Friday, June 21

উত্তরাখণ্ডে সহস্রাধিক নিহতের আশঙ্কা

ঢাকা: ভারতের উত্তরাখণ্ড রাজ্যে ভয়াবহ বন্যা ও ভূমিধসে কয়েক হাজার মানুষ নিহত হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। দেশটির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং উত্তরাখণ্ড রাজ্যের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কেন্দ্র এ আশঙ্কা ব্যাক্ত করেছে।
 
তবে এখনো সরকারিভাবে নিহতের সংখ্যা ১৫০ জন বলা হচ্ছে। এর মধ্যে তীর্থ যাত্রীদের বিশ্রামাগার ধর্মশালায় মারা গেছে ৯০ জন। ফলে আগামী তিন বছর রাজ্যের কেদারনাথ মন্দিরের তীর্থযাত্রা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
 
 উত্তরাখন্ডের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় বাহুগুন বলেন, ‘এটি একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং এর ভয়াবহতায় আমি অনুভূতিশূন্য হয়ে গেছি।’
 
 উত্তরাখন্ডের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কেদারনাথ মন্দিরের আশপাশে সরকারি ও বেসরকারি প্রায় সব হোটেল এবং শতাধিক দোকান-পাট ধ্বংস হয়ে গেছে। তবে বৃহস্পতিবার আকাশ পরিষ্কার হওয়ার পর আবার উদ্ধার কাজ শুরু হয়েছে এবং কেদারনাথ ও গোবিন্দঘাট এলাকা থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ১৫ হাজার মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে।
 
ভারতীয় সেনাবাহিনী বলছে, রাজ্যে তারা দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে। তারপরও বৃহস্পতিবার দুর্গতদের উদ্ধারে সরকারকে সর্বশক্তি নিয়োগের আদেশ দিয়েছে দেশটির সর্বোচ্চ আদালত।  
জানা যায়, আগে থেকেই উদ্ধার অভিযানে ১২টি হেলিকপ্টার নিয়োজিত করা হয়। উদ্ধার অভিযান জোরদারের জন্য এর সঙ্গে আরো আটটি হেলিকপ্টার যুক্ত করা হয়েছে। এর আগে, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে বন্যা কবলিত লোকজনকে উদ্ধার অভিযান বন্ধ করে দেয় দেশটির বিমানবাহিনী।
 
ভারতীয় আবহাওয়া বিভাগের তথ্য মতে, উত্তরাখণ্ডে গত কয়েকদিনে ৩৮০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে যা স্বাভাবিকের চেয়ে শতকরা ৪৫০ ভাগ বেশি। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে- বন্যা ও ভূমিধসে ৬২ হাজার মানুষ আটকা পড়েছে।
 
এদিকে এই ভয়াবহ প্রাণহানীর জন্য সরকারের অবহেলাকেই দায়ি করছে ভারতের বিরোধী দলগুলো। এত বড় একটি প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে কেনো সরকার আগে থেকে উত্তরাখণ্ডবাসীকে সতর্ক করলো না তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে তারা।
 
বাংলামেইল২৪ডটকম/এসএম/০৮৪৫ ঘণ্টা, ২১ জুন ২০১৩
 

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়