চট্টগ্রাম: নগরীর পাঁচলাইশ থানার একটি কমিউনিটি সেন্টার থেকে আটক ৩০ শিবির কর্মীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন চট্টগ্রামের একটি আদালত। পুলিশের উপর হামলা, ভাংচুরের অভিযোগে দায়ের হওয়া দু’টি মামলায় আটক শিবির কর্মীদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে রোববার বিকেলে চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
চট্টগ্রাম মহানগর আদালতের পাঁচলাইশ জোনের পরিদর্শক প্রণব কুমার দাশ জানান, গত ৯ ডিসেম্বর শিবিরের ঝটিকা মিছিল থেকে পুলিশের উপর হামলা এবং ৬ ফেব্রুয়ারি জামায়াত নেতা কাদের মোল্লার রায়ের পর সহিংসতার ঘটনায় দায়ের হওয়া দু’টি মামলায় ৩০ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
তবে তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে আদালতে কোন রিমান্ডের আবেদন জমা দেয়া হয়নি বলে তিনি জানান।
পাঁচলাইশ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ জানান, ৩০ শিবির কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচদিনের রিমান্ডের আবেদন জানানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে হরতালের কারণে রোববার আবেদন আদালতে পাঠানো হয়নি।
শনিবার দুপুরে পাঁচলাইশ থানার সামনে একটি কমিউনিটি সেন্টারে শিবির পরিচালিত প্রবাহ কোচিং সেন্টারের এসএসসি উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান থেকে কমপক্ষে ৪০ জনকে আটক করে পুলিশ। সংবর্ধনার নামে নগরীতে মিছিল বের করে নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগে তাদের আটক করা হয়। এর মধ্যে শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে সরাসরি জড়িত ৩০ জনকে রেখে বাকিদের রাতে ছেড়ে দেয় পুলিশ।
এদিকে আটকের পর শনিবার দুপুরে শিবির কর্মীদের কয়েকজনকে ছাড়াতে থানায় গিয়ে পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতিসহ অপ্রীতিকর ঘটনায় জড়িয়ে পড়েন নগর ছাত্রলীগের স্টিয়ারিং কমিটির সাবেক সদস্য হাসান মুরাদ বিপ্লব, কমার্স কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি দিদারুল আলম, কমার্শিয়াল ইনস্টিটিউট ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ওসমান গণি সাবেক ছাত্রলীগ নেতা হেলাল উদ্দিন এবং যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য আব্দুল মান্নান ফেরদৌসসহ তাদের অনুসারীরা। এরা সবাই নগর আওয়ামী লীগ নেতা এবং সিজেকেএস’র সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।(ডিনিউজ)
খবর বিভাগঃ
সর্বশেষ সংবাদ
সারাদেশ
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়