মহম্মদপুর (মাগুরা) : “রাখাল ছেলে! রাখাল ছেলে! বারেক ফিরে চাও, বাঁকা গাঁয়ের পথটি বেয়ে কোথায় চলে যাও?”। পল্লী কবি জসীমউদদীন রচিত ‘রাখাল ছেলে’ কবিতায় রূপসী বাংলার রাখাল ছেলের অপরিসীম গুরুত্ব ও তাৎপর্য ফুটে উঠেছে।
“আমাদের দেশ, তারে কত ভালবাসি, সবুজ ঘাসের বুকে, শেফালির হাসি, মাঠে মাঠে চরে গরু, নদী বয়ে যায়, জেলে ভাই ধরে মাছ, মেঘের ছায়ায়, রাখাল বাজায় বাঁশি, কেটে যায় বেলা, চাষী ভাই করে চাষ, কাজে নেই হেলা, সোনার ফসল ফলে, ক্ষেত ভরা ধান, সকলের মুখে হাসি, গান আর গান, রাখাল গরু চরায় কেটে যায় বেলা, চাষি ভাই করে চাষ কাজে নাহি হেলা”। আ ন ম বজলুর রশীদ রচিত ‘আমাদের দেশ’ কবিতায়ও রাখালের সম তাৎপর্য প্রকাশ পেয়েছে।
এক সময় গ্রামাঞ্চলের ধণাঢ্য গৃহস্থ বাড়ির গরু দেখাশোনা এবং মাঠে ঘাস খাওয়ানোর জন্য রাখাল রাখা হতো। রাখালের কাজ ছিলো সারাদিন মাঠে গরু চরানো। সন্ধ্যা হলেই মাঠ থেকে গরুর পালকে বাড়ি ফিরিয়ে এনে গোয়ালে ওঠানো। রাখালের কাজ মূলত: গরুর যত্ন ও পরিচর্যা করা। একজন রাখালকে ৮-১০টি থেকে ২০-২৫টি গরুর সকল প্রকার দেকভাল করতে হতো। গরু রাখার কাজ প্রধান ছিলো বলে তাদেরকে রাখাল বলা হতো। বিনিময়ে সারা বছরের পোশাক পরিচ্ছদের পাশাপাশি খাওয়ার নিশ্চয়তা ও বছর শেষে চুক্তিভিত্তিক অর্থ প্রদান করা হতো।
একযুগ আগেও সমাজের সবচেয়ে দরিদ্র পরিবারের থেকে আসা রাখালেরা ছিলো পেটের দায়ে গৃহস্থ বাড়ির অলিখিত চুক্তি ভিত্তিক দাস। রাখালের সাথে গৃহস্থ বাড়ির সস্পর্কের ভিন্ন মাত্রা অন্য কিছুর সাথে তুলনা করা যেতো না। অনেক পরিবারেই রাখালের উপর থাকতো সংসারের গোটা দায়িত্ব। রাখাল জীবনকে ঘিরে ছড়িয়ে আছে গল্প, কবিতা, আনন্দ-বেদনার দোলাচল।
গল্প, কবিতার পাশাপাশি সিনেমা ও নাটকেও রাখাল চরিত্রের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায় আজও। রাখালের সাথে গৃহস্থের মেয়ের প্রেমের গল্পও কোনো কল্প কাহিনী ছিলো না। রাখালের বীরত্বের কাহিনী গ্রাম ছাপিয়ে ছড়িয়ে যেতো গ্রাম-গ্রামান্তরে। রাখাল হয়ে উঠতো নায়ক। তার বাঁশির সুরে মনে দাগ কাটেনি-এমন বেরসিক মানুষ পাওয়া ভার ছিলো। গৃহস্থ পরিবারের ছোট ছেলে-মেয়েদের প্রথম বন্ধু রাখাল। পরিবারের সবার সাথে রাখালের ভালো সম্পর্ক তৈরি হতো।
এখনো প্রত্যন্ত অঞ্চলের অনেক এলাকায় রাখাল প্রথা চালু রয়েছে। এখনও মাগুরার শালিখা উপজেলার মাঠে মাঠে রাখালের দেখা মেলে। গরুর পাল নিয়ে মাঠে মাঠে চরিয়ে বেড়াচ্ছেন রাখালেরা। তবে গৃহস্থের চুক্তিভিত্তিক রাখাল হিসেবে নয়; পালা করে একেক জন রাখাল কয়েক গৃহস্থ পরিবারের ৩০/৪০টি গরু নিয়ে মাঠে চরাচ্ছেন।
সরেজমিনে দেখাগেছে, শালিখার আড়পাড়া মাঠে একেক জন রাখাল ভিন্ন ভিন্ন গরুর পাল নিয়ে খাস খাওয়াচ্ছেন। রোদ্র থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য কেউ ছাতা, কেউবা মাথাল ব্যবহার করছেন। স্থানীয় কৃষকেরা বোরো ধান কেটে ঘরে তোলার পরই দিগন্ত বিস্তৃত মাঠে একদল গরু নিয়ে মাঠে ছুটছেন। নিত্যচলে গরু চরানো। সকাল থেকে পড়ন্ত বিকেল পর্যন্ত গরুর পাল নিয়ে মাঠেই সময় পার করে থাকেন রাখালেরা।--ডিনিউজ
“আমাদের দেশ, তারে কত ভালবাসি, সবুজ ঘাসের বুকে, শেফালির হাসি, মাঠে মাঠে চরে গরু, নদী বয়ে যায়, জেলে ভাই ধরে মাছ, মেঘের ছায়ায়, রাখাল বাজায় বাঁশি, কেটে যায় বেলা, চাষী ভাই করে চাষ, কাজে নেই হেলা, সোনার ফসল ফলে, ক্ষেত ভরা ধান, সকলের মুখে হাসি, গান আর গান, রাখাল গরু চরায় কেটে যায় বেলা, চাষি ভাই করে চাষ কাজে নাহি হেলা”। আ ন ম বজলুর রশীদ রচিত ‘আমাদের দেশ’ কবিতায়ও রাখালের সম তাৎপর্য প্রকাশ পেয়েছে।
এক সময় গ্রামাঞ্চলের ধণাঢ্য গৃহস্থ বাড়ির গরু দেখাশোনা এবং মাঠে ঘাস খাওয়ানোর জন্য রাখাল রাখা হতো। রাখালের কাজ ছিলো সারাদিন মাঠে গরু চরানো। সন্ধ্যা হলেই মাঠ থেকে গরুর পালকে বাড়ি ফিরিয়ে এনে গোয়ালে ওঠানো। রাখালের কাজ মূলত: গরুর যত্ন ও পরিচর্যা করা। একজন রাখালকে ৮-১০টি থেকে ২০-২৫টি গরুর সকল প্রকার দেকভাল করতে হতো। গরু রাখার কাজ প্রধান ছিলো বলে তাদেরকে রাখাল বলা হতো। বিনিময়ে সারা বছরের পোশাক পরিচ্ছদের পাশাপাশি খাওয়ার নিশ্চয়তা ও বছর শেষে চুক্তিভিত্তিক অর্থ প্রদান করা হতো।
একযুগ আগেও সমাজের সবচেয়ে দরিদ্র পরিবারের থেকে আসা রাখালেরা ছিলো পেটের দায়ে গৃহস্থ বাড়ির অলিখিত চুক্তি ভিত্তিক দাস। রাখালের সাথে গৃহস্থ বাড়ির সস্পর্কের ভিন্ন মাত্রা অন্য কিছুর সাথে তুলনা করা যেতো না। অনেক পরিবারেই রাখালের উপর থাকতো সংসারের গোটা দায়িত্ব। রাখাল জীবনকে ঘিরে ছড়িয়ে আছে গল্প, কবিতা, আনন্দ-বেদনার দোলাচল।
গল্প, কবিতার পাশাপাশি সিনেমা ও নাটকেও রাখাল চরিত্রের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায় আজও। রাখালের সাথে গৃহস্থের মেয়ের প্রেমের গল্পও কোনো কল্প কাহিনী ছিলো না। রাখালের বীরত্বের কাহিনী গ্রাম ছাপিয়ে ছড়িয়ে যেতো গ্রাম-গ্রামান্তরে। রাখাল হয়ে উঠতো নায়ক। তার বাঁশির সুরে মনে দাগ কাটেনি-এমন বেরসিক মানুষ পাওয়া ভার ছিলো। গৃহস্থ পরিবারের ছোট ছেলে-মেয়েদের প্রথম বন্ধু রাখাল। পরিবারের সবার সাথে রাখালের ভালো সম্পর্ক তৈরি হতো।
এখনো প্রত্যন্ত অঞ্চলের অনেক এলাকায় রাখাল প্রথা চালু রয়েছে। এখনও মাগুরার শালিখা উপজেলার মাঠে মাঠে রাখালের দেখা মেলে। গরুর পাল নিয়ে মাঠে মাঠে চরিয়ে বেড়াচ্ছেন রাখালেরা। তবে গৃহস্থের চুক্তিভিত্তিক রাখাল হিসেবে নয়; পালা করে একেক জন রাখাল কয়েক গৃহস্থ পরিবারের ৩০/৪০টি গরু নিয়ে মাঠে চরাচ্ছেন।
সরেজমিনে দেখাগেছে, শালিখার আড়পাড়া মাঠে একেক জন রাখাল ভিন্ন ভিন্ন গরুর পাল নিয়ে খাস খাওয়াচ্ছেন। রোদ্র থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য কেউ ছাতা, কেউবা মাথাল ব্যবহার করছেন। স্থানীয় কৃষকেরা বোরো ধান কেটে ঘরে তোলার পরই দিগন্ত বিস্তৃত মাঠে একদল গরু নিয়ে মাঠে ছুটছেন। নিত্যচলে গরু চরানো। সকাল থেকে পড়ন্ত বিকেল পর্যন্ত গরুর পাল নিয়ে মাঠেই সময় পার করে থাকেন রাখালেরা।--ডিনিউজ
খবর বিভাগঃ
ফিচার
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়