ঢাকা : মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় অভিযুক্ত বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী চতুর্থ দিনের মতো নিজের পক্ষে সাক্ষ্য দেয়ার সময় বলেন, ‘আমি রাজনৈতিক নির্যতনের শিকার।’
বৃহস্পতিবার সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী রাজনৈতিক নির্যাতনের ওপর বক্তব্য রাখেন।
তিনি বলেন, ‘পাকিস্তান আমলের ২৩ বছরে এমন একটি ঘটনা আমি মনে করতে পারছি না যেখানে রাজনৈতিক নেতা ও জনপ্রতিনিধিদের কারাগারে থাকা অবস্থায় দৈহিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।’
একই সঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘এমন কোন কথাও শুনা যায়নি যে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ গ্রেপ্তারের পর অন্য কারো দ্বারা কোনো রকম নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘পাকিস্তান আমলে আদালতের সুবিচার পেতে হাইকোর্টের বিচারকদের সীমাবদ্ধতা ছিল না।’
এ সময় ট্রাইব্যুনাল বলেন, এ বক্তব্য দেয়া যাবে না। উপস্থিত প্রসিকিউটর সুলতান মাহমুদ সীমন বলেন, মাই লর্ড, জুডিশিয়ারির ওপর হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে। রুলসে এ জবানবন্দি মামলায় ডিফেন্সকে সমর্থন করছেনা। এখানে একটি ওয়ার্ডও নাই ডিফেন্সকে সমর্থন সহযোগিতা করে।
তখন সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী বলেন, ‘ঠাকুর ঘরে কে রে, আমি কলা খাই না।’ পরে সাক্ষের এ অংশটুকু রেকর্ডে রাখা হয়নি।
তিনি বলেন, ‘প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সমসাময়িক সময়ে খেলাফত আন্দোলন নেতা মাওলানা মোহাম্মদ আলী, মাওলানা শওকত আলীকে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছিল। ওই মামলায় ডিফেন্স সাক্ষী হিসেবে মাওলানা মোহাম্মদ আলী ২ মাস ২৪ দিন আমার মতো দাঁড়িয়ে সাক্ষ্য দিয়েছিলেন।’
তিনি বলেন, ‘তখন আমরা ছিলাম পরাধীন। এখন এ স্বাধীন দেশে মাত্র তিন দিন পরই আমাকে টাইম ম্যানেজম্যান্টের কথা শুনানো হচ্ছে। আমি আড়াই বছর যাবত জেলে আছি।’
সালাহউদ্দিন কাদের বলেন, মাওলানা মোহাম্মদ আলী ও মাওলানা শওকত আলী তখন রাজনৈতিক হয়রানির শিকার হয়েছিলেন।
তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক হয়রানীর শিকার হয়েছেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বেগম খালেদা জিয়া। শারীরিকভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড.মহিউদ্দিন খান আলমগীর, শেখ সেলিম, ওবায়দুল কাদের, আবদুল জলিলের মতো শীর্ষ রাজনৈতিক নেতারাও।
বিএনপির জ্যেষ্ট এই নেতা বলেন, ‘আমি ফজলুল কাদের চৌধুরীর ছেলে হওয়ার সুবাদে রাজনৈতিক অঙ্গনের সর্বোচ্চ মঞ্চে আসন গ্রহণের সুযোগ পেয়েছি। প্রতিটি পেশাজীবী সম্প্রদায় নিজেদের স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য নিজেদের সংগঠন রয়েছে। কিন্ত শুধুমাত্র রাজনীতিবীদদের এমন কোনো সংগঠন নেই।’
তিনি বলেন, ‘রাজনীতিবীদরা নিজেদের সম্প্রদায়কে আক্রমণের জন্য হিংস্র প্রাণীর মতো হয়ে যায়। একজন আরেক জনের মাথা কিভাবে খাবে এ নিয়ে ব্যাস্ত থাকে।’
সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী বলেন, ‘১৯৯১ সালে জাতীয় পার্টির এমপি-মন্ত্রীরা হুলিয়ার কারণে শপথ নিতে পারছিল না। আমর বন্ধু আনোয়ার হোসেন মঞ্জু তখন আগের দিন রাতে সংসদ ভবনের ৭তলার রুমে চলে আসে। পরদিন আমি নিজে তাকে স্পিকারের কাছে নিয়ে শপথ করাই।’
‘এ নিয়ে তখন আওয়ামী লীগ এমপিরা সংসদে তীব্র প্রতিবাদ করেন। ওই সময় বিএনপি ক্ষমতায় ছিল। আমি তখন এনডিপি করতাম’ যোগ করেন তিনি।
আজ চেয়ারম্যান এটিএম ফজলে কবীরের অনুপস্থিতে মামলা পরিচালনা করেন প্রথম আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুলের সদস্য বিচারপতি জাহাঙ্গর হোসেন ও আনোয়ারুল হক। মামলার কার্যক্রম আগামী রবিবার ২৩ জুন পর্যন্ত মুলতবি করা হয়েছে।(ডিনিউজ)
বৃহস্পতিবার সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী রাজনৈতিক নির্যাতনের ওপর বক্তব্য রাখেন।
তিনি বলেন, ‘পাকিস্তান আমলের ২৩ বছরে এমন একটি ঘটনা আমি মনে করতে পারছি না যেখানে রাজনৈতিক নেতা ও জনপ্রতিনিধিদের কারাগারে থাকা অবস্থায় দৈহিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।’
একই সঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘এমন কোন কথাও শুনা যায়নি যে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ গ্রেপ্তারের পর অন্য কারো দ্বারা কোনো রকম নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘পাকিস্তান আমলে আদালতের সুবিচার পেতে হাইকোর্টের বিচারকদের সীমাবদ্ধতা ছিল না।’
এ সময় ট্রাইব্যুনাল বলেন, এ বক্তব্য দেয়া যাবে না। উপস্থিত প্রসিকিউটর সুলতান মাহমুদ সীমন বলেন, মাই লর্ড, জুডিশিয়ারির ওপর হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে। রুলসে এ জবানবন্দি মামলায় ডিফেন্সকে সমর্থন করছেনা। এখানে একটি ওয়ার্ডও নাই ডিফেন্সকে সমর্থন সহযোগিতা করে।
তখন সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী বলেন, ‘ঠাকুর ঘরে কে রে, আমি কলা খাই না।’ পরে সাক্ষের এ অংশটুকু রেকর্ডে রাখা হয়নি।
তিনি বলেন, ‘প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সমসাময়িক সময়ে খেলাফত আন্দোলন নেতা মাওলানা মোহাম্মদ আলী, মাওলানা শওকত আলীকে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছিল। ওই মামলায় ডিফেন্স সাক্ষী হিসেবে মাওলানা মোহাম্মদ আলী ২ মাস ২৪ দিন আমার মতো দাঁড়িয়ে সাক্ষ্য দিয়েছিলেন।’
তিনি বলেন, ‘তখন আমরা ছিলাম পরাধীন। এখন এ স্বাধীন দেশে মাত্র তিন দিন পরই আমাকে টাইম ম্যানেজম্যান্টের কথা শুনানো হচ্ছে। আমি আড়াই বছর যাবত জেলে আছি।’
সালাহউদ্দিন কাদের বলেন, মাওলানা মোহাম্মদ আলী ও মাওলানা শওকত আলী তখন রাজনৈতিক হয়রানির শিকার হয়েছিলেন।
তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক হয়রানীর শিকার হয়েছেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বেগম খালেদা জিয়া। শারীরিকভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড.মহিউদ্দিন খান আলমগীর, শেখ সেলিম, ওবায়দুল কাদের, আবদুল জলিলের মতো শীর্ষ রাজনৈতিক নেতারাও।
বিএনপির জ্যেষ্ট এই নেতা বলেন, ‘আমি ফজলুল কাদের চৌধুরীর ছেলে হওয়ার সুবাদে রাজনৈতিক অঙ্গনের সর্বোচ্চ মঞ্চে আসন গ্রহণের সুযোগ পেয়েছি। প্রতিটি পেশাজীবী সম্প্রদায় নিজেদের স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য নিজেদের সংগঠন রয়েছে। কিন্ত শুধুমাত্র রাজনীতিবীদদের এমন কোনো সংগঠন নেই।’
তিনি বলেন, ‘রাজনীতিবীদরা নিজেদের সম্প্রদায়কে আক্রমণের জন্য হিংস্র প্রাণীর মতো হয়ে যায়। একজন আরেক জনের মাথা কিভাবে খাবে এ নিয়ে ব্যাস্ত থাকে।’
সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী বলেন, ‘১৯৯১ সালে জাতীয় পার্টির এমপি-মন্ত্রীরা হুলিয়ার কারণে শপথ নিতে পারছিল না। আমর বন্ধু আনোয়ার হোসেন মঞ্জু তখন আগের দিন রাতে সংসদ ভবনের ৭তলার রুমে চলে আসে। পরদিন আমি নিজে তাকে স্পিকারের কাছে নিয়ে শপথ করাই।’
‘এ নিয়ে তখন আওয়ামী লীগ এমপিরা সংসদে তীব্র প্রতিবাদ করেন। ওই সময় বিএনপি ক্ষমতায় ছিল। আমি তখন এনডিপি করতাম’ যোগ করেন তিনি।
আজ চেয়ারম্যান এটিএম ফজলে কবীরের অনুপস্থিতে মামলা পরিচালনা করেন প্রথম আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুলের সদস্য বিচারপতি জাহাঙ্গর হোসেন ও আনোয়ারুল হক। মামলার কার্যক্রম আগামী রবিবার ২৩ জুন পর্যন্ত মুলতবি করা হয়েছে।(ডিনিউজ)
খবর বিভাগঃ
রাজনীতি
সর্বশেষ সংবাদ
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়