:: পরিবর্তন ডেস্ক ::
একটি স্থির চিত্র কখনো কখনো স্থিরতার সংজ্ঞাকে পাল্টে দেয়। কলকল করে কথা বলে উঠে সে। যেমনটা চীনা প্রবাদে আছে, ' একটি ছবি হাজার শব্দের কথা বলে।' তখন সেই স্থিরচিত্র আর স্থির থাকে না। স্থিরচিত্রগুলো চোখের সামনে আসা মাত্রই আমাদের মনোজগতে ভাঙচুর শুরু হয়। আবেগে ভাসায় আমাদের।
একটি স্থির চিত্র কখনো কখনো স্থিরতার সংজ্ঞাকে পাল্টে দেয়। কলকল করে কথা বলে উঠে সে। যেমনটা চীনা প্রবাদে আছে, ' একটি ছবি হাজার শব্দের কথা বলে।' তখন সেই স্থিরচিত্র আর স্থির থাকে না। স্থিরচিত্রগুলো চোখের সামনে আসা মাত্রই আমাদের মনোজগতে ভাঙচুর শুরু হয়। আবেগে ভাসায় আমাদের।
১. পাওয়ার ফ্লাওয়ার :
কবি মহাদেব সাহা লেখেছিলেন, ‘ফুল কই শুধু অস্ত্রের উল্লাস।’ বিশ্বময় এখন কেবল অস্ত্রের ঝনঝনানি। অস্ত্রের শাসনে ভালোবাসা এখন নতজানু। তবে এই পেশি দাপটের কাছে ফুল হাতে ভালোবাসার এক বার্তা নিয়েই প্রতিবাদ করেছিলেন জেইন রোজ নামের এক মার্কিন তরুণী। ১৯৬৭ সালে ভিয়েতনামে মার্কিন আগ্রাসনের প্রতিবাদেই তার এই 'পাওয়ার ফ্লাওয়ার' ব্যতিক্রমী বিক্ষোভ প্রর্দশন। ছবিটি তুলেছিলেন মার্ক রি-বন্ড।
কবি মহাদেব সাহা লেখেছিলেন, ‘ফুল কই শুধু অস্ত্রের উল্লাস।’ বিশ্বময় এখন কেবল অস্ত্রের ঝনঝনানি। অস্ত্রের শাসনে ভালোবাসা এখন নতজানু। তবে এই পেশি দাপটের কাছে ফুল হাতে ভালোবাসার এক বার্তা নিয়েই প্রতিবাদ করেছিলেন জেইন রোজ নামের এক মার্কিন তরুণী। ১৯৬৭ সালে ভিয়েতনামে মার্কিন আগ্রাসনের প্রতিবাদেই তার এই 'পাওয়ার ফ্লাওয়ার' ব্যতিক্রমী বিক্ষোভ প্রর্দশন। ছবিটি তুলেছিলেন মার্ক রি-বন্ড।
২. কাটাতারে বাঁধা জীবন :
চারপাশে তার কাটাতারে ঘেরা, শুধু স্বপ্নটাকে যায়নি বাঁধা। আর তাই কাটাতারের সীমানা অতিক্রম করে পরিবারের কাছে ফিরছে এক শিশু...। এ যেন জীবন সংগ্রামের এক অনন্য দলিল।
চারপাশে তার কাটাতারে ঘেরা, শুধু স্বপ্নটাকে যায়নি বাঁধা। আর তাই কাটাতারের সীমানা অতিক্রম করে পরিবারের কাছে ফিরছে এক শিশু...। এ যেন জীবন সংগ্রামের এক অনন্য দলিল।
৩. আহাজারি :
শাষকগোষ্ঠীর বন্দুক সবসময় আহাজারির জন্ম ছাড়া আর কিছুই দিতে পারেনি। মুক্তির কথা বলে বন্দিই করেছে, প্রাণ বাচাঁনোর কথা বলে প্রাণ নিয়েছে। যুক্তরাস্ট্রের কেন্টস্টেট এ ন্যাশনাল গার্ডের গুলিতে নিহত হয়ে রাস্তায় পড়ে থাকা ১৪ বছরের এই কিশোরের ছবিটি তুলেছিলেন মেরি অ্যান। ১৯৭০ সালের ৪ মে তোলা এ ছবিটি বিখ্যাত পুলিৎজার পুরস্কারও অর্জন করে। তবে মৃতদেহটি শুধু অশ্রু আর শোষণের একটি প্রতীক ছাড়া আর কিইবা পেয়েছে?
শাষকগোষ্ঠীর বন্দুক সবসময় আহাজারির জন্ম ছাড়া আর কিছুই দিতে পারেনি। মুক্তির কথা বলে বন্দিই করেছে, প্রাণ বাচাঁনোর কথা বলে প্রাণ নিয়েছে। যুক্তরাস্ট্রের কেন্টস্টেট এ ন্যাশনাল গার্ডের গুলিতে নিহত হয়ে রাস্তায় পড়ে থাকা ১৪ বছরের এই কিশোরের ছবিটি তুলেছিলেন মেরি অ্যান। ১৯৭০ সালের ৪ মে তোলা এ ছবিটি বিখ্যাত পুলিৎজার পুরস্কারও অর্জন করে। তবে মৃতদেহটি শুধু অশ্রু আর শোষণের একটি প্রতীক ছাড়া আর কিইবা পেয়েছে?
৪. মানবতা এবং নৃশংসতা :
মানুষ যুদ্ধের কথা বলে আবার মানুষই শান্তির কথা বলে। জেমস নেচওয়ের তোলা এই ছবিটি বলে দেয় নৃশংতার রূপ আসলে কেমন। রুয়ান্ডার গণহত্যা এবং ভয়াবহ নির্যাতনের জ্বলন্ত স্থিরচিত্র এটি।
মানুষ যুদ্ধের কথা বলে আবার মানুষই শান্তির কথা বলে। জেমস নেচওয়ের তোলা এই ছবিটি বলে দেয় নৃশংতার রূপ আসলে কেমন। রুয়ান্ডার গণহত্যা এবং ভয়াবহ নির্যাতনের জ্বলন্ত স্থিরচিত্র এটি।
৫. শ্বেত সভ্যতা !
শুধু কালো হওয়ার কারণে কতো নির্যাতনই না সইতে হয়েছে কালোদের। বিশ্ব শাসনকারী সভ্য সাদা চামড়ার (শ্বেতকায়) মানুষগুলো এই কালোদের পথের পশু-প্রাণীর চেয়ে বেশি ঘৃণার চোখে দেখতো। এই শোষণের একটি চিত্র তুলে ধরা হয়েছে ছবিটির মাধ্যম। যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ক্যারোলাইনা থেকে ১৯৫০ সালে ক্ল্যাসিক ছবিটি তুলেছিলেন ইলিয়ট এরোইট।
শুধু কালো হওয়ার কারণে কতো নির্যাতনই না সইতে হয়েছে কালোদের। বিশ্ব শাসনকারী সভ্য সাদা চামড়ার (শ্বেতকায়) মানুষগুলো এই কালোদের পথের পশু-প্রাণীর চেয়ে বেশি ঘৃণার চোখে দেখতো। এই শোষণের একটি চিত্র তুলে ধরা হয়েছে ছবিটির মাধ্যম। যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ক্যারোলাইনা থেকে ১৯৫০ সালে ক্ল্যাসিক ছবিটি তুলেছিলেন ইলিয়ট এরোইট।
৬. সভ্যতা বন্দি !
সময়ের সাথে এগিয়ে মানুষের নানা আবিষ্কারে পৃথিবী সভ্য হচ্ছে। প্রচলিত এই বাক্যটি মিথ্যা প্রমাণ করে পৃথিবী পিছনের দিকে হেঁটে যায়, যখন এমন চিত্র প্রকাশের মাধ্যমে মানুষের নগ্নরুপ প্রকাশ্যে চলে আসে। আবুগারিব কারাগার মানব সভ্যতার সবচেয়ে বড় কলঙ্কের নাম। আবুগারিব কারাগারে মার্কিনিদের হাতে বন্দি নির্যাতনের চিত্রটি আবারো আমাদের মনে করিয়ে দেয়, আমরা আজও সভ্য হইনি।
সময়ের সাথে এগিয়ে মানুষের নানা আবিষ্কারে পৃথিবী সভ্য হচ্ছে। প্রচলিত এই বাক্যটি মিথ্যা প্রমাণ করে পৃথিবী পিছনের দিকে হেঁটে যায়, যখন এমন চিত্র প্রকাশের মাধ্যমে মানুষের নগ্নরুপ প্রকাশ্যে চলে আসে। আবুগারিব কারাগার মানব সভ্যতার সবচেয়ে বড় কলঙ্কের নাম। আবুগারিব কারাগারে মার্কিনিদের হাতে বন্দি নির্যাতনের চিত্রটি আবারো আমাদের মনে করিয়ে দেয়, আমরা আজও সভ্য হইনি।
৭. পার্থক্য !
উগান্ডা। পৃথিবীর বাইরের কোনো গ্রহ নয়। এ বিশ্বেরই একটি অংশ। অথচ দুনিয়ার অন্য প্রান্ত জানে না সেই দেশে বেঁচে থাকার মানেটা কি। জীবনের অর্থ সেখানে ধূসর। যেখানে ক্ষুধা মেটানোই দায় সেখানে পুষ্টিকর খাবার শব্দটি অর্থহীন অপলাপ মাত্র। উগান্ডার কেন এ পরিণতি সে কথা থাক। শুধু এই ছবির মাধ্যমে বিশ্ববাসী আরেকবার জেনেছে এই কালো হাতটি একটি শিশুর আর সাদা হাতটি একটি মধ্যবয়স্ক মানুষের। মানবিক আদালতে এই সভ্যতার মুখোশ উন্মোচনের ভার থাকল সেই মানুষের হাতেই। ১৯৮০ সালে উগান্ডার দুর্ভিক্ষের পর শরণার্থী শিবির থেকে এ ছবিটি তুলেছিলেন মিকি ওয়েলস।
উগান্ডা। পৃথিবীর বাইরের কোনো গ্রহ নয়। এ বিশ্বেরই একটি অংশ। অথচ দুনিয়ার অন্য প্রান্ত জানে না সেই দেশে বেঁচে থাকার মানেটা কি। জীবনের অর্থ সেখানে ধূসর। যেখানে ক্ষুধা মেটানোই দায় সেখানে পুষ্টিকর খাবার শব্দটি অর্থহীন অপলাপ মাত্র। উগান্ডার কেন এ পরিণতি সে কথা থাক। শুধু এই ছবির মাধ্যমে বিশ্ববাসী আরেকবার জেনেছে এই কালো হাতটি একটি শিশুর আর সাদা হাতটি একটি মধ্যবয়স্ক মানুষের। মানবিক আদালতে এই সভ্যতার মুখোশ উন্মোচনের ভার থাকল সেই মানুষের হাতেই। ১৯৮০ সালে উগান্ডার দুর্ভিক্ষের পর শরণার্থী শিবির থেকে এ ছবিটি তুলেছিলেন মিকি ওয়েলস।
৮. ধ্বংসস্তূপে ধূসর স্মৃতি :
সবশেষ ! প্রকৃতি কেড়ে নিয়েছে সব। ৮ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্পে সব স্বপ্ন মুহুর্তেই ধংসস্তুপে পরিণত হয়েছে। এই ধংস স্তুপের পাশে বসে প্রিয় মানুষটির ছবি হাতে কাঁদছেন এক অসহায় স্বজন। ২০০৮ ভূমিকম্পের পর চীনের সিচুয়ান প্রদেশ থেকে তোলা হয় কালজয়ী এই ছবিটি।
সবশেষ ! প্রকৃতি কেড়ে নিয়েছে সব। ৮ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্পে সব স্বপ্ন মুহুর্তেই ধংসস্তুপে পরিণত হয়েছে। এই ধংস স্তুপের পাশে বসে প্রিয় মানুষটির ছবি হাতে কাঁদছেন এক অসহায় স্বজন। ২০০৮ ভূমিকম্পের পর চীনের সিচুয়ান প্রদেশ থেকে তোলা হয় কালজয়ী এই ছবিটি।
৯. বাবা একটু দাড়াও !
কলম্বিয়ার সড়কে মার্চপাস্ট করে যাচ্ছিলো একদল সৈনিক। সে সৈনিকদের মধ্যে নিজের বাবাকে দেখে দৌড়ে আসে ছোট্ট এক শিশু। চিৎকার করে ডাকতে থাকে... ''বাবা একটু দাঁড়াও, আমার জন্য অপেক্ষা করো...। তুমি কি আবার ফিরে আসবে? কবে আসবে?'' ছোট্ট মুখে হাজারো প্রশ্ন। বাবার প্রতি শিশুমনের উত্তাল ভালবাসার অসাধারণ এ ছবিটি ১৯৪০ সালে তুলেছিলেন ক্লড পি. ডেটলফ।
কলম্বিয়ার সড়কে মার্চপাস্ট করে যাচ্ছিলো একদল সৈনিক। সে সৈনিকদের মধ্যে নিজের বাবাকে দেখে দৌড়ে আসে ছোট্ট এক শিশু। চিৎকার করে ডাকতে থাকে... ''বাবা একটু দাঁড়াও, আমার জন্য অপেক্ষা করো...। তুমি কি আবার ফিরে আসবে? কবে আসবে?'' ছোট্ট মুখে হাজারো প্রশ্ন। বাবার প্রতি শিশুমনের উত্তাল ভালবাসার অসাধারণ এ ছবিটি ১৯৪০ সালে তুলেছিলেন ক্লড পি. ডেটলফ।
১০. শেষ চেষ্টা !
কবি বলেছেন, 'একবার না পারিলে দেখো শতবার।' কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে এ কথাটা মোটেই খাটে না। যেমনটা ছবির এই মানুষটি নাটুইন টাওয়ারে হামলার পর বেঁচে থাকার শেষ চেষ্টা করেছিলেন। এই বহুতল ভবন থেকে এভাবেই ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন তিনি। দুর্ভাগ্য, চেষ্টাটা সফল হয়নি তার। অন্যদিকে বিরল আর বেদনাদায়ক ওই মূহুর্তটি ধারণ করতে সফল হয়েছিলেন এপি’র ফটোগ্রাফার রির্চাড ড্র। এ নিয়ে অবশ্য তাকে অনেক সমালোচনা আর তিরস্কার শুনতে হয়েছে। তার মতো ফটোগ্রাফারকে 'লোভী' বলতেও ছাড়েননি অনেকে।(পরিবর্তন ডটকম)
কবি বলেছেন, 'একবার না পারিলে দেখো শতবার।' কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে এ কথাটা মোটেই খাটে না। যেমনটা ছবির এই মানুষটি নাটুইন টাওয়ারে হামলার পর বেঁচে থাকার শেষ চেষ্টা করেছিলেন। এই বহুতল ভবন থেকে এভাবেই ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন তিনি। দুর্ভাগ্য, চেষ্টাটা সফল হয়নি তার। অন্যদিকে বিরল আর বেদনাদায়ক ওই মূহুর্তটি ধারণ করতে সফল হয়েছিলেন এপি’র ফটোগ্রাফার রির্চাড ড্র। এ নিয়ে অবশ্য তাকে অনেক সমালোচনা আর তিরস্কার শুনতে হয়েছে। তার মতো ফটোগ্রাফারকে 'লোভী' বলতেও ছাড়েননি অনেকে।(পরিবর্তন ডটকম)
খবর বিভাগঃ
ফটো সংবাদ
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়