। এই এলাকার সাগর কলা খুবই বিখ্যাত। বেশ কয়েক বছর ধরে চলছে সেই কলায় বিষাক্ত কেমিক্যালের ব্যবহার। তবে এই কলা স্থানীয় বাসিন্দারা খায় না। ঢাকার সাহেবদের জন্য পাঠিয়ে দেয়া হয় বলে জানান কয়েকজন চাষি।--ডিনিউজ
উপজেলার কাঁচপুর, নয়াপুর, জামপুর, মোগড়াপাড়া, ধন্ধির বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় অর্ধশতাধিক কলার আড়ৎ রয়েছে। এসব এলাকার আড়তগুলোতে ডিডিটিসহ তুত ও কার্বাইড জাতীয় রাসায়নিক পদার্থ মেশানো কলার রং ১২ ঘন্টার মধ্যে হলুদ ও আকর্ষণীয় আকার ধারণ করে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলেছেন, ‘ডাইক্লোরো ডাইফিনাইল ট্রাইক্লোরোইথেন’ বা ডিডিটি সাধারণত পোকামাকড় দমনে ব্যবহার করা হয়। আর ‘ডিডিটি’র সঙ্গে অন্য কেমিক্যাল মেশালে এর ক্ষমতা কয়েক গুণ বেড়ে যায়। যা মানবদেহে ঢুকলে কম সময়ে মারাত্মক ক্ষতি করে। ক্যান্সারসহ নানা মরণব্যাধি সৃষ্টি করে। বিশেষ করে মহিলাদের স্তন ক্যান্সার হওয়ার আশংকা থাকে বেশি। তারা বলেন, সামনে রমজান মাস। এ সময় কলার কদর থাকে একটু বেশি। তাই মুনাফালোভী ব্যবসায়ীরা কলাসহ অন্যান্য ফল পাকিয়ে পচন রোধে ও দীর্ঘদিন রেখে বিক্রির জন্য ফরমালিন ব্যবহার করে গুদামজাত করে।
চিকিৎসকদের মতে, ‘ডিডিটি’ ও কেমিক্যাল মেশানো খাদ্য খেয়ে কেউ মারা গেলে বহু বছর পর কবর থেকে লাশ উত্তোলন করে পরীক্ষা করলেও সেই কেমিক্যালের আলামত পাওয়া যাবে। দেড়শ’ বছরেও এসব কেমিক্যালের তেজস্ক্রিয়া নষ্ট হয় না বলে তারা জানান।
সোনারগাঁয়ের জামপুর এলাকার একজন আড়ৎদার জানান, সাগর, চম্পা, সবরি, কবরিসহ বিভিন্ন জাতের কলা দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে সোনারগাঁয়ের আসে। নরসিংদীর কলার কদর সোনারগাঁয়ে বেশি।
উপজেলার পানাম নগরীতে মেহের সাগর ও সবরি কলার চাষ হয়ে থাকে। চাষিরা অকপটে স্বীকার করেন যে ভারত থেকে চোরাই পথে আসা বিষাক্ত কেমিক্যালের সাথে ডিডিটি সংমিশ্রণে তৈরি কেমিক্যাল দুই দফা কলায় ব্যবহার করা হয়। কলা আসার শুরুতে এক দফা দেয়া হয়। এতে পোকামাকড় মরে যায় এবং কলায় কোন রকম দাগ পড়ে না ও দ্রুত বেড়ে ওঠে। দ্বিতীয় দফায় একই কলায় স্প্রে করা হয় হলদে রং ধারণ করার জন্য।
স্থানীয় কৃষিবিদরা কেমিক্যাল সম্পর্কে একই মতামত পোষণ করে বলেন, ব্যবহারকারীরা নিজেরাও জানে না যে তারা কী ধরনের বিষ ব্যবহার করছেন। তারা জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলছেন বলে কৃষিবিদরা জানান।
এদিকে রূপগঞ্জ, আড়াইহাজার উপজেলাসহ নরসিংদী জেলা সদর, পলাশ, মনোহরদী ও শিবপুর উপজেলায় কলার চাষ হয়ে থাকে। এই এলাকার সাগর কলা খুবই বিখ্যাত। বেশ কয়েক বছর ধরে চলছে সেই কলায় বিষাক্ত কেমিক্যালের ব্যবহার। তবে এই কলা স্থানীয় বাসিন্দারা খায় না। ঢাকার সাহেবদের জন্য পাঠিয়ে দেয়া হয় বলে জানান কয়েকজন চাষি।--ডিনিউজ
খবর বিভাগঃ
অন্য জেলা
অপরাধ বার্তা
সারাদেশ
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়