নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে চলতি মৌসুমে লিচুর বাম্পার ফলন হয়েছে। আবহাওয়া ভাল থাকায়, ঝড় ও শিলা বৃষ্টি না হওয়ার কারণে এ বছর লিচুুর তেমন কোন ক্ষতি হয়নি। তাই এবছর বাম্পার ফলন হয়েছে বলে জানিয়েছেন লিচু বাগানের মালিকরা। ইতোমধ্যেই বাজারে আসতে শুরু করেছে সোনারগাঁওয়ের বিখ্যাত রসালো লিচু। লিচুর আবাদ লাভজনক হওয়ায় গত কয়েক বছরের সোনারগাঁওয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে লিচুর আবাদ।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, সোনারগাঁও উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার বিভিন্ন গ্রামে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে প্রায় দুই শতাধিক লিচু বাগান। এর মধ্যে কদমী লিচুর বাগানের সংখ্যা ১৩৯টি এবং পাতি ও অন্যান্য লিচুর বাগানের সংখ্যা ৯৫টি। কদমী লিচুর গাছের সংখ্যা প্রায় ৯ হাজার এবং পাতি ও অন্যান্য জাতের লিচুর গাছের সংখ্যা প্রায় ১৪ হাজার। চলতি বছরে কদমী লিচুর চাষ হয়েছে ৩০ হেক্টর জমিতে এবং পানি ও অন্যান্য জাতের লিচু ৫০ হেক্টর জমিতে।
এসব লিচু বাগানে গত ৩ বছরের তুলনায় এবছর লিচুর বাম্পার ফলন হয়েছে। সোনারগাঁওয়ের কদমী, চায়না-৩, মোজাফফর পুরি, এলাচী, বাদামী (পাতি) এ পাঁচ ধরনের লিচুর চাষ হয়ে থাকে। তবে অন্যান্য লিচু থেকে বর্তমানে কদমী লিচু চাষের প্রতি মনোযোগী হয়ে পড়ছেন লিচু চাষীরা।
খাসনগর দিঘীরপাড় গ্রামের লিচু ব্যবসায়ী মজিবুর রহমান, আলাউদ্দিন ও দত্তপাড়া গ্রামের লিচু ব্যবসায়ী আব্দুস সাত্তার জানান, উপজেলার খাসনগর, চিলারবাগ, দৈলরবাগ, পানাম, দত্তপাড়া, বাগমুছা, অর্জুন্দী, হাতকোপা, দরপত, ছাপেরবন্ধ, গোয়ালদী, টিপরদী, হরিষপুর, ভট্টপুর, লোকশিল্প জাদুঘর, গোবিন্দপুর, গাবতলী, হারিয়া, বৈদ্যেরবাজার, তাজপুর, সাদীপুর, ইছাপাড়া, দুলালপুর, বারদী, সেনপাড়া, বালুয়া দিঘীরপাড়, মোগরাপাড়া, সনমান্দি ও সাদিপুর ইউপির বিভিন্ন স্থান সহ ৬০টি গ্রামে প্রায় ২ শতাধিক লিচু বাগান রয়েছে। তবে পৌরসভার সর্দার বাড়ী, বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন, বাড়ী মজলিশ, দিঘিরপাড়, পানাম, অর্জুন্দি, বাগমুছা, দত্তপাড়া, ইছাপাড়া, কৃষ্ণপুরা, হাড়িয়া, পানাম গামতলী, ষোলপাড়া, ভট্টপুর এলাকায় উৎকৃষ্ট মানের লিচুর চাষ হয়ে থাকে।
পাখি, কাক ও বাদুরের হাত থেকে লিচু রক্ষায় বাগানে বাগানে পাহাড়া বসে থাকে। প্রতিটি বাগানে বৈদ্যুতিক বাতি, টিনের বাজনা বাজিয়ে উচ্চ শব্দে হৈ হল্লা করে বাঁদুর ও কাকের উপদ্রব থেকে লিচু রক্ষা করে থাকেন চাষীরা। এভাবে পাহাড়া দেওয়ার সময় প্রতিটি বাগানে উৎসবের আমেজ লক্ষ্য করা যায়।
সোনারগাঁওয়ের লিচু রঙে ও স্বাদে অতুলনীয়। স্থানীয় মোগরাপাড়া চৌরাস্তা ফলের আড়ৎ ও রাজধানী ঢাকাতে বিক্রি হচ্ছে সোনারগাঁওয়ের লিচু। বর্তমানে লিচু ব্যবসায়ীরা বাজারে ১শ’ কদমী লিচু ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা দরে বিক্রি করছেন। বোম্বাই লিচু ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা ও পাতি লিচু ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে ব্যাপক ভাবে আমদানী হলে লিচুর দাম কিছুটা কমবে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
সোনারগাঁওয়ে বেড়াতে আসা অনেকেই গাছ থেকে সদ্য পাড়া তাজা লিচু কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। ঐতিহ্য ও স্বাদের দিক থেকে সোনারগাঁওয়ের লিচু সুমিষ্ট তাই সুখ্যাতি রয়েছে সারা দেশে। সরাসরি সোনারগাঁওয়ে এসে লিচু বাগান থেকে লিচু কিনে নিয়ে যায় রাজধানী ঢাকাসহ আশপাশের অনেক জেলার মানুষ।
সোনারগাঁও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মুরাদুল হাসান জানান, লিচু চাষের জন্য সোনারগাঁওয়ের মাটি ও আবহাওয়া বিশেষ উপযোগী। বিশেষ করে কদমী লিচু ও চায়না-৩ প্রজাতির লিচু। লিচু চাষে সোনারগাঁওয়ের লিচু ব্যবসায়ীরা ব্যাপক সফলতা পাওয়ায় এবং দাম ভাল পাওয়ায় দিন দিন এ এলাকার মানুষ নতুন করে লিচুর বাগান তৈরীতে মনোযোগী হয়েছেন। অনেকে বসত বাড়ির আঙ্গিনায় ও পরিত্যাক্ত জমিতে মাটি ভরাট করে লিচুর চারা রোপন করছেন। আগে গাছের পরিচর্যা না করলেও বর্তমানে কিটনাশক প্রদানসহ লিচু গাছের যতœ নিচ্ছেন। গত বছরে সোনারগাঁওয়ে ১২০০ মেট্রিক টন লিচু উৎপাদিত হয়েছিল। চলতি বছরে কদমী জাতীয় লিচু ৬৭২ মেট্রিন টন এবং পাতি ও অন্যান্য জাতীয় লিচু ৮১৫ মেট্রিন টন উৎপাদিত হবে বলে তারা আশা করছেন।ডিনিউজ)
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, সোনারগাঁও উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার বিভিন্ন গ্রামে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে প্রায় দুই শতাধিক লিচু বাগান। এর মধ্যে কদমী লিচুর বাগানের সংখ্যা ১৩৯টি এবং পাতি ও অন্যান্য লিচুর বাগানের সংখ্যা ৯৫টি। কদমী লিচুর গাছের সংখ্যা প্রায় ৯ হাজার এবং পাতি ও অন্যান্য জাতের লিচুর গাছের সংখ্যা প্রায় ১৪ হাজার। চলতি বছরে কদমী লিচুর চাষ হয়েছে ৩০ হেক্টর জমিতে এবং পানি ও অন্যান্য জাতের লিচু ৫০ হেক্টর জমিতে।
এসব লিচু বাগানে গত ৩ বছরের তুলনায় এবছর লিচুর বাম্পার ফলন হয়েছে। সোনারগাঁওয়ের কদমী, চায়না-৩, মোজাফফর পুরি, এলাচী, বাদামী (পাতি) এ পাঁচ ধরনের লিচুর চাষ হয়ে থাকে। তবে অন্যান্য লিচু থেকে বর্তমানে কদমী লিচু চাষের প্রতি মনোযোগী হয়ে পড়ছেন লিচু চাষীরা।
খাসনগর দিঘীরপাড় গ্রামের লিচু ব্যবসায়ী মজিবুর রহমান, আলাউদ্দিন ও দত্তপাড়া গ্রামের লিচু ব্যবসায়ী আব্দুস সাত্তার জানান, উপজেলার খাসনগর, চিলারবাগ, দৈলরবাগ, পানাম, দত্তপাড়া, বাগমুছা, অর্জুন্দী, হাতকোপা, দরপত, ছাপেরবন্ধ, গোয়ালদী, টিপরদী, হরিষপুর, ভট্টপুর, লোকশিল্প জাদুঘর, গোবিন্দপুর, গাবতলী, হারিয়া, বৈদ্যেরবাজার, তাজপুর, সাদীপুর, ইছাপাড়া, দুলালপুর, বারদী, সেনপাড়া, বালুয়া দিঘীরপাড়, মোগরাপাড়া, সনমান্দি ও সাদিপুর ইউপির বিভিন্ন স্থান সহ ৬০টি গ্রামে প্রায় ২ শতাধিক লিচু বাগান রয়েছে। তবে পৌরসভার সর্দার বাড়ী, বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন, বাড়ী মজলিশ, দিঘিরপাড়, পানাম, অর্জুন্দি, বাগমুছা, দত্তপাড়া, ইছাপাড়া, কৃষ্ণপুরা, হাড়িয়া, পানাম গামতলী, ষোলপাড়া, ভট্টপুর এলাকায় উৎকৃষ্ট মানের লিচুর চাষ হয়ে থাকে।
পাখি, কাক ও বাদুরের হাত থেকে লিচু রক্ষায় বাগানে বাগানে পাহাড়া বসে থাকে। প্রতিটি বাগানে বৈদ্যুতিক বাতি, টিনের বাজনা বাজিয়ে উচ্চ শব্দে হৈ হল্লা করে বাঁদুর ও কাকের উপদ্রব থেকে লিচু রক্ষা করে থাকেন চাষীরা। এভাবে পাহাড়া দেওয়ার সময় প্রতিটি বাগানে উৎসবের আমেজ লক্ষ্য করা যায়।
সোনারগাঁওয়ের লিচু রঙে ও স্বাদে অতুলনীয়। স্থানীয় মোগরাপাড়া চৌরাস্তা ফলের আড়ৎ ও রাজধানী ঢাকাতে বিক্রি হচ্ছে সোনারগাঁওয়ের লিচু। বর্তমানে লিচু ব্যবসায়ীরা বাজারে ১শ’ কদমী লিচু ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা দরে বিক্রি করছেন। বোম্বাই লিচু ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা ও পাতি লিচু ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে ব্যাপক ভাবে আমদানী হলে লিচুর দাম কিছুটা কমবে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
সোনারগাঁওয়ে বেড়াতে আসা অনেকেই গাছ থেকে সদ্য পাড়া তাজা লিচু কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। ঐতিহ্য ও স্বাদের দিক থেকে সোনারগাঁওয়ের লিচু সুমিষ্ট তাই সুখ্যাতি রয়েছে সারা দেশে। সরাসরি সোনারগাঁওয়ে এসে লিচু বাগান থেকে লিচু কিনে নিয়ে যায় রাজধানী ঢাকাসহ আশপাশের অনেক জেলার মানুষ।
সোনারগাঁও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মুরাদুল হাসান জানান, লিচু চাষের জন্য সোনারগাঁওয়ের মাটি ও আবহাওয়া বিশেষ উপযোগী। বিশেষ করে কদমী লিচু ও চায়না-৩ প্রজাতির লিচু। লিচু চাষে সোনারগাঁওয়ের লিচু ব্যবসায়ীরা ব্যাপক সফলতা পাওয়ায় এবং দাম ভাল পাওয়ায় দিন দিন এ এলাকার মানুষ নতুন করে লিচুর বাগান তৈরীতে মনোযোগী হয়েছেন। অনেকে বসত বাড়ির আঙ্গিনায় ও পরিত্যাক্ত জমিতে মাটি ভরাট করে লিচুর চারা রোপন করছেন। আগে গাছের পরিচর্যা না করলেও বর্তমানে কিটনাশক প্রদানসহ লিচু গাছের যতœ নিচ্ছেন। গত বছরে সোনারগাঁওয়ে ১২০০ মেট্রিক টন লিচু উৎপাদিত হয়েছিল। চলতি বছরে কদমী জাতীয় লিচু ৬৭২ মেট্রিন টন এবং পাতি ও অন্যান্য জাতীয় লিচু ৮১৫ মেট্রিন টন উৎপাদিত হবে বলে তারা আশা করছেন।ডিনিউজ)
খবর বিভাগঃ
কৃষি বার্তা
সর্বশেষ সংবাদ
সারাদেশ
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়