চিতলমারী (বাগের হাট): প্রাকৃতিক বিপর্যয়, ভাইরাস সংক্রমন ব্যাধি ও মধ্যস্বত্ত্বভোগীদের কারণে এ অঞ্চলের চিংড়ি চাষিরা যেমন সংকটে তেমনি পরপর দু’বছর বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে বোরো ধান নষ্ট’র জন্য প্রত্যেক কৃষকের ঘাড়ে মোটা অংকের ঋণের বোঝা। তাই দিনদিন বাগেরহাটের কৃষক-চাষিরা ধান ও চিংড়ি চাষের প্রতি উৎসাহ-উদ্দীপনা হারিয়ে ফেলছেন। উৎপাদিত চিংড়ি ও ফসলে বারবার ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে তারা এখন প্রায় সর্বশান্ত। তবুও পরিবার-পরিজনদের নিয়ে বাঁচার তাগিদে এ জেলার চাষিরা নবউদ্যমে শুরু করেছে সবজি চাষ। তাই স্থানীয় ফড়িয়া ও মধ্যস্বত্বভোগীদের হাত থেকে রেহাই এবং উৎপাদিত ফসলের বাজারজাতকরণের পরিধি বাড়িয়ে নায্যমূল্য দিলে এ অঞ্চলের চাষিদের ভাগ্যের পরিবর্তন হতে পারে। ঘুচতে পারে পাওনাদারের তাড়া।
বাগেরহাটের জেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ জেলায় প্রায় ৮২ হাজার চিংড়ি ঘের। যার মধ্যে ৩৬ হাজার বাগদা, ৪৬ হাজার গলদা চিংড়ির ঘের রয়েছে। মোট উৎপাদিত চিংড়ির সিংহ ভাগ এ জেলায় উৎপন্ন হয়ে থাকে। এখানে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে প্রায় ২ লাখ পরিবার এ শিল্পের উপর নির্ভরশীল।
তবে চাষিরা জানান, বিভিন্ন কারণে চিংড়ি শিল্পের আয়ে এখন আর সংসার চালানো সম্ভব হচ্ছে না। তাই তারা ধান চাষে ফিরে যান। কিন্তু পরপর দু’বছর উঠতি পাকা ধান অতিবৃষ্টিতে তলিয়ে নষ্ট হয়ে যায়। ফলে কৃষকরা বিভিন্ন ব্যাংক, এনজিও, দাদন ব্যবসায়ী ও সুদখোর মহাজনের ঋণের জালে জড়িয়ে পড়েছে। উৎপাদিত চিংড়ি ও ফসলে বারবার ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে এখন তারা সর্বশান্ত। বর্তমানে পরিবার-পরিজনদের নিয়ে বাঁচার তাগিদে নবউদ্যমে সবজি চাষ শুরু করেছেন ।
চিতলমারী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অমল কান্তি রায় জানান, চিতলমারীতে বাগদা চিংড়ি ঘেরের সংখ্যা ৫ হাজার ৯৯০টি। আয়তন ২ হাজার ৪৬০ হেক্টর। গলদা চিংড়ি ঘেরের সংখ্যা ৯ হাজার ৮২০টি। আয়তন ৩ হাজার ৯৩৮.২০ হেক্টর। যার প্রতিটি ঘেরের পাড়ে হচ্ছে সবজি চাষ। চাষিরা বিভিন্ন চাষ নিয়ে এখন মহাব্যস্ত।
চিতলমারী কৃষি কর্মকর্তা মো. আবু তালহা জানান, চলতি মৌসুমে চিতলমারীতে ১৪৫ হেক্টর জমিতে করল্ল¬া, ৮৫ হেক্টরে শসা, ঢেঁড়স ৫ হেক্টের, চাল কুমড়া ১৫ হেক্টর, মিষ্টি কুমড়া ১০ হেক্টর, বেগুন ২৫ হেক্টর, বরবটি ৫ হেক্টর, লাউ ৫ হেক্টর এবং ৫ হেক্টর জমিতে পুঁইশাকের চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে বে-সরকারি পরিসংখানে প্রায় ১ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে প্রায় সাড়ে ৭ হাজার কৃষক সবজি চাষ শুরু করেছে। উপজেলার খাশেরহাট, শ্রীরামপুর, বাখেরগঞ্জ, কুরমনি, সুরশাইল, শৈলদাহ, কালিগঞ্জ, হিজলা নালুয়া, বড়বাড়িয়া ও ডুমুরিয়াসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিটি ঘেরের ওপর ব্যাপকহারে সবজির চাষ শুরু হয়েছে। এ জেলার বিভিন্ন প্রকার তরকারির ঢাকা, খুলনা, ফরিদপুরসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের চাহিদা মেটায়।
খড়মখালী গ্রামের সবজি চাষি আলমগীর তরফদার, কৃষক সুধাংশু মন্ডল, দেবেন মন্ডল, কুরমনির রেজাউল খান, কুড়ালতলার অনাদী বিশ্বাস, পাটরপাড়ার মুজিবর বিশ্বাস, দড়িউমাজুড়ি গ্রামের সুধান্ন ঘরামীসহ অসংখ্য চাষি অভিন্ন সুরে জানান, স্থানীয় ফড়িয়া ও মধ্যস্বত্বভোগীদের হাত থেকে রেহাই এবং উৎপাদিত ফসলের বাজারজাতকরণের পরিধি বাড়িয়ে নায্যমূল্য পেলে এ অঞ্চলের চাষিদের ভাগ্যের পরিবর্তন হতে পারে। ঘুচতে পারে পাওনাদারের তাড়া। (ডিনিউজ)
বাগেরহাটের জেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ জেলায় প্রায় ৮২ হাজার চিংড়ি ঘের। যার মধ্যে ৩৬ হাজার বাগদা, ৪৬ হাজার গলদা চিংড়ির ঘের রয়েছে। মোট উৎপাদিত চিংড়ির সিংহ ভাগ এ জেলায় উৎপন্ন হয়ে থাকে। এখানে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে প্রায় ২ লাখ পরিবার এ শিল্পের উপর নির্ভরশীল।
তবে চাষিরা জানান, বিভিন্ন কারণে চিংড়ি শিল্পের আয়ে এখন আর সংসার চালানো সম্ভব হচ্ছে না। তাই তারা ধান চাষে ফিরে যান। কিন্তু পরপর দু’বছর উঠতি পাকা ধান অতিবৃষ্টিতে তলিয়ে নষ্ট হয়ে যায়। ফলে কৃষকরা বিভিন্ন ব্যাংক, এনজিও, দাদন ব্যবসায়ী ও সুদখোর মহাজনের ঋণের জালে জড়িয়ে পড়েছে। উৎপাদিত চিংড়ি ও ফসলে বারবার ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে এখন তারা সর্বশান্ত। বর্তমানে পরিবার-পরিজনদের নিয়ে বাঁচার তাগিদে নবউদ্যমে সবজি চাষ শুরু করেছেন ।
চিতলমারী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অমল কান্তি রায় জানান, চিতলমারীতে বাগদা চিংড়ি ঘেরের সংখ্যা ৫ হাজার ৯৯০টি। আয়তন ২ হাজার ৪৬০ হেক্টর। গলদা চিংড়ি ঘেরের সংখ্যা ৯ হাজার ৮২০টি। আয়তন ৩ হাজার ৯৩৮.২০ হেক্টর। যার প্রতিটি ঘেরের পাড়ে হচ্ছে সবজি চাষ। চাষিরা বিভিন্ন চাষ নিয়ে এখন মহাব্যস্ত।
চিতলমারী কৃষি কর্মকর্তা মো. আবু তালহা জানান, চলতি মৌসুমে চিতলমারীতে ১৪৫ হেক্টর জমিতে করল্ল¬া, ৮৫ হেক্টরে শসা, ঢেঁড়স ৫ হেক্টের, চাল কুমড়া ১৫ হেক্টর, মিষ্টি কুমড়া ১০ হেক্টর, বেগুন ২৫ হেক্টর, বরবটি ৫ হেক্টর, লাউ ৫ হেক্টর এবং ৫ হেক্টর জমিতে পুঁইশাকের চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে বে-সরকারি পরিসংখানে প্রায় ১ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে প্রায় সাড়ে ৭ হাজার কৃষক সবজি চাষ শুরু করেছে। উপজেলার খাশেরহাট, শ্রীরামপুর, বাখেরগঞ্জ, কুরমনি, সুরশাইল, শৈলদাহ, কালিগঞ্জ, হিজলা নালুয়া, বড়বাড়িয়া ও ডুমুরিয়াসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিটি ঘেরের ওপর ব্যাপকহারে সবজির চাষ শুরু হয়েছে। এ জেলার বিভিন্ন প্রকার তরকারির ঢাকা, খুলনা, ফরিদপুরসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের চাহিদা মেটায়।
খড়মখালী গ্রামের সবজি চাষি আলমগীর তরফদার, কৃষক সুধাংশু মন্ডল, দেবেন মন্ডল, কুরমনির রেজাউল খান, কুড়ালতলার অনাদী বিশ্বাস, পাটরপাড়ার মুজিবর বিশ্বাস, দড়িউমাজুড়ি গ্রামের সুধান্ন ঘরামীসহ অসংখ্য চাষি অভিন্ন সুরে জানান, স্থানীয় ফড়িয়া ও মধ্যস্বত্বভোগীদের হাত থেকে রেহাই এবং উৎপাদিত ফসলের বাজারজাতকরণের পরিধি বাড়িয়ে নায্যমূল্য পেলে এ অঞ্চলের চাষিদের ভাগ্যের পরিবর্তন হতে পারে। ঘুচতে পারে পাওনাদারের তাড়া। (ডিনিউজ)
খবর বিভাগঃ
কৃষি বার্তা
ফিচার
ফিচার পাতা
সাফল্য
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়