ঢাকা : ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় এলে বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ায় বিপর্যয় নেমে আসতে পারে। তাই তাদের প্রতিহত করতে মহাজোট আরো সম্প্রসারণ করা উচিত।
শনিবার দুপুরে রাজধানীর তোপখানা রোডের শহীদ আসাদ মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন।
মেনন বলেন, বর্তমান পরিস্থিতির ধারাবাহিকতায় কিংবা অন্য কোনো উপায়ে বিএনপি-জামায়াত শাসন ক্ষমতায় পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হলে কেবল বাংলাদেশ নয়, দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে বিপর্যয় নেমে আসতে পারে।
তিনি বলেন, এখন থেকেই যদি সরকারের ধারাবাহিক সাফল্য প্রচার করা যায়, সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে কাজ করা যায়, তা হলে এই সরকার আবারও ক্ষমতায় আসবে।
মেনন বলেন, ওয়ার্কার্স পার্টি আশা করে, দেশে দক্ষিণপন্থার পুনরুত্থান রুখে সামাজিক প্রগতি, অগ্রগতি ও মুক্তিযুদ্ধের ধারায় দেশকে এগিয়ে নিতে সব দায়িত্বশীল রাজনৈতিক সংগঠন এই আহ্বানে সাড়া দিয়ে এগিয়ে আসবে।
তিনি বলেন, আগামী দিনে এ সরকার যদি ক্ষমতায় না আসে, তা হলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার অতীতের মতো বন্ধ হবে। দণ্ডপ্রাপ্তরা মুক্তি পাবে। স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের অর্জনগুলোর বিনাশ হবে। নারীরা আফগানিস্তানের মতো কর্মহীন, স্বাধীনতাবিহীন অবস্থায় ঘরে অবরুদ্ধ হবেন। এজন্য বর্তমান সরকার ক্ষমতায় না এলে কারও জন্য সুখকর হবে না।
মহাজোট নেতা মেনন বলেন, জামায়াত-শিবির এখনই নিষিদ্ধ করা প্রয়োজন। ইতিমধ্যে নির্বাচন কমিশন ঘোষণা দিয়েছে, মানবতাবিরোধী ট্রাইব্যুনালে দণ্ডিতরা নির্বাচন করতে পারবেন না।
তিনি বলেন, এছাড়া ট্রাইব্যুনাল জামায়াতকে স্বাধীনতাবিরোধী সংগঠন বলেছে। সুতরাং তাদের নিষিদ্ধ করা এখন সময়ের দাবি। জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধের জন্য সুপ্রিম কোর্টে যে রিট আবেদন আছে, তারও নিষ্পত্তি প্রয়োজন।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ওয়ার্কার্স পার্টির কোনো রূপরেখা আছে কী-না- জানতে চাইলে মেনন বলেন, আমাদের স্পষ্ট বক্তব্য, নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী করতে হবে। মন্ত্রিপরিষদ, জনপ্রশাসন, স্বরাষ্ট্রসহ চারটি মন্ত্রণালয় নির্বাচন কমিশনের অধীনে থাকলে যারা সরকারে থাকবে তাদের দাফতরিক কাজ ছাড়া অন্য কিছুই করার থাকবে না।
শ্রম আইন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই আইনে শ্রমিক ও মালিক কারোরই কল্যাণ হয়নি। বিদেশিদের চাপে পড়ে আইনটি করা হয়েছে। এ আইন সম্পর্কে সংসদে আমি পাঁচটি সংশোধনী দিয়েছিলাম, সবগুলো বাতিল হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান মল্লিক।
উপস্থিত ছিলেন দলের পলিটব্যুরো সদস্য বিমল বিশ্বাস, নুরুল হাসান, ফজলে হোসেন বাদশা এমপি, শফিউদ্দিন আহমেদ, মাহমুদুল হাসান মানিক, হাজেরা সুলতানা, কামরূল আহসান, কেন্দ্রীয় মিডিয়া সেলের সম্পাদক রফিকুল ইসলাম সুজন প্রমুখ।--ডিনিউজ
শনিবার দুপুরে রাজধানীর তোপখানা রোডের শহীদ আসাদ মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন।
মেনন বলেন, বর্তমান পরিস্থিতির ধারাবাহিকতায় কিংবা অন্য কোনো উপায়ে বিএনপি-জামায়াত শাসন ক্ষমতায় পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হলে কেবল বাংলাদেশ নয়, দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে বিপর্যয় নেমে আসতে পারে।
তিনি বলেন, এখন থেকেই যদি সরকারের ধারাবাহিক সাফল্য প্রচার করা যায়, সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে কাজ করা যায়, তা হলে এই সরকার আবারও ক্ষমতায় আসবে।
মেনন বলেন, ওয়ার্কার্স পার্টি আশা করে, দেশে দক্ষিণপন্থার পুনরুত্থান রুখে সামাজিক প্রগতি, অগ্রগতি ও মুক্তিযুদ্ধের ধারায় দেশকে এগিয়ে নিতে সব দায়িত্বশীল রাজনৈতিক সংগঠন এই আহ্বানে সাড়া দিয়ে এগিয়ে আসবে।
তিনি বলেন, আগামী দিনে এ সরকার যদি ক্ষমতায় না আসে, তা হলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার অতীতের মতো বন্ধ হবে। দণ্ডপ্রাপ্তরা মুক্তি পাবে। স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের অর্জনগুলোর বিনাশ হবে। নারীরা আফগানিস্তানের মতো কর্মহীন, স্বাধীনতাবিহীন অবস্থায় ঘরে অবরুদ্ধ হবেন। এজন্য বর্তমান সরকার ক্ষমতায় না এলে কারও জন্য সুখকর হবে না।
মহাজোট নেতা মেনন বলেন, জামায়াত-শিবির এখনই নিষিদ্ধ করা প্রয়োজন। ইতিমধ্যে নির্বাচন কমিশন ঘোষণা দিয়েছে, মানবতাবিরোধী ট্রাইব্যুনালে দণ্ডিতরা নির্বাচন করতে পারবেন না।
তিনি বলেন, এছাড়া ট্রাইব্যুনাল জামায়াতকে স্বাধীনতাবিরোধী সংগঠন বলেছে। সুতরাং তাদের নিষিদ্ধ করা এখন সময়ের দাবি। জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধের জন্য সুপ্রিম কোর্টে যে রিট আবেদন আছে, তারও নিষ্পত্তি প্রয়োজন।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ওয়ার্কার্স পার্টির কোনো রূপরেখা আছে কী-না- জানতে চাইলে মেনন বলেন, আমাদের স্পষ্ট বক্তব্য, নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী করতে হবে। মন্ত্রিপরিষদ, জনপ্রশাসন, স্বরাষ্ট্রসহ চারটি মন্ত্রণালয় নির্বাচন কমিশনের অধীনে থাকলে যারা সরকারে থাকবে তাদের দাফতরিক কাজ ছাড়া অন্য কিছুই করার থাকবে না।
শ্রম আইন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই আইনে শ্রমিক ও মালিক কারোরই কল্যাণ হয়নি। বিদেশিদের চাপে পড়ে আইনটি করা হয়েছে। এ আইন সম্পর্কে সংসদে আমি পাঁচটি সংশোধনী দিয়েছিলাম, সবগুলো বাতিল হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান মল্লিক।
উপস্থিত ছিলেন দলের পলিটব্যুরো সদস্য বিমল বিশ্বাস, নুরুল হাসান, ফজলে হোসেন বাদশা এমপি, শফিউদ্দিন আহমেদ, মাহমুদুল হাসান মানিক, হাজেরা সুলতানা, কামরূল আহসান, কেন্দ্রীয় মিডিয়া সেলের সম্পাদক রফিকুল ইসলাম সুজন প্রমুখ।--ডিনিউজ
খবর বিভাগঃ
রাজনীতি
সর্বশেষ সংবাদ
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়