Saturday, July 20

ট্রেভন মার্টিনের মতো হতে পারতাম: ওবামা


ঢাকা: মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেছেন, "৩৫ বছর আগে আমিও ট্রেভয় মার্টিনের মতো হতে পারতাম। ট্রেভন মার্টিন (১৭) নামের এক কৃষ্ণাঙ্গ কিশোরকে গুলি করে হত্যা করার মামলায় শ্বেতাঙ্গ প্রহরী জর্জ জিমারম্যানের মুক্তির জেরে বিক্ষোভের পর এই প্রথম মুখ খুললেন ওবামা।"

একটি অনির্ধারিত সংবাদ সম্মেলনে ওবামা একথা বলেন। এ সময় তিনি আরো বলেন, "আমেরিকায় খুব কম কৃষ্ণাঙ্গই বর্ণবাদের তিক্ত অভিজ্ঞতা অর্জন করেন না।"

তিনি আরো বলেন, "এই ঘটনায় সব আফ্রিকান-আমেরিকানরা নিজেদের চারপাশের অভিজ্ঞতা দিয়ে মর্মপীড়া অনুভব করছে।"

এমনকি আফ্রিকান-আমেরিকানরা ফৌজদারি আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রেও বৈষম্যের শিকার হন বলে জানান ওবামা।

ওবামা ট্রেভন মার্টিনের মা-বাবার প্রতিও সমবেদনা জানান। ওবামা বিক্ষোভকারীদের শান্ত থাকার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, "যেকোনো ধরনের সহিংসতা ট্রেভন মার্টিনের সঙ্গে যা ঘটেছে, তার প্রতি অসম্মান জানাবে।"

প্রেসিডেন্ট ওবামার বক্তব্যে সন্তুষ্ট ট্রেভয়ের মা-বাবা ট্রেসি মার্টিন ও সাব্রিনা ফ্যাল্টন।

তারা এক বিবৃতিতে জানান, "প্রেসিডেন্ট ওবামা নিজেকে ট্রেভনের মতো ভেবেছেন। এমনকি তার পরিচয়ও ধারণ করেছেন। এটা সত্যিই আমাদের ছেলের জন্য সম্মানের।"

২০১২ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি ফ্লোরিডায় জিমারম্যানের গুলিতে নিহত হন নিরস্ত্র কৃষ্ণাঙ্গ কিশোর ট্রেভন। তবে পুলিশে চাকরি প্রত্যাশী ও স্বেচ্ছাসেবী প্রহরী হিসেবে কর্মরত জিমারম্যানের দাবি, ট্রেভনের হামলা থেকে নিজেকে বাঁচতেই তাকে গুলি করেন তিনি।

এ মামলায় ছয় নারী বিচারকের এক জুরি বোর্ড জিমারম্যানকে নির্দোষ আখ্যা দিয়ে মুক্তির রায় ঘোষণা করে।

এই রায়ে নিন্দা জানিয়ে নিউ ইয়র্ক, বোস্টন, সান ফ্রান্সিসকোসহ অন্যান্য শহরে নাগরিক অধিকার আন্দোলনের নেতারা রাস্তায় নেমে আসে।--ডিনিউজ

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়