চট্টগ্রাম: অছাত্র এবং বিবাহিতদের নিয়ে গঠিত কমিটি প্রত্যাখ্যান করে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের পদ বঞ্চিত নেতারা।
সোমবার দুপুর সাড়ে ১১টার দিকে নগর বিএনপির দলীয় কার্যালয় নাসিমন ভবনের সামনে থেকে আলী মর্তুজা ও শেখ রাসেলে নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি নগরীর লাভলেন এনায়েতবাজার নেভাল একাডেমী হয়ে কাজির দেউড়ি মোড়ে এসে শেষ হয়।
মিছিল থেকে বেশ কয়েকটি ককটেল বিষ্ফোরণ ঘটনো হয়। এসময় তারা নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ডা.শাহাদাত হোসেনের ছবি সম্বলিত বিভিন্ন ব্যানার ছিঁড়ে ফেলেন।
সেখানে ১১ সদস্যের ঘোষিত কমিটিকে পকেট কমিটি আখ্যায়িত করে বক্তব্য দেন নেতা-কর্মীরা। সোমবার বিকেলে মধ্যে এ কমিটি স্থগিত না করলে হরতাল কর্মসূচি দেওয়ারও হুমকি দেন তারা।
উল্লেখ্য, রোববার রাতে সম্মেলনের তিন বছর পর চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল। ১১ সদস্যের এ কমিটিতে সভাপতি করা হয়েছে নগরীর বাকলিয়া থানার সভাপতি গাজী সিরাজকে আর সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে বেলায়েত হোসেন বুলুকে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, গাজী সিরাজ দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে তিনবার বহিস্কার হয়েছেন। সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু ছাত্রত্ব হারিয়েছেন অনেক বছর আগেই। তার সন্তান অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র। বাকি নয়জন নেতার মধ্যেও অধিকাংশই বিবাহিত। তারা ব্যস্ত রয়েছেন নিজের পরিবার ও ব্যবসা নিয়ে।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা অভিযোগ করেন, ১১ সদস্যের ঘোষিত চট্টগ্রাম মহানগর কমিটিতে যারা স্থান পেয়েছেন তারা দলের ত্যাগী নেতা নয়। এছাড়া তারা অধিকাংশই বিবাহিত, অছাত্র এবং চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত।
নগর কমিটিতে সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী শেখ রাসেল বলেন, কমিটিতে যাকে সভাপতি করা হয়েছে তিনি দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে তিনবার বহিস্কার হয়েছেন। তিনি কিভাবে নেতা হন আমাদের জানা নেই।
তিনি বলেন, নগর কমিটিতে থাকা একাধিক যোগ্য নেতা কমিটির গুরুত্বপূর্ণ পদ পায়নি অথচ একজন থানা শাখার সভাপতি হয়েছেন মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি। এটা আমরা মানতে পারি না।
শেখ রাসেল বলেন,‘দলের আন্দোলন সংগ্রাম করতে গিয়ে একাধিক মামলা-হামলার শিকার হয়েছি। এখনো হরতালেরর আগের দিন বাসায় থাকতে পারি না। অথচ ত্যাগী নেতারা কমিটিতে নেই।‘
সমাবেশে বক্তারা অভিযোগ করেন বর্তমান কমিটিতে যারা আন্দোলন সংগ্রামে ছিল তাদের মূল্যায়ন না করে টাকার বিনিময়ে কমিটি দেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, সর্বশেষ ২০০৩ সালে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের কমিটি গঠন হয়েছিল। ২০০৫ সালে ছাত্রদলে চট্টগ্রামের দুই নেতার সমর্থকদের মধ্যে সংর্ঘষের পর কয়েক বছর বিলুপ্ত ছিল নগর কমিটির কার্যক্রম।
২০১০ সালের ১০ আগস্ট নতুন কমিটি গঠনের জন্য সপ্তম কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হলেও সেই ফলাফল প্রকাশ করেনি কেন্দ্রীয় ছাত্রদল। সর্বশেষ রোববার রাতে ১১ সদস্যের কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল। কিন্তু সেখানে বিবাহিত, অছাত্র এবং অযোগ্যদের স্থান দেয়ায় অসন্তোষ দেখা দেয় মাঠ পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের মাছে।
কমিটিতে স্থান পাওয়া বাকি নয়জন হলেন-সিনিয়র সহ-সভাপতি মাঈন উদ্দিন শহীদ, সহ-সভাপতি চৌধুরী ফজলুল হক সুমন ও জিয়াউর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক এইচ এম রাশেদ খান, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক মোশাররফ হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক জালাল উদ্দিন সোহেল, আলী মর্তুজা খান ও জমির উদ্দিন নাহিদ। --ডিনিউজ
সোমবার দুপুর সাড়ে ১১টার দিকে নগর বিএনপির দলীয় কার্যালয় নাসিমন ভবনের সামনে থেকে আলী মর্তুজা ও শেখ রাসেলে নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি নগরীর লাভলেন এনায়েতবাজার নেভাল একাডেমী হয়ে কাজির দেউড়ি মোড়ে এসে শেষ হয়।
মিছিল থেকে বেশ কয়েকটি ককটেল বিষ্ফোরণ ঘটনো হয়। এসময় তারা নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ডা.শাহাদাত হোসেনের ছবি সম্বলিত বিভিন্ন ব্যানার ছিঁড়ে ফেলেন।
সেখানে ১১ সদস্যের ঘোষিত কমিটিকে পকেট কমিটি আখ্যায়িত করে বক্তব্য দেন নেতা-কর্মীরা। সোমবার বিকেলে মধ্যে এ কমিটি স্থগিত না করলে হরতাল কর্মসূচি দেওয়ারও হুমকি দেন তারা।
উল্লেখ্য, রোববার রাতে সম্মেলনের তিন বছর পর চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল। ১১ সদস্যের এ কমিটিতে সভাপতি করা হয়েছে নগরীর বাকলিয়া থানার সভাপতি গাজী সিরাজকে আর সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে বেলায়েত হোসেন বুলুকে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, গাজী সিরাজ দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে তিনবার বহিস্কার হয়েছেন। সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু ছাত্রত্ব হারিয়েছেন অনেক বছর আগেই। তার সন্তান অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র। বাকি নয়জন নেতার মধ্যেও অধিকাংশই বিবাহিত। তারা ব্যস্ত রয়েছেন নিজের পরিবার ও ব্যবসা নিয়ে।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা অভিযোগ করেন, ১১ সদস্যের ঘোষিত চট্টগ্রাম মহানগর কমিটিতে যারা স্থান পেয়েছেন তারা দলের ত্যাগী নেতা নয়। এছাড়া তারা অধিকাংশই বিবাহিত, অছাত্র এবং চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত।
নগর কমিটিতে সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী শেখ রাসেল বলেন, কমিটিতে যাকে সভাপতি করা হয়েছে তিনি দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে তিনবার বহিস্কার হয়েছেন। তিনি কিভাবে নেতা হন আমাদের জানা নেই।
তিনি বলেন, নগর কমিটিতে থাকা একাধিক যোগ্য নেতা কমিটির গুরুত্বপূর্ণ পদ পায়নি অথচ একজন থানা শাখার সভাপতি হয়েছেন মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি। এটা আমরা মানতে পারি না।
শেখ রাসেল বলেন,‘দলের আন্দোলন সংগ্রাম করতে গিয়ে একাধিক মামলা-হামলার শিকার হয়েছি। এখনো হরতালেরর আগের দিন বাসায় থাকতে পারি না। অথচ ত্যাগী নেতারা কমিটিতে নেই।‘
সমাবেশে বক্তারা অভিযোগ করেন বর্তমান কমিটিতে যারা আন্দোলন সংগ্রামে ছিল তাদের মূল্যায়ন না করে টাকার বিনিময়ে কমিটি দেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, সর্বশেষ ২০০৩ সালে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের কমিটি গঠন হয়েছিল। ২০০৫ সালে ছাত্রদলে চট্টগ্রামের দুই নেতার সমর্থকদের মধ্যে সংর্ঘষের পর কয়েক বছর বিলুপ্ত ছিল নগর কমিটির কার্যক্রম।
২০১০ সালের ১০ আগস্ট নতুন কমিটি গঠনের জন্য সপ্তম কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হলেও সেই ফলাফল প্রকাশ করেনি কেন্দ্রীয় ছাত্রদল। সর্বশেষ রোববার রাতে ১১ সদস্যের কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল। কিন্তু সেখানে বিবাহিত, অছাত্র এবং অযোগ্যদের স্থান দেয়ায় অসন্তোষ দেখা দেয় মাঠ পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের মাছে।
কমিটিতে স্থান পাওয়া বাকি নয়জন হলেন-সিনিয়র সহ-সভাপতি মাঈন উদ্দিন শহীদ, সহ-সভাপতি চৌধুরী ফজলুল হক সুমন ও জিয়াউর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক এইচ এম রাশেদ খান, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক মোশাররফ হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক জালাল উদ্দিন সোহেল, আলী মর্তুজা খান ও জমির উদ্দিন নাহিদ। --ডিনিউজ
খবর বিভাগঃ
রাজনীতি
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়