ঢাকা: বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রধান নির্বাচক হিসেবে দুই বছর দায়িত্ব পালনের পর রোববার সরে দাঁড়ালেন আকরাম খান। মূলত বিসিবির আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। ২০১১ সালের জুনে প্রধান নির্বাচক হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন আকরাম। আর ২০১৩ জুনে এসে দায়িত্ব ছাড়লেন তিনি। রোববার ছিল তার প্রধান নির্বাচক হিসেবে দায়িত্ব পালনের শেষ দিন। আকরাম বলেন, বোর্ডের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিব। আমাকে বলা হচ্ছে বোর্ডে আসার জন্য। নির্বাচন করার জন্য। আমার ব্যক্তিগত ইচ্ছাও আছে নির্বাচন করার। এখন বোর্ডে পরিচালক হিসেবে থাকার আগ্রহটাই আমার বেশি। আকরাম খান বিসিবির তত্ত্বাবধায়নে কোনো কমিটিতেও আর চাকরি করতে রাজি নন। এখন বিসিবির পরিচালক হওয়ার দিকেই তার মুল আকর্ষণ। টানা ছয় বছর নির্বাচক কমিটির দায়িত্বশীল কর্মকর্তা হিসেবে দেশের ক্রিকেটের উন্নতির লক্ষ্যে কাজ করে গেছেন আকরাম। তার সময়ে বিসিবি বেশ খারাপ সময়ই পাড়ি দিয়েছে। বিশেষ করে বিপিএলের ম্যাচ ফিক্সিং নিয়ে সারা বিশ্বে আলোড়ন তুলেছিলো। এতে করে কিছুটা হলেও নির্বাচক মন্ডলীরা অসহায় বোধ করেছেন। তবে বিসিবি সেই সময়টা পাড়ি দিয়ে এসেছে। সময় এসেছে দেশের ক্রিকেটকে এগিয়ে নিতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে (বিসিবি) নীতি নির্ধারণী স্থানে বসার। সেটি চাকরি করে নয়, পরিচালক হিসেবে যুক্ত থাকতে চান আকরাম। এমনটাই তার ইচ্ছা। আকরামের রাজত্বকালে বিসিবির নির্বাচক কমিটিতে অপর দুই সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তারই সতীর্থ খেলোয়াড় মিনহাজুল আবেদিন নান্নু ও হাবিবুল বাশার সুমন। কী হচ্ছে তাদের ভাগ্যে? বিসিবি সূত্র থেকে জানা গেছে, এ দুজন নিজের অবস্থানেই বহাল থাকবেন। আবার এমনো হতে পারে আকরামের সরে যাওয়ায় নান্নুকে প্রধান নির্বাচক হিসেবে নিয়োগ দেয়া। সেক্ষেত্রে নতুন আরো একজন নির্বাচক কিংবা সংখ্যা বাড়াতে হবে। এ নিয়ে আলোচনা চলছে ক্রিকেট অপারেশনস কমিটির মধ্যে।
ডিনিউজবিডি/সোহেল
ডিনিউজবিডি/সোহেল
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়