বামনা (বরগুনা): বরগুনার বামনা উপজেলা সদরের সারওয়ারজান মডেল স্কুল এন্ড কলেজের ২০১৩ সালের এসএসসি ও ভোকেশনাল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ১২৪জন শিক্ষার্থীর ট্রান্সক্রিপ্ট ও প্রশংসাপত্র আটকিয়ে রাখার অভিযোগ উঠেছে। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান এসএসসি উত্তীর্ণ ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের প্রতিষ্ঠানটির সদ্য অনুমোদনকৃত কলেজ শাখায় জবরদস্তি ভর্তির জন্য ১২৪ শিক্ষার্থী কাগজপত্র আটকে রেখেছে। রবিবার বেলা ১১টায় ভুক্তভোগী শতাধিক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা ওই প্রতিষ্ঠানের বারান্দায় অবস্থান নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানায়। এসময় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা অভিযোগ করেন স্কুল কর্তৃপক্ষ ১২৪ জন এসএসসি উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীর ট্রান্সক্রিপ্ট ও প্রশংসাপত্র আটকে রেখেছেন যাতে তারা অন্য কোথাও ভর্তির সুযোগ না পায়।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী মো. মিজানুর রহমান লিখিত বক্তব্য পাঠ করে। অভিযোগে বলা হয়,বামনা সদরের সারওয়ারজান মডেল স্কুল এন্ড কলেজের ২০১৩ সালের এসএসসি ও ভোকেশনাল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ১২৪জন শিক্ষার্থী এসএমএস এর মাধ্যমে ভালো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়ার জন্য আবেদন করে। তাদের মধ্যে ৬১জন শিক্ষার্থীর নাম ভালো কলেজের ভর্তি তালিকায় প্রকাশিত হয়। ওই শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা সারওয়ারজান মডেল স্কুল এন্ড কলেজ কর্তৃপক্ষের নিকট তাদের ট্রান্সক্রিপ্ট ও প্রশংসাপত্র উত্তোলন করতে গেলে টালবাহানা শুরু করে। শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের সাফ জানিয়ে দেন কাগপত্র দেওয়া হবেনা কেননা সকলকে এই প্রতিষ্ঠানের কলেজ শাখায় বাধ্যতামূল ভর্তি হতে হবে। এমন কি কলেজ শাখায় ভর্তি হওয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের চাপ প্রয়োগ দেয়। ভাল কলেজে ভর্তির সুযোগ পাওয়া শিক্ষার্থীদের গতকাল রবিবার (৩০ জুন) ভর্তির শেষ তারিখ ছিল। কিন্তু স্কুল কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের কাগজপত্র না দেওয়ায় তারা ভর্তির সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়। এতে শিক্ষার্থীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী মো. নাহিদুল ইসলাম অভিযোগ করে, সে এবার ওই প্রতিষ্ঠান হতে মানবিক বিভাগে সন্তোষজনক ফলাফল করে উত্তীর্ণ হয়। ভাল একটি কলেজে ভর্তির জন্য আবেদন করে সে ভর্তির সুযোগ পায়। ভর্তির জন্য স্কুল হতে কাগজপত্র উত্তোলনের জন্য গেলে স্কুল কর্তপক্ষ কাগজপত্র আটকে রাখে। কর্তৃপক্ষ বাধ্যতামূলক ওই স্কুলে সদ্য অনুমোদনকৃত কলেজ শাখায় ভর্তির জন্য চাপ দেয়। রবিবার ভর্তির শেষ তারিখ থাকলেও স্কুল কর্তৃপক্ষ তার মত সকল শিক্ষার্থীর কাগজপত্র আটকে রাখায় সে পছন্দমত ভাল কলেজে ভর্তির সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়।
এ ব্যাপারে বামনা সদরের পশ্চিম শফিপুর গ্রামের বাসিন্দা অভিভাবক তপন কুমার দাস ক্ষোভ প্রক্শা করে বলেন,ওই স্কুলের নতুন খোলা কলেজ শাখায় কোন শিক্ষক নেই। সেখানে আমার ছেলে কোন ভবিষ্যতের আশায় ভর্তি হবে। জবরদস্তি ছেলের কাগজপত্র আটকে রাখায় আমার ছেলে শিক্ষা জীবন নিয়ে হতাশ হয়ে পড়ছি। এর প্রতিকার চাই।
সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুল কাদের ফরাজী এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে তিনি এ বিষয়টি কর্তৃপক্ষের এখতিয়ারভূক্ত বলে পরে কথা বলার জন্য অনুরোধ করেন।
এ বিষয়ে বরিশাল মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. বিমল কৃষ্ণ মজুমদার সাংবাদিকদের বলেন, শিক্ষার্থীদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর করে কোন প্রতিষ্ঠান ভর্তি করাতে পারেনা। এটা বেআইনী। ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। লিখিত অভিযোগ পেলে ওই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রশানিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।(ডিনিউজ)
খবর বিভাগঃ
অন্য জেলা
সর্বশেষ সংবাদ
সারাদেশ
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়