সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ড সম্পর্কিত তথ্য ও উপাত্ত নিয়ে উইকিপিডিয়ায় একটি পেইজ খোলা হয়েছে। পেইজটিতে বলা হয়েছে, "বাংলাদেশে সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ড একটি অমীমাংসিত মামলা"।
এতে আরো বলা হয়, সুপরিচিত এই সাংবাদিক দম্পতিকে হত্যার পেছনের কারণ এখনো উন্মোচন করা সম্ভব হয়নি। ঢাকায় নিজ ফ্লাটে আতাতায়ীর ছুরিকাঘাতে নির্মমভাবে এই হত্যাকাণ্ড চালানো হয়।
খুনের ঘটনাটি উচ্চস্তরের রাজনৈতিক মহল ও আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে আলোচিত হয়। জার্মান বার্তা সংস্থা ডয়চে ভেলে এই ঘটনাটি নিয়ে একাধিক সময়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সাগর সারওয়ার একসময় ডয়চে ভেলেতে সাংবাদিক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থাগুলো খুনের ঘটনাটি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করে। সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ড নিয়ে বাংলাদেশি সাংবাদিক সংগঠনগুলো ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন করলেও এখন পর্যন্ত এই হত্যাকাণ্ডের কোনো সুরাহা করতে পারেনি আইন-শৃংখলা বাহিনী।
২০১২ সালের ১১ই ফেব্রুয়ারি নিজ বাড়িতে খুন হন মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর এবং এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রুনি।
হত্যাকাণ্ড থেকে বেঁচে যায় তাদের শিশু সন্তান মাহির সরওয়ার মেঘ।
ঘটনার পরপরই তৎকালীর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন খুনিদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার করা হবে বলে ঘোষণা দেন। ঘোষণার বাস্তবায়ন না হওয়ার জন্য ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়তে হয় তাকে।
বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খানও আশ্বাস দিয়েছিলেন এ হত্যা মামলা তদন্তে জজ মিয়া নাটক সাজানো হবেনা। প্রকৃত খুনিদের ধরতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
হত্যাকাণ্ডের আট মাস পর ২০১২ সালের ৯ অক্টোবর মহীউদ্দীন খান আলমগীর এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, হত্যাকাণ্ডে জড়িত হিসেবে আটজনকে সনাক্ত করা হয়েছে এবং সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর তিন মাস পর ‘সনাক্ত’ আরেকজন বাড়ির পাহারাদার হুমায়ুন ওরফে এনামুলকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তবে গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের যে কয়জনের ডিএনএ পরীক্ষা হয়েছে, তার নমুনার সঙ্গে সাংবাদিক দম্পতির বাড়িতে পাওয়া নমুনার মিল পাওয়া যায়নি।
এ হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবিতে সাংবাদিকদের চারটি সংগঠন আন্দোলন চালিয়ে আসছে।
তবে, সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনির হত্যাকাণ্ডের তদন্তে সরকার ‘টালবাহানা’ করছে বলে বিভিন্ন সময় অভিযোগ করেছেন সাগরের মা সালেহা মনির।(:: পরিবর্তন প্রতিবেদক :: )
খবর বিভাগঃ
বিশেষ খবর
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়