চট্টগ্রামে : চট্টগ্রামে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে পথচারী এক শিশুসহ দুজন নিহত হয়েছে। সোমবার দুপুরে রেলওয়ের দরপত্র নিয়ে সিআরবির রেলভবন-সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ছাত্রলীগের সাবেক নেতা দিদারুল আলম ও যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতা হেলাল আকবর চৌধুরী ওরফে বাবরের সহযোগীরা এই সংঘর্ষে জড়ান।
এ ঘটনায় নগরের বিভিন্ন স্থান থেকে ছাত্রলীগের সহসম্পাদক সাইফুল আলম ওরফে লিমনসহ ছাত্রলীগ ও যুবলীগের ৪০ জন নেতা-কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম মহিউদ্দিন সেলিম জানান, আটক নেতা-কর্মীরা কোতোয়ালি থানার হাজতে আছেন।
গঠনতন্ত্র-বহির্ভূত কাজে জড়িয়ে পড়ায় ছাত্রলীগের সহসম্পাদক সাইফুল আলম ওরফে লিমনকে সংগঠন থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক শেখ রাসেল এ তথ্য জানান।
সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন সিআরবি এলাকার মো. ছিদ্দিকের ছেলে মো. আরমান (৮) ও লাভ লেন এলাকার সাজু পালিত (২৫)।
ছাত্রলীগের নেতা, পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য, আজ ফেনী রেলস্টেশনসহ তিনটি কাজের জন্য দরপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল। দুপুরের দিকে দিদারুল আলমের একটি প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতা ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহসাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম ওরফে লিমন ও অন্যরা দরপত্র জমা দিতে সিআরবির রেলভবনে যান। এ সময় সেখানে উপস্থিত যুবলীগের নেতা হেলালের অনুসারী অজিত, খোকন ও পিন্টু তাঁদের বাধা দেন। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে প্রথমে হাতাহাতি ও পরে সংঘর্ষ বাধে। একপর্যায়ে দুই পক্ষই গুলি ছুড়তে থাকে। এতে পথচারী শিশু আরমান ও সাজু গুলিবিদ্ধ হন। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ গেলে দুই পক্ষের লোকজন পালিয়ে যান।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) জহিরুল ইসলাম জানান, গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আরমান ও সাজুকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিত্সক দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন।
কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নেজাম উদ্দিন জানান, গোলাগুলির সময় শিশুটি ও ওই যুবক গুলিবিদ্ধ হন।(ডিনিউজ)
খবর বিভাগঃ
অন্য জেলা
সর্বশেষ সংবাদ
সারাদেশ
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়