Sunday, June 30

পাপিয়ায় স্পিকারের অস্বস্তি, এক মিনিটে ২ বার মাইক বন্ধ

ঢাকা : বিএনপির সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দা আশিফা আশরাফী পাপিয়ার বক্তব্যে অস্বস্তিতে পড়েছেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। এক পর্যায়ে এই সংসদ সদস্যের এক মিনিটের বক্তব্যে ২ বার মাইক বন্ধ করে দিতে তিনি বাধ্য হন।

রোববার জাতীয় সংসদে বাজেটের মঞ্জুরি দাবির ওপর ছাটাই প্রস্তাবের আলোচনার সময় এ ঘটনা ঘটে।

শহীদ জননী জাহানারা ইমামকে নিয়ে কটূক্তি করায় স্পিকার সৈয়দা আশিফা আশরাফী পাপিয়ার মাইক বন্ধ করে দেন।

পাপিয়া বলেন, ‘পাকিস্তানের অনুগত কর্মচারী জাহানারা ইমামকে দিয়ে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি গঠন করা হয়েছিল। তিনি আয়না অনুষ্ঠানের উপস্থাপিকা ছিলেন।’

সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে এ সময় সরকারি দলের সংসদ সদস্যরা এর প্রতিবাদ জানান। স্পিকার শিরীন শারমিন পাপিয়ার মাইক বন্ধ করে দেন। পরে আবার সুযোগ দিলে পাপিয়া যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে গড়ে ওঠা শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চের সমালোচনা শুরু করলে দ্বিতীয় দফায় তার মাইক বন্ধ করা হয়।

পাপিয়া তার বক্তব্যে শাহবাগ সৃষ্টির মাধ্যমে কলম ছিনতাই করে ফাঁসির রায় দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন।

এ সময় স্পিকার বলেন, ‘আপনি ছাটাই প্রস্তাবের ওপর আলোচনা করুন। প্রাসঙ্গিক কথা বলুন।’

এরপর বিএনপি দলীয় এমপি রেহানা আক্তার রানু বলেন, ‘দেশে আইনের শাসন নেই, দানবের শাসন চলছে। অ্যার্টনি জেনারেল মাস্তানি করছেন। আইন প্রতিমন্ত্রী রায় লিখে দিচ্ছেন। অন্যায়ভাবে সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’

জেড আই মোস্তফা আলী বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের রায় ঘুষের মাধ্যমে হয়েছে।’

মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, ‘আইন সরকারের জন্য এক রকম, বিরোধী দলের জন্য অন্যরকম। সুপ্রিম কোর্টে দলীয় বিচারক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। বিচারপতি খায়রুল হককে ত্রাণের টাকা থেকে ঘুষ দেয়া হয়েছে।’

রাশেদা বেগম হীরা বলেন, ‘আইনের নয়, দেশে লাইনের বিচার হচ্ছে। জনগণ হচ্ছে দেশের মালিক। আর এ মালিকেরা আজ ম্যানেজারের হাতে বন্দি হয়ে পড়েছে।’

দেশের বিভিন্ন স্থানে লাশ আর লাশ পাওয়া যাচ্ছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।

এসব বক্তব্যে জবাবে আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমদ বলেন, ‘আইনের শাসনের কথা আপনাদের মুখে শোভা পায় না। আইনের শাসন নিশ্চিত করতে যুদ্ধাপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হয়েছে। ভিকটিমের সুবিচার নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব।’

তিনি বলেন, বিরোধী দল সত্যের অপলাপ বলেছেন এবং বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দিয়েছেন। আর বিচারকদের নিয়ে সাবধানে কথা বলার জন্য মন্ত্রী বিরোধী দলের প্রতি আহবান জানান।

এর আগে গত ২৩ জুন ‘অসংসদীয় ভাষা’ ব্যবহারের কারণে রানুর মাইক ছয়বার বন্ধ করে দেন স্পিকার। ওইদিন সরকারি দলের বেশ কয়েকজন সদস্য লাগামছাড়া বক্তব্য দিলে তাদেরও মাইক বন্ধ করা হয়।

আর গত ১৯ জুন কবি হেলাল হাফিজের একটি কবিতার লাইন নিয়ে শাম্মী আক্তারের দেয়া বক্তব্যে সমালোচনার ঝড় ওঠে।(ডিনিউজ)

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়