ঢাকা: মিশরের রাজধানী কায়রোতে পুলিশ ও ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট মুরসির সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে ৭ জন নিহত হয়েছেন। ৩রা জুলাই দেশটির সামরিক বাহিনী মুরসিকে ক্ষমতা থেকে অপসারণ করার পর থেকে মিশরের রাজপথে নতুন এ রাজনৈতিক সহিংসতা শুরু হয়েছে। কায়রোর চারটি ভিন্ন স্থানে সোমবার গভীর রাত থেকে গতকাল ভোর পর্যন্ত চলা সংঘর্ষে কমপক্ষে আরও ২৬১ জন আহত হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। নিহত ৭ জনের বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাকে কোনকিছু জানানো হয়নি। তবে এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা জানান, মুরসি সমর্থকরা কায়রো ইউনিভার্সিটির প্রধান ক্যাম্পাসে অবস্থান ধর্মঘট করাকালীন পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে ৪ জন নিহত হয়। বর্তমানে নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলার কোন অনুমতি না থাকায় নাম গোপন রাখার শর্তে ওই কর্মকর্তা এ কথা জানিয়েছেন। শহরের কেন্দ্রে ঘনীভূত হওয়া সংঘর্ষে মুরসি সমর্থকদের পুলিশের উপর পাথর ও হাতবোমা নিক্ষেপ করতে দেখা যায়। জবাবে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের প্রতি টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। পুলিশ টিয়ারশেলের পাশাপাশি তাজা গুলি ছুড়েছে বলে দাবি করেছে মুরসি সমর্থকরা। প্রতিবাদকারীরা মুরসিকে পুনরায় প্রেসিডেন্ট হিসেবে পুনর্বহাল করার দাবি জানিয়েছে। সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মোরসিকে ক্ষমতা থেকে অপসারণ করার সঙ্গে সঙ্গে দেশের গণতান্ত্রিক শাসনেরও অবসান ঘটেছে বলে মুরসি সমর্থকরা মন্তব্য করে। কায়রোর দুটি ভিন্নস্থানে তারা অবস্থান ধর্মঘট পালন করে। একটি কায়রো ইউনিভার্সিটির প্রধান ক্যাম্পাসে এবং অপরটি পূর্ব কায়রোর একটি মসজিদের পাশে। দুটি এলাকাই মুরসির দল মুসলিম ব্রাদারহুডের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। দেশের সঙ্কট নিরসনে ব্যর্থ হওয়া এবং নিজ হাতে অতিরিক্ত ক্ষমতা নিয়ে নেয়ার অভিযোগ তুলে মুরসির পদত্যাগের দাবিতে কয়েক দিনব্যাপী গণ-আন্দোলনের মুখে সামরিক বাহিনী মুরসিকে ক্ষমতা থেকে অপসারণ করে। মুরসি এবং মুসলিম ব্রাদারহুডের বক্তব্য হচ্ছে, ২০১১-এর গণ-অভ্যুত্থানে হোসনি মোবারক ক্ষমতা থেকে উচ্ছেদ হওয়ার পর থেকে সাবেক ওই স্বৈরশাসকের বিশ্বাসভাজনরা মুরসির পতনের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে গেছে। এবং একের পর এক প্রতিবাদ, বিক্ষোভ, ধর্মঘট করে মুরসিকে সংস্কারমূলক পদক্ষেপ নিতে দেয়া হয়নি।--ডিনিউজ
খবর বিভাগঃ
দেশের বাইরে
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়