:: এম.সাইফুর রহমান তালুকদার, সিলেট সিলেটের সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারত থেকে অবাধে আসছে আগ্নেয়াস্ত্র, গুলি ও বিস্ফোরক। সিলেট বিভাগের চার জেলার বিভিন্ন এলাকা দিয়ে ১০টি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে আগ্নেয়াস্ত্র প্রবেশ করছে বাংলাদেশে।
রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা,নির্বাচনকে টার্গেট করে সন্ত্রাসীরা এসব অস্ত্র মজুদ করছে বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। গোয়েন্দা সংস্থার সূত্রে জানা যায়, সিলেট বিভাগের চার জেলার ১৫টি সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারত থেকে আগ্নেয়াস্ত্র সরবরাহ করছে ১০টি শক্তিশালী সিন্ডিকেট।
সূত্রটি আরো জানায়, সিলেট জেলার গোয়াইনঘাটের সোনারহাট, রাধানগর, লালাখালের উৎসমুখ, জাফলংয়ের বল্লাঘাট, তামাবিল, কোম্পানীগঞ্জের ভোলাগঞ্জ, সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার বাঁশতলা, ছাতকের বনগাঁও, তাহিরপুরে টেকেরঘাট, মৌলভীবাজার জেলার জুড়ি উপজেলার লাঠিটিলা, ফুলতলা, কুলাউড়ার শরীফপুর, চাতলাপুর ও হবিগঞ্জে আরো দুইটি সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারত থেকে আগ্নেয়াস্ত্র ও বিস্ফোরক তৈরির নানা উপকরণ বাংলাদেশে আসে।
ভারত থেকে আসা অস্ত্রগুলোর মধ্যে পিস্তল, শর্টগান, গুলি এবং বিস্ফোরক তৈরির সরঞ্জামাদির মধ্যে গন্ধক, সালফার, সোডিয়াম ক্লোরাইড ও ডেটিনেটর অন্যতম।
সুনামগঞ্জের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে আসা অস্ত্রগুলো রেল ও নৌপথে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পরে।
অস্ত্র পরিবহণের ক্ষেত্রে নিম্ন-আয়ের পরিবারের মহিলা ও শিশুদের ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও ছাতক থেকে পাথর বোঝাই কার্গো করেও অস্ত্র বিভিন্ন স্থানে পাচার হয়ে থাকে।
সিলেটের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে আসা অস্ত্রগুলো পাথর ও কয়লা বোঝাই ট্রাকে করে পাচার হয়ে থাকে। তবে সীমান্ত এলাকা থেকে নগরী পর্যন্ত অস্ত্র নিয়ে আসতে ব্যবহার করা হয় অ্যাম্বুলেন্স। মৌলভীবাজার সীমান্ত দিয়ে আসা অস্ত্র স্থানীয়ভাবে ব্যবহৃত হলেও হবিগঞ্জ দিয়ে আসা অস্ত্রগুলো ব্রাহ্মনবাড়িয়া হয়ে বিভিন্ন স্থানে চলে যায়।
সর্বশেষ মঙ্গলবার গোয়াইনঘাট উপজেলার সোনারহাট সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে আসা ১০টি আগ্নেয়াস্ত্রের একটি চালান আটক করে পুলিশ। এসময় সাহাব উদ্দিন ও আবদুর রাজ্জাক নামের দুইব্যক্তিকে আটক করা হয়। সাহাব উদ্দিন ২০০৯ সালে আরেকবার অস্ত্রসহ র্যা্বের হাতে আটক হয়েছিল। সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আগে মহানগর পুলিশ ও র্যা বের বিশেষ অভিযানে ৩০টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছে।
সিলেট সীমান্ত দিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র আসা প্রসঙ্গে পুলিশ সুপার নূরে আলম মিনা বলেন,"সীমান্তের বিভিন্ন স্থানে কাঁটাতারের বেড়া না থাকায় অস্ত্রব্যবসায়ীরা অস্ত্র নিয়ে আসার সুযোগ পাচ্ছে। এ ব্যাপারে বিজিবির পাশাপাশি পুলিশ সর্তক রয়েছে।"
সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি বীরমুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন ভুঁইয়া বলেন, "সিলেটের কোন কোন সীমান্ত দিয়ে অস্ত্র আসে এর কোন তালিকা নেই পুলিশের কাছে। তবে পুলিশ মাঝে মধ্যে অভিযান চালিয়ে অস্ত্র উদ্ধার ও অস্ত্র ব্যবসায়ীদের আটক করছে। আগ্নেয়াস্ত্রের প্রবেশ ঠেকাতে সীমান্ত এলাকায় পুলিশের বাড়তি নজরদারি রয়েছে।"(পরিবর্তন ডটকম)
এমএসআরটি/এসএআই/যাকা
রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা,নির্বাচনকে টার্গেট করে সন্ত্রাসীরা এসব অস্ত্র মজুদ করছে বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। গোয়েন্দা সংস্থার সূত্রে জানা যায়, সিলেট বিভাগের চার জেলার ১৫টি সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারত থেকে আগ্নেয়াস্ত্র সরবরাহ করছে ১০টি শক্তিশালী সিন্ডিকেট।
সূত্রটি আরো জানায়, সিলেট জেলার গোয়াইনঘাটের সোনারহাট, রাধানগর, লালাখালের উৎসমুখ, জাফলংয়ের বল্লাঘাট, তামাবিল, কোম্পানীগঞ্জের ভোলাগঞ্জ, সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার বাঁশতলা, ছাতকের বনগাঁও, তাহিরপুরে টেকেরঘাট, মৌলভীবাজার জেলার জুড়ি উপজেলার লাঠিটিলা, ফুলতলা, কুলাউড়ার শরীফপুর, চাতলাপুর ও হবিগঞ্জে আরো দুইটি সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারত থেকে আগ্নেয়াস্ত্র ও বিস্ফোরক তৈরির নানা উপকরণ বাংলাদেশে আসে।
ভারত থেকে আসা অস্ত্রগুলোর মধ্যে পিস্তল, শর্টগান, গুলি এবং বিস্ফোরক তৈরির সরঞ্জামাদির মধ্যে গন্ধক, সালফার, সোডিয়াম ক্লোরাইড ও ডেটিনেটর অন্যতম।
সুনামগঞ্জের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে আসা অস্ত্রগুলো রেল ও নৌপথে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পরে।
অস্ত্র পরিবহণের ক্ষেত্রে নিম্ন-আয়ের পরিবারের মহিলা ও শিশুদের ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও ছাতক থেকে পাথর বোঝাই কার্গো করেও অস্ত্র বিভিন্ন স্থানে পাচার হয়ে থাকে।
সিলেটের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে আসা অস্ত্রগুলো পাথর ও কয়লা বোঝাই ট্রাকে করে পাচার হয়ে থাকে। তবে সীমান্ত এলাকা থেকে নগরী পর্যন্ত অস্ত্র নিয়ে আসতে ব্যবহার করা হয় অ্যাম্বুলেন্স। মৌলভীবাজার সীমান্ত দিয়ে আসা অস্ত্র স্থানীয়ভাবে ব্যবহৃত হলেও হবিগঞ্জ দিয়ে আসা অস্ত্রগুলো ব্রাহ্মনবাড়িয়া হয়ে বিভিন্ন স্থানে চলে যায়।
সর্বশেষ মঙ্গলবার গোয়াইনঘাট উপজেলার সোনারহাট সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে আসা ১০টি আগ্নেয়াস্ত্রের একটি চালান আটক করে পুলিশ। এসময় সাহাব উদ্দিন ও আবদুর রাজ্জাক নামের দুইব্যক্তিকে আটক করা হয়। সাহাব উদ্দিন ২০০৯ সালে আরেকবার অস্ত্রসহ র্যা্বের হাতে আটক হয়েছিল। সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আগে মহানগর পুলিশ ও র্যা বের বিশেষ অভিযানে ৩০টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছে।
সিলেট সীমান্ত দিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র আসা প্রসঙ্গে পুলিশ সুপার নূরে আলম মিনা বলেন,"সীমান্তের বিভিন্ন স্থানে কাঁটাতারের বেড়া না থাকায় অস্ত্রব্যবসায়ীরা অস্ত্র নিয়ে আসার সুযোগ পাচ্ছে। এ ব্যাপারে বিজিবির পাশাপাশি পুলিশ সর্তক রয়েছে।"
সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি বীরমুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন ভুঁইয়া বলেন, "সিলেটের কোন কোন সীমান্ত দিয়ে অস্ত্র আসে এর কোন তালিকা নেই পুলিশের কাছে। তবে পুলিশ মাঝে মধ্যে অভিযান চালিয়ে অস্ত্র উদ্ধার ও অস্ত্র ব্যবসায়ীদের আটক করছে। আগ্নেয়াস্ত্রের প্রবেশ ঠেকাতে সীমান্ত এলাকায় পুলিশের বাড়তি নজরদারি রয়েছে।"(পরিবর্তন ডটকম)
এমএসআরটি/এসএআই/যাকা
খবর বিভাগঃ
অপরাধ বার্তা
বিশেষ খবর
সর্বশেষ সংবাদ
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়