Monday, May 27

জেনেভা সম্মেলনে যোগ দিতে রাজি সিরিয়া সরকার


ঢাকা: আগামী মাসে জেনেভায় অনুষ্ঠেয় আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দেওয়ার ‘শর্তে’ রাজি হয়েছে সিরিয়া। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়ালিদ মুয়াল্লেম এ কথা জানিয়েছেন। সিরিয়ার সহিংসতার অবসান ঘটাতে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার যৌথ উদ্যোগে আয়োজন করা হচ্ছে ওই সম্মেলনের। এদিকে সিরিয়ার ওপর অস্ত্র নিষেধাজ্ঞার নিয়ে আলোচনায় বসতে যাচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।

রোববার বাগদাদে ওয়ালিদ মুয়াল্লেম বলেন, “তার সরকার বিশ্বাস করে যে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তাবিত তথাকথিত জেনেভা-২ সম্মেলন ‘সংকটের রাজনৈতিক সমাধান খুঁজে পাওয়ার ভালো সুযোগ’।

ইরাকের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে যৌথ সাক্ষাৎকারে এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু না বললেও সিরিয়ার বিদ্রোহীদের সমর্থনকারীদের সমালোচনা করেছেন তিনি। তিনি বলেছেন, “যারা সিরিয়ার বিদ্রোহীদের সহায়তা দিচ্ছে তারা ইরাকে সন্ত্রাসবাদের মদতদাতারদের মতো।”

সিরিয়ার প্রধান বিরোধী সিরিয়ান ন্যাশনাল কোয়ালিশন (এসএনসি) জেনেভা সম্মেলনে যোগ দেওয়ার আগ্রহ দেখিয়েছে। তবে তারা নিশ্চিয়তা চাচ্ছে যে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ অবশেষে পদত্যাগ করবে। বিদ্রোহীদের মুখপাত্র লুয়ে সাফি বলেন, “জনগণের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় সিরিয়াকে নিয়ে যাওয়ার আলোচনায় অংশ নিতে আমরা আগ্রহী ।”

এ মাসের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া সিরিয়ার সরকার ও বিরোধী উভয়পক্ষকে আলোচনার টেবিলে বসানোর পরিকল্পনার ঘোষণা দেয়। জাতিসংঘের হিসাব মতে, সিরিয়ার ২৬ মাসব্যাপী সংকটে কমপক্ষে ৮০ হাজার মানুষ নিহত হয়েছে।

তবে সম্মেলনের দিন ঘোষণা করা হয়নি কেননা সিরিয়ার সরকারের ঘনিষ্ঠ মিত্র রাশিয়া জানিয়েছে, সিরিয়ার বিরোধীদের মধ্যে ঐক্যের অভাব রয়েছে। রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সার্গেই ল্যাভরভ ও যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি সোমবার প্যারিসে সিরিয়া বিষয়ে বৈঠকে বসবে।

তুরস্কের ইস্তাম্বুলে বৃহস্পতিবার থেকে বৈঠক করছে সিরিয়ান ন্যাশনাল কোয়ালিশন। তারা এখনও পর্যন্ত জেনেভা-২ শান্তি আলোচনায় যোগ দেওয়ার বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি।

এদিকে সিরিয়ার ওপর অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা শিথিল করতে আলোচনায় বসতে যাচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। বিদ্রোহীদের কাছে অস্ত্র পৌছে দিতে নিষেধাজ্ঞা শিথিল করতে যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সের আবেদনের পর ইইউর এ আলোচনা হতে যাচ্ছে।

ধারণা করা হচ্ছে, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স যুক্তি দেখাবে যে এ পদক্ষেপ রাজনৈতিক সমাধানের জন্য দামেস্কের ওপর চাপ বাড়াবে।
তবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অনেক সদস্য রাষ্ট্র সিরিয়ার ওপর অস্ত্র নিষেধাজ্ঞার অবসান ঘটানোর বিরোধী। ৩১ মে এ নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।(বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম)

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়