Thursday, May 23

জোর করে বাবুনগরীর স্বীকারোক্তি নেয়া হয়েছে : আল্লামা শফী

ঢাকা : হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব জুনায়েদ বাবুনগরীর ১৬৪ ধারায় প্রদত্ত স্বীকারোক্তি ‘রিমান্ডে জোর করে নেয়া হয়েছে’ বলে
দাবি করেছেন সংগঠনটির আমির আল্লামা শাহ্ আহমদ শফী। এ স্বীকারোক্তি ‘বিভ্রান্তিমূলক’ বলেও অভিযোগ করেন তিনি। বুধবার এক বিবৃতিতে তিনি এ দাবি করেন। বিবৃতিতে আল্লামা শফী বলেন, ‘হেফাজতে ইসলামের কোনো নেতাকর্মীই আমার নিয়ন্ত্রণের বাইরে ছিলেন না। আমাকে অবহিত করা ছাড়া কোনো কর্মসূচি নির্ধারণ ও বাস্তবায়নের ক্ষমতাও কাউকে দেয়া হয়নি। আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীর কাছ থেকে রিমান্ডে জোর করেই এমন বিভ্রান্তিমূলক স্বীকারোক্তি আদায় করা হয়েছে।’ সমাবেশে সাদেক হোসেন খোকার খাবার সরবরাহের বিষয়টি উড়িয়ে দিয়ে আল্লামা শফী বলেন, ‘সমাবেশের পরদিন হেফাজতের সমাবেশে বিএনপি নেতা ও ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার পক্ষ থেকে খাবার সরবরাহের যে কথা ছড়ানো হয়েছে, তা একেবারেই অমূলক। ৫ মে ঢাকায় ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের সঙ্গে কারা জড়িত ছিল, তার সচিত্র প্রতিবেদন বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকায় একাধিকবার প্রকাশিত হয়েছে। কারা এসবের সঙ্গে জড়িত, তা জাতি ভালোভাবেই অবগত আছে। তিনি বলেন, ‘হেফাজতে ইসলাম কোনো রাজনৈতিক দল-গোষ্ঠীর এজেন্ডা বাস্তবায়ন বা কাউকে ক্ষমতা থেকে নামানো কিংবা বসানোর জন্য ৫ মে ঢাকা অবরোধ করেনি। হেফাজতে ইসলাম ঈমান-আক্বীদা ভিত্তিক সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক একটি সংগঠন। শান্তিপূর্ণ উপায়ে ১৩ দফা দাবি আদায়ই চলমান আন্দোলনে আমাদের একমাত্র লক্ষ্য। স্বীয় ঈমান-আক্বীদার তাগিদেই দেশের আলেম সমাজ ও তৌহিদী জনতা নিজ নিজ উদ্যোগে হেফাজতের কর্মসূচিতে শরীক হয়ে থাকেন। ৫ মে নির্ধারিত সময়েই সমাবেশ শেষ করার কথা থাকলেও উদ্ভুত পরিস্থিতিতে তা সম্ভব হয়নি উল্লেখ করে বিবৃতিতে হেফাজত আমির বলেন, ‘৫ মে ঢাকা অবরোধ কর্মসূচি বাস্তবায়নের আগে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় কমিটির চূড়ান্ত বৈঠকে ঢাকা অবরোধ পরবর্তী মহাসমাবেশ নির্ধারিত সময়ে শেষ করার বিষয়টা ঠিক করা ছিল। কিন্তু সেদিন দুপুরের পর থেকে হেফাজত কর্মীরা রাজধানীতে সন্ত্রাসী হামলা ও হতাহতের শিকার হওয়ায় যে ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল, তাতে আমার পক্ষে মহাসমাবেশে শরীক হওয়া নিরাপদ ছিল না। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আমার পক্ষ থেকে বারবারই প্রশাসনকে জানানো হয়েছিল যে, রাতের বেলায় চরম নিরাপত্তাহীন পরিস্থিতিতে এতোগুলো মানুষকে ছেড়ে দেয়া যায় না। ভোরেই সমাবেশস্থলে গিয়ে মুনাজাতের মাধ্যমে সমাপ্তি ঘোষণা করা হবে।’ হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব দারুল উলূম হাটহাজারী মাদরাসার মুহাদ্দিস আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীকে মুক্তি দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তিনি কখনো প্রচলিত রাজনীতি ও সহিংসতার সঙ্গে জড়িত ছিলেন, এটা কেউ বিশ্বাস করবে না। তার বিরুদ্ধে অন্যায়ভাবে দায়েরকৃত সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে অবিলম্বে মুক্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।’ তিনি সরকারের প্রতি দমন-পীড়ন তৎপরতা, আলেমদেরকে ভয়ভীতি প্রদর্শন ও হামলা-মামলা বন্ধ করে হেফাজতে ইসলামের ১৩ দফা দাবি বাস্তবায়নের জন্য আহ্বান জানান।(ডিনিউজ)

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়