Friday, June 28

শনিবার মধুসূদন দত্তের ১৪০তম মৃত্যুবার্ষিকী

কেশবপুর (যশোর): ২৯ জুন শনিবার আধুনিক বাংলা সাহিত্যের জনক অমৃতাক্ষর ছন্দের প্রবর্তক মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের ১৪০তম মৃত্যুবার্ষিকী। মাইকেল মধুসূদন দত্ত ১৮২৪ সালের ২৫ জানুয়ারী (বাংলা ১২ মাঘ) যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলার সাগরদাঁড়ি গ্রামের দত্ত পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। বাবা রাজনারায়ন দত্ত, মা জাহ্নবী দেবী। ১৮৭৩ সালের ২৯ জুন কলকাতার আলীপুর হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। দিবসটি উপলক্ষে কবির জন্মস্থান কেশবপুরের সাগরদাঁড়িতে মধুসূদন একাডেমী বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহন করেছে। 
কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ২৯জুন দুপুরে সাগরদাঁড়িস্থ মধুকবিমুর্তিতে মাল্যদান, সন্ধ্যায় মধুমঞ্চে মধু স্মরণ সমাবেশ, মধুগীতি ও দৃশ্যনাট্য। কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু সায়েদ মোঃ মনজুর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন যশোরের জেলা প্রশাসক মোস্তাফিজুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন ভারতের রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. কানাই সেন, কলকাতার মতিঝিল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. অমিতাভ চক্রবর্তী, কবি সাধন কুমার ঘোষ। মূখ্য আলোচক কবি দুখু বাঙাল। 
অসাধারণ মেধার অধিকারী মধুসূদন দত্ত যশ খ্যাতির মহে আচ্ছন্ন হয়ে মধুসূধন দত্ত হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে ১৮৪৩ সালে ৯ ফেব্রুয়ারি খ্রিষ্টধর্ম গ্রহণ করেন। শিক্ষা জীবনে মধুসূদন গ্রীক, ফার্সি, জার্মান, ইতালী, ল্যাটিন, সংস্কৃত ভাষা সহ বহুভাষা রপ্ত করেন। বহুমাত্রিক প্রতিভার অধিকারী কবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত জীবদ্দশায় রচনা করেন বাংলা সাহিত্যের এক অমূল্য সম্পদ ‘মেঘনাদবধ কাব্য’। এ ছাড়া রচনা করেন কাব্য- ‘তিলোত্তমা সম্বব, ‘ব্রজাঙ্গনা’ ‘বীরঙ্গনা’ ‘চতুদর্শপদী কবিতাবলী’ ‘নীতিমূলক কবিতা’ নাটক-‘শর্মিষ্ঠা’ ‘পদ্মাবর্তী’ ‘কৃষ্ণ কুমারী’ ‘মায়া কানন ’ প্রহসন-‘বুড়োশালিকের ঘাড়ে রোঁ’ উপকথা-রসাল স্বর্ণ লতিকা, অশ্বও কুরঙ্গ, কুক্কট ও মনি, মেঘ ও চাতক, সিংহ ও মশকী ইংরেজী রচনাবলী-দি ক্যাপটিভ লেডি প্রভৃতি মধুসূদনের অমর সাহিত্য কর্ম। মাইকেল মধুসূদন দত্ত অসুস্থ হয়ে ১৮৭৩ সালে ২৯ জুন কলাকাতাস্থ আলীপুর ইউরোপীয় জেনারেল হাসপাতালে বেলা ২ঘটিকায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ৩০ জুন সেন্ট জেমস চার্চ এবং ধর্মযাজকের উদোগে খৃষ্টীয় রীতি অনুযায়ী কলকাতা লোয়ার সার্কুলার রোডের সমাধি স্থলে বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে পূর্ণ মর্যাদায় কবির মরদেহ সমাধি করা হয়। উল্লেখ্য, মধুসূদনের জন্মবার্ষিকী প্রতিবছর সংস্কৃতিক বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় মহা ধুমধামের সাথে পালিত হলেও তার মৃত্যুবার্ষিকীতে সরকারিভাবে কোন কর্মসূচী না থাকায় মধুপ্রেমীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।   (ডিনিউজ)

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়