Monday, June 24

সংসদে স্থায়ী হলো ‘চুদুরবুদুর'

জাতীয় সংসদে বিরোধী দলের সদস্য রেহানা আক্তার রানু যে শব্দ উচ্চারণ করে আলোচিত হয়েছেন, যে শব্দ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে এতো হৈ চৈ, সেই ‘চুদুরবুদুর’’ শব্দটি সংসদের কার্যবিবরণী থেকে বাদ দেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।
জাতীয় সংসদের নিজ কার্যালয়ে সোমবার দুপুরে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “শব্দটি একটি কলোকুইয়াল ল্যাঙ্গগুয়েজ (অপ্রচলিত কথ্য শব্দ)। সংসদে ওই শব্দটি যখন উচ্চারিত হয়, তখনো আমি বলিনি যে এক্সপাঞ্জ করা হবে। এটা অশালীন কোনো শব্দ নয়।”
‘চুদুরবুদুর’ শব্দটি নিয়ে সংসদে উত্তাপের পর আলোচনা গড়ায় আন্তর্জাতিক পর্যায়েও। ভারতের সর্বাধিক প্রচারিত বাংলা দৈনিক আনন্দবাজারও শব্দটির উৎপত্তি ও অর্থবিচার করে তা অশ্লীল কি না- খতিয়ে দেখার চেষ্টা করে।
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ সম্পাদিত বাংলা একাডেমীর অভিধান থেকে উদ্ধৃত করে এবং রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য, লেখক, গবেষক ও ভাষাবিদ অধ্যাপক পবিত্র সরকারের বক্তব্যের ভিত্তিতে আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘চুদুরবুদুর’ গ্রাম্য শব্দ, অশ্লীল নয়।
নোয়াখালীর বাসিন্দা স্পিকার শিরীন শারমিনও বলছেন, “শব্দটি অশালীন নয়।”
৯ জুন জাতীয় সংসদে সম্পূরক বাজেটের ওপর আলোচনার সময় বিএনপির সংরিক্ষত আসনের সদস্য রেহানা আক্তার রানু ফেনীর আঞ্চলিক ভাষায় বলেন, “তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়া কোনো চুদুরবুদুর চইলত ন।”
এর পরপরই সরকারি সদস্যরা তীব্র প্রতিবাদ করতে থাকেন। হুইপ আ স ম ফিরোজও রানুর বক্তব্যকে ‘অশোভন’ আখ্যা দিয়ে এক্সপাঞ্জের দাবি জানান।
ওইদিন স্পিকার বলেন, “ওই বক্তব্য পরীক্ষা করে ৩০৭ বিধি অনুযায়ী কার্যবিবরণী থেকে বাদ দেয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।”(পরিবর্তন)

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়