পাইকগাছা (খুলনা): কপোতাক্ষ পর খুলনার পাইকগাছা উপজেলার শিবসা ও হাড়িয়া নদী মৃত্যুর পথে। শিবসা নদীর বক্ষে পলি পড়ে উচু হতে শুরু করেছে। জোয়ারের পানি নদীতে ধারণ করতে না পেরে প্লাবিত করছে পৌর বাজারসহ আশে-পাশের নিম্নাঞ্চল। আর এ অবস্থা চলছে গত ৪/৫ বছর। বিশেজ্ঞদের অভিমত, এমনটি অব্যাহত থাকলে আগামী ৫/৬বছরের মধ্যে শিবসা নদী মৃত্যু হয়ে ইতিহাসের পাতায় উঠবে। খরস্রোতা প্রমত্তা কপোতাক্ষ নদ নিজের রুদ্র মুর্তি হারিয়ে পরিণত হয়েছে ধু-ধু বালুময় প্রান্তরে। মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত ও বিশ্ববরণ্য বিজ্ঞানী আশ্চর্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায় স্মৃতি বিজড়িত কপোতাক্ষ নদ কালের গর্ভে বিলীন হয়ে আজ নিশ্চহ্ন প্রায়। উপজেলার বৃহৎ তিন নদ-নদী (কপোতাক্ষ, শিবসা ও হাড়িয়া) মৃত্যুর সাথে বিলুপ্ত হতে চলেছে প্রায় দু’শতাধিক সংযোগ খালের। নিশ্চিহ্ন প্রায় অধিকাংশ খাল। ইতিমধ্যে নদ-নদী ও খালের চরভরাটি জায়গা প্রভাবশালীরা দখল নিয়ে সেখানে গড়ে তুলেছে বসতিসহ বিভিন্ন স্থাপনা।
স্থানীয়দের ভাষ্য মতে, ওয়াপদার উন্নয়ন প্রকল্পগুলোই নদ-নদীগুলোকে গলাটিপে হত্যা করেছে। আর বিশেষজ্ঞ বলছেন, নদীর ওপর বিশ্বব্যাংক ইউএসএইড ও এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের অর্থায়নে পানি উন্ননের নামে যে স্থাপনা তৈরী করে তা দেশের নদ-নদীর জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। পাইকগাছা ও কয়রা উপজেলার ভিতর দিয়ে প্রবাহিত কপোতাক্ষ, শিবসা ও হাড়িয়া নদের ভরাটের কারনে ২টি উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন এবং ১টি পৌরসভার প্রায় ৫ লাখ মানুষের জন্য চরম দূর্বিষহ জীবন-যাপন অপেক্ষা করছে। নদ-নদী গুলো খননে ভ্রান্তনীতির ফলে এ অঞ্চল বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়ে কৃত্রিম জলাবদ্ধতার আশঙ্কা করছে সাধারণ মানুষ।
ভারতের ফারাক্কার ফাঁদ, বাংলাদেশের পানি উন্নয়ন বোর্ডের অপরিকল্পিত ভেড়িবাঁধ, স্লুইসগেট ও ব্রিজ নির্মাণ। এ ছাড়া অবৈধ দখলদারদের সীমাহীন অত্যাচারে উপজেলার নদ-নদীগুলো গতিপথ পরিবর্তন করেও বাঁচতে পারেনি। এর ফলে মৃত্যুর শেষ প্রহর গুনছে ঐ উপজেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত তিন নদ-নদীসহ দু’শতাধিক সংযোগ খাল।
নদ-নদীগুলোর তীর ঘেষে উপজেলার ৩৮৩.৮৭ বর্গ কি. মি. (সুন্দরবনসহ) এলাকায় ১টি পৌরসভা ও ১০টি ইউনিয়নে ১৩২টি গ্রামে বাস করছে প্রায় ৩ লক্ষাধিক মানুষ। একদিকে বৃষ্টির পানি প্রবাহের মূল উৎসহ রূদ্ধ হচ্ছে অন্যদিকে জোয়ারে উগরে দেয়া পানি প্লাবিত করছে নদের দু’তীর। আর পাইকগাছা ও কয়রা উপজেলার মানুষের জন্য অপেক্ষা করছে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ। নদী বাঁচাও আর ভূমি দস্যু ঠেকাও এ স্লোগানকে সামনে রেখে সোচ্চার হচ্ছে পরিবেশবাদী সংগঠনসহ ভূক্তভোগী মানুষ। এ দিকে কপোতাক্ষ, শিবসা ও হাড়িয়া নদীর চর ভরাটি জায়গা দখলের প্রতিযোগীতায় নেমেছে ভুমি দস্যুরা। অন্যদিকে সরকারি সম্পত্তি দখল ও ভূয়া কাগজপত্র তৈরী করে একটি চক্র হাঁতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকার সম্পদ।
উপজেলায় ২২৫ কিঃমিঃ ভেড়ী বাঁধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতাধীন ৯টি পোল্ডার এবং ১৫১টি স্লুইচ গেট রয়েছে। ঐ সকল স্লুইচ গেট ও ভেড়ী বাঁধ অবৈধ ভাবে কেটে লবণ পানি তুলে চাষ করছে চিংড়ি। আশির দশকে নির্মৃত ঐ সকল স্লুইচ গেট ও ভেড়ী বাঁধ দীর্ঘ দিন সংস্কার না করায় বর্তমানে সে গুলো ঝুঁকি পূর্ণ। অন্যদিকে দীর্ঘদিন প্রাকৃতিক বিবর্তন ও মানুষের সৃষ্টি বিভিন্ন ধরণের প্রতিবন্ধকতায় নদীর বক্ষে পলি জমে তলদেশ ভরাট হয়ে পানি বহন ক্ষমতা একেবারেই নেই ঐ সব নদ-নদীর। বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় পরিকল্পনা ও সিদ্ধান্ত হয় কপোতাক্ষ, শিবসা ও হাড়িয় নদীর ২৫০ কি. মি. পর্যন্ত খনন। কিন্তু বর্তমান মহাজোট সরকার কপোতাক্ষ খননে প্রায় ২৬২ টাকা বরাদ্দ দিলেও দেয়নি শিবসা ও হাড়িয় নদী খননে। এদিকে সুবিধাভোগীদের কুটকৌশলের কারনে কপোতাক্ষ খনন কাজও বন্ধের সংশয় দেখা দিয়েছে। সব মিলিয়ে উপজেলার তিন নদ-নদী সংষ্কার ও পুনরুজ্জীবনে বাস্তব সম্মত ব্যবস্তা না নিলে দক্ষিণাঞ্চলের কয়েক লাখ মানুষ পানিবন্দী হয়ে উদ্বাস্ত জীবন যাপন করবে বলছেন বিশেষজ্ঞরা।(ডিনিউজ)
স্থানীয়দের ভাষ্য মতে, ওয়াপদার উন্নয়ন প্রকল্পগুলোই নদ-নদীগুলোকে গলাটিপে হত্যা করেছে। আর বিশেষজ্ঞ বলছেন, নদীর ওপর বিশ্বব্যাংক ইউএসএইড ও এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের অর্থায়নে পানি উন্ননের নামে যে স্থাপনা তৈরী করে তা দেশের নদ-নদীর জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। পাইকগাছা ও কয়রা উপজেলার ভিতর দিয়ে প্রবাহিত কপোতাক্ষ, শিবসা ও হাড়িয়া নদের ভরাটের কারনে ২টি উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন এবং ১টি পৌরসভার প্রায় ৫ লাখ মানুষের জন্য চরম দূর্বিষহ জীবন-যাপন অপেক্ষা করছে। নদ-নদী গুলো খননে ভ্রান্তনীতির ফলে এ অঞ্চল বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়ে কৃত্রিম জলাবদ্ধতার আশঙ্কা করছে সাধারণ মানুষ।
ভারতের ফারাক্কার ফাঁদ, বাংলাদেশের পানি উন্নয়ন বোর্ডের অপরিকল্পিত ভেড়িবাঁধ, স্লুইসগেট ও ব্রিজ নির্মাণ। এ ছাড়া অবৈধ দখলদারদের সীমাহীন অত্যাচারে উপজেলার নদ-নদীগুলো গতিপথ পরিবর্তন করেও বাঁচতে পারেনি। এর ফলে মৃত্যুর শেষ প্রহর গুনছে ঐ উপজেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত তিন নদ-নদীসহ দু’শতাধিক সংযোগ খাল।
নদ-নদীগুলোর তীর ঘেষে উপজেলার ৩৮৩.৮৭ বর্গ কি. মি. (সুন্দরবনসহ) এলাকায় ১টি পৌরসভা ও ১০টি ইউনিয়নে ১৩২টি গ্রামে বাস করছে প্রায় ৩ লক্ষাধিক মানুষ। একদিকে বৃষ্টির পানি প্রবাহের মূল উৎসহ রূদ্ধ হচ্ছে অন্যদিকে জোয়ারে উগরে দেয়া পানি প্লাবিত করছে নদের দু’তীর। আর পাইকগাছা ও কয়রা উপজেলার মানুষের জন্য অপেক্ষা করছে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ। নদী বাঁচাও আর ভূমি দস্যু ঠেকাও এ স্লোগানকে সামনে রেখে সোচ্চার হচ্ছে পরিবেশবাদী সংগঠনসহ ভূক্তভোগী মানুষ। এ দিকে কপোতাক্ষ, শিবসা ও হাড়িয়া নদীর চর ভরাটি জায়গা দখলের প্রতিযোগীতায় নেমেছে ভুমি দস্যুরা। অন্যদিকে সরকারি সম্পত্তি দখল ও ভূয়া কাগজপত্র তৈরী করে একটি চক্র হাঁতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকার সম্পদ।
উপজেলায় ২২৫ কিঃমিঃ ভেড়ী বাঁধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতাধীন ৯টি পোল্ডার এবং ১৫১টি স্লুইচ গেট রয়েছে। ঐ সকল স্লুইচ গেট ও ভেড়ী বাঁধ অবৈধ ভাবে কেটে লবণ পানি তুলে চাষ করছে চিংড়ি। আশির দশকে নির্মৃত ঐ সকল স্লুইচ গেট ও ভেড়ী বাঁধ দীর্ঘ দিন সংস্কার না করায় বর্তমানে সে গুলো ঝুঁকি পূর্ণ। অন্যদিকে দীর্ঘদিন প্রাকৃতিক বিবর্তন ও মানুষের সৃষ্টি বিভিন্ন ধরণের প্রতিবন্ধকতায় নদীর বক্ষে পলি জমে তলদেশ ভরাট হয়ে পানি বহন ক্ষমতা একেবারেই নেই ঐ সব নদ-নদীর। বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় পরিকল্পনা ও সিদ্ধান্ত হয় কপোতাক্ষ, শিবসা ও হাড়িয় নদীর ২৫০ কি. মি. পর্যন্ত খনন। কিন্তু বর্তমান মহাজোট সরকার কপোতাক্ষ খননে প্রায় ২৬২ টাকা বরাদ্দ দিলেও দেয়নি শিবসা ও হাড়িয় নদী খননে। এদিকে সুবিধাভোগীদের কুটকৌশলের কারনে কপোতাক্ষ খনন কাজও বন্ধের সংশয় দেখা দিয়েছে। সব মিলিয়ে উপজেলার তিন নদ-নদী সংষ্কার ও পুনরুজ্জীবনে বাস্তব সম্মত ব্যবস্তা না নিলে দক্ষিণাঞ্চলের কয়েক লাখ মানুষ পানিবন্দী হয়ে উদ্বাস্ত জীবন যাপন করবে বলছেন বিশেষজ্ঞরা।(ডিনিউজ)
খবর বিভাগঃ
ফিচার
ফিচার পাতা
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়