ঢাকা: সিলেট ফুটবল একাডেমি শেষ পর্যন্ত টেন্ডার জটিলতার অবসান ঘটিয়ে কার্যক্রমের জট খুলতে যাচ্ছে। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) ডেভলেপম্যান্ট কমিটির চেয়ারম্যান বাদল রায়ও সাংবাদিকদের জানিয়েছেন টেন্ডার হয়েছে, কয়েক দিনের মধ্যে কাজ শুরু হবে। জানা গেছে চারটি টেন্ডারের মধ্যে তিনটি সম্পন্ন হয়েছে। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদও ঠিকাদারকে কাজ শুরু করতে বলেছে। সূত্র জানায়, আপাতত মাঠ সংস্কার, ভবন চুনকাম করা, ফার্নিচার তৈরি করাসহ নানা প্রয়োজনীয় কিছু বিষয় নিশ্চিত করতে হবে একাডেমি শুরু করতে হলে। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ কাজে হাত দেয়ায় নড়েচড়ে বসেছে বাফুফে। তারাও বাছাইকৃত ফুটবলারদের ডাকার জন্য উদ্যোগ নিয়েছে। বাফুফে আগেই দেশ জুড়ে খেলোয়াড় বাছাই করে রেখেছিল। কিন্তু একাডেমি শুরু করতে না পারায় ক্যাম্পে ডাকতে পারেনি তাদের। ঈদের পরই খেলোয়াড়দের ডাকা হবে। তবে বাছাইকৃতদের বর্তমান অবস্থা কি, তা জানার জন্য ঈদের পর এক সপ্তাহ ফিটনেস দেখা হবে। বাফুফে গত ডিসেম্বরে লম্বা বাছাই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ফেব্র“য়ারিতে অনূর্ধ্ব-১৪ বছর বয়সের ৩৭ জন এবং অনূর্ধ্ব-১৮ বছর বয়সের ২৭ জন ফুটবলারকে চূড়ান্তভাবে বাছাই করে রেখেছিল। কিন্তু একাডেমি শুরু করতে না পারায় খেলোয়াড়রা যোগ দিতে পারেননি ক্যাম্পে। এখন খেলোয়াড়রা কে কোথায় আছেন সে ব্যাপারেও নিশ্চিত নয় বাফুফে। কারণ অনেক খেলোয়াড় বাড়ি চলে গেছেন। তারা সেখানে ফুটবল খেলায় ছিলেন কিনা তাও নিশ্চিত নয়। এ কারণে জেলার বাইরের খেলোয়াড়সহ অন্যদের আরো একবার নতুন করে দেখার প্রয়োজন মনে করছে বাফুফে। অবশ্য একাডেমির জন্য বাছাই করা কিছু খেলোয়াড় শেখ জামালের ক্যাম্পে রয়েছে। কয়েকজন ফুটবলার রয়েছেন মোহামেডানের জুনিয়র ক্যাম্পে। গত বছর ৬ মার্চ ফিফার সভাপতি সেপ ব্ল্যাটার বাংলাদেশ সফরে এলে তিনি একাডেমির জন্য চার লাখ ডলার অনুদান দেয়ার কথা জানান।
ডিনিউজবিডি/সোহেল
খবর বিভাগঃ
খেলাধুলা
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়