মহম্মদপুর (মাগুরা) : চৈত্রের খরাকেও হার মানিয়েছে আষাঢ়। প্রচন্ড দাবদাহে ওষ্ঠাগত মানুষ-প্রাণিকূল। অথচ জৈষ্ঠ্যের বড়ো একটা সময় ধরে অবিরাম বৃষ্টি ছিলো। মানুষ, প্রাণিকূল ও প্রকৃতিতে ছিলো শীতল স্পর্শ। অথচ আষাঢ়ে নেই বাদল ধারা। আষাঢ় মানেই বাদল, বাদল মানেই আষাঢ়; দু’টোর মধ্যে একটা নিবিড় যোগসুত্র বা সম্পর্ক ছিলো। কিন্তু চলমান বাস্তবতায় চিরচেনা সেই যোগসুত্রের মিল খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
কবিগুরু রবীন্দ্র নাথের ভাষায়, নীল নবঘনে আষাঢ় গগণে/ তিল ঠাঁই আর নাহিরে/ ওগো আজ তোরা যাসনে/ ঘরের বাহিরে। কবি কাজী নজরুলে ভাষায়, আজ যেন মেঘের মাথায়/ আম জাম আর কাঁঠাল ছায়ায়/ বর্ষার রূপ দেখ দু'চোখ ভরে/ নদ-নদীতে বৃষ্টি খেলা করে। বিখ্যাত ওই দুই কবির রচনায়ও বর্ষার রুপ ও বৃষ্টি প্রাদান্য পেয়েছে। যদিও রবীন্দ্র নাথ ঘরের বাইরে যেতে বারণ করেছেন; কিন্তু প্রকৃতি ও দাবদাহের যে ভয়ানক অবস্থা তাতে-ঘরের বাইরে না যেয়ে উপায় কী! নদ-নদীতে নজরুলে বৃষ্টিও খেলা করছে না। অতএব, দু’চোখ ভরে বর্ষার দেখার সুযোগ নেই।
আষাঢ়ের অবস্থা অনেকটা আষাঢ়ে গল্পের মতোই গয়ে গেছে। আকাশে মেঘের ঘণঘটা ও তর্জণ-গর্জণ নেই। গুচ্ছ মেঘরাশি ভেসে বেড়ালেও আকাশ গলছে না। আষাঢ়ের বাদল¯িœগ্ধ বৃষ্টির দেখা মিলছে না। এ যেনো, গ্রীস্মের কাছে বর্ষার পরাজয়।
প্রকৃতিতে বর্ষার আমন্ত্রণ নেই। বরং বিরুপ উন্মাদণায় মেতে উঠছে। চৈত্রের কাঠ ফাঠা রোদ্দূর এখন-আষাঢ়ে। বিষেজ্ঞদের মতে, মনুষ্যসৃষ্ট নানান কারণ প্রকৃতির উপর বিরুপ প্রভাব ফেলছে। প্রকৃতি বদলে যাচ্ছে। আবাদি জমিতে ইটভাটা তৈরি, কয়লার পরিবর্তে ভাটায় অবাদে কাঠ পোড়ানো, নদী দখল করে ভরাট, অপরিকল্পিত নগরায়ণসহ নানাবিধ কারণ ও কার্যসমূহ পরিবেশ এবং প্রকৃতির উপর বিরুপ প্রভাব ফেলছে। ফলে প্রকৃতি ভারসাম্য হারিয়ে ফেলছে। যে কারণে, গ্রীস্মের বিচিত্র বৃষ্টিধারার পতন ঘটছে বর্ষায় এসে। তাইতো বর্ষায় বর্ষা (বৃষ্টি) হচ্ছে না।
এ অবস্থায় অসহনীয় দাবদাহে কাহিল হয়ে পড়ছে মানুষ ও প্রাণিকূল। অনেকে অসুস্থ্যও হয়ে পড়ছেন। গরু-ছাগলসহ অন্যান্য গবাদি পশুর ক্ষেতেও অভীন্ন অবস্থা। প্রকৃতির দাম্ভিক বিরুপ প্রভাবে হুমকির মুখে পড়ছে জীব-বৈচিত্র।(ডিনিউজ)
কবিগুরু রবীন্দ্র নাথের ভাষায়, নীল নবঘনে আষাঢ় গগণে/ তিল ঠাঁই আর নাহিরে/ ওগো আজ তোরা যাসনে/ ঘরের বাহিরে। কবি কাজী নজরুলে ভাষায়, আজ যেন মেঘের মাথায়/ আম জাম আর কাঁঠাল ছায়ায়/ বর্ষার রূপ দেখ দু'চোখ ভরে/ নদ-নদীতে বৃষ্টি খেলা করে। বিখ্যাত ওই দুই কবির রচনায়ও বর্ষার রুপ ও বৃষ্টি প্রাদান্য পেয়েছে। যদিও রবীন্দ্র নাথ ঘরের বাইরে যেতে বারণ করেছেন; কিন্তু প্রকৃতি ও দাবদাহের যে ভয়ানক অবস্থা তাতে-ঘরের বাইরে না যেয়ে উপায় কী! নদ-নদীতে নজরুলে বৃষ্টিও খেলা করছে না। অতএব, দু’চোখ ভরে বর্ষার দেখার সুযোগ নেই।
আষাঢ়ের অবস্থা অনেকটা আষাঢ়ে গল্পের মতোই গয়ে গেছে। আকাশে মেঘের ঘণঘটা ও তর্জণ-গর্জণ নেই। গুচ্ছ মেঘরাশি ভেসে বেড়ালেও আকাশ গলছে না। আষাঢ়ের বাদল¯িœগ্ধ বৃষ্টির দেখা মিলছে না। এ যেনো, গ্রীস্মের কাছে বর্ষার পরাজয়।
প্রকৃতিতে বর্ষার আমন্ত্রণ নেই। বরং বিরুপ উন্মাদণায় মেতে উঠছে। চৈত্রের কাঠ ফাঠা রোদ্দূর এখন-আষাঢ়ে। বিষেজ্ঞদের মতে, মনুষ্যসৃষ্ট নানান কারণ প্রকৃতির উপর বিরুপ প্রভাব ফেলছে। প্রকৃতি বদলে যাচ্ছে। আবাদি জমিতে ইটভাটা তৈরি, কয়লার পরিবর্তে ভাটায় অবাদে কাঠ পোড়ানো, নদী দখল করে ভরাট, অপরিকল্পিত নগরায়ণসহ নানাবিধ কারণ ও কার্যসমূহ পরিবেশ এবং প্রকৃতির উপর বিরুপ প্রভাব ফেলছে। ফলে প্রকৃতি ভারসাম্য হারিয়ে ফেলছে। যে কারণে, গ্রীস্মের বিচিত্র বৃষ্টিধারার পতন ঘটছে বর্ষায় এসে। তাইতো বর্ষায় বর্ষা (বৃষ্টি) হচ্ছে না।
এ অবস্থায় অসহনীয় দাবদাহে কাহিল হয়ে পড়ছে মানুষ ও প্রাণিকূল। অনেকে অসুস্থ্যও হয়ে পড়ছেন। গরু-ছাগলসহ অন্যান্য গবাদি পশুর ক্ষেতেও অভীন্ন অবস্থা। প্রকৃতির দাম্ভিক বিরুপ প্রভাবে হুমকির মুখে পড়ছে জীব-বৈচিত্র।(ডিনিউজ)
খবর বিভাগঃ
দর্শনীয় স্থান
ফিচার
ফিচার পাতা
বিশেষ খবর
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়