Friday, July 12

রংপুরে টিসিবি পণ্য বিক্রি হচ্ছে মাত্র ৫টি পয়েন্টে

রংপুর: রমজানে বজার দর স্থিতিশীল রাখতে রংপুর নগরীতে টিসিবির পণ্য বিক্রি হচ্ছে মাত্র ৫টি পয়েন্টে। যা প্রায় ৩০৪ কিলোমিটার আয়তনের নগরীতে চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল। ফলে দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে পণ্য কিনতে হচ্ছে ক্রেতাদের। ক্রেতাদের অভিযোগ, বিক্রয় কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়ানো হলে সকল শ্রেণী পেশার মানুষ খুব সহজেই পণ্য কিনতে পারত। 
জানা গেছে, রংপুর নগরীর সাতমাথা, প্রেসক্লাবের সামনে, কাচারিবাজার অথবা পৌরবাজার, সিওবাজার, কামাল কাছনা অথবা লালকুঠি এলাকার ৫টি পয়েন্টে টিসিবির পণ্য বিক্রি হচ্ছে। একটি পয়েন্ট থেকে আরেকটি পয়েন্টের দূরত্ব ২ থেকে ৩ কিলোমিটার। দূরত্বের কারণে অনেক ক্রেতা ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও পণ্য ক্রয় করতে পারছেন না। আবার অনেক সময় টিসিবির পণ্য বিক্রেতারা একস্থান থেকে আরেক স্থানে চলে যাচ্ছে। ফলে গ্রাহকরা পণ্য ক্রয় করতে গিয়ে ফিরে আসছেন। 
গত ২৩ জুন থেকে খোলা ট্রাকে করে ভোজ্যতেল, চিনি, মসুর ডাল ও ছোলা বিক্রি শুরু করেছে সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। বিভাগীয় শহরে ৫টি করে এবং প্রতিটি জেলা সদরে ২টি করে ট্রাকে পণ্য বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। স্থানীয় জনগণের দাবি বিক্রির পয়েন্ট না বাড়ালে সরকারের পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখার এ উদ্যোগ কাজে লাগবে না।
টিসিবি জানিয়েছে, প্রতি ডিলারকে ১ হাজার থেকে ৫ হাজার কেজি চিনি, ৫০০ থেকে ১ হাজার কেজি মসুর ডাল, ৪০০ থেকে ১ হাজার লিটার ড্রামজাত সয়াবিন তেল, ২০০ লিটার পেট বোতল সয়াবিন তেল, ২০০ লিটার পাম তেল ও দেড় হাজার কেজি ছোলা বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে। পালাক্রমে ডিলাররা এসব পণ্য বিক্রি করবে। রংপুরের ৮ জেলায় ৩৬২ জন ডিলার এসব পণ্য বিক্রি করছে। এর মধ্যে রংপুরে রয়েছে ৯৬ জন।
টিসিবি রংপুর আঞ্চলিক কর্মকর্তা সুজাউদ্দৌলা সরকার বিক্রয় কেন্দ্র কম হওয়ার বিষয়ে জানান, এটি সরকারি সিদ্ধান্ত। তিনি আরও জানান, যেসব ডিলার পণ্য উত্তোলন করবে না বা উত্তোলন করা পণ্য কালোবাজারে বিক্রি করবে তাদের ডিলারশিপ বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে টিসিবি।---ডিনিউজ

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়