ঢাকা : বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে রাজনীতিতে নতুন ইস্যু সৃষ্টি হয়েছে। একদিকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আবার অন্যদিকে 'তারেক ইস্যুকে' কাজে লাগিয়ে বিএনপির তৃণমূল নেতাকর্মীদের সক্রিয় করে তোলা।
এরই মধ্য বিভিন্ন জেলায় পৃথক হরতালের ডাক দিয়েছে স্থানীয় বিএনপি। বুধবারও হরতাল ডেকেছে ১৮ দল। এদিকে রাজধানী ঢাকায় বিএনপির ছাত্র সংগঠনের মিছিল থেকে ভাঙচুর এবং বাস অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে।
দুর্নীতির বিভিন্ন অভিযোগে বিএনপির সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট তারেক রহমান বছর দেড়েক কারাগারে থেকে ২০০৮ সালে চিকিৎসার জন্য জামিনে লন্ডনে আসেন, এবং এখনও লন্ডনেই আছেন।
সরকারবিরোধী আন্দোলনে বিএনপি রাজপথে রয়েছে দীর্ঘ সময় ধরে। কিন্তু দলটি সাংগঠনিক দিক থেকে নিজেদের শক্তভাবে গুছিয়ে আনতে পারেনি। আর সেই পরিস্থিতিতেই বিএনপির মাঠপর্যায় থেকে তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনার তাগিদ রয়েছে।
দলটির নেতারা বলছেন, এখন পুরো বিএনপিই প্রস্তুত, নির্বাচনকে সামনে রেখে তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে। বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের বক্তব্য হচ্ছে, তারেক রহমান এখন দেশে ফিরতে অনুকূল পরিবেশের অপেক্ষায় রয়েছেন। একইসাথে মামলা বা আইনগত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার বিষয়কেও তারা বিবেচনায় নিচ্ছেন।
তিনি বলেন, ''তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে সরকার বা প্রতিপক্ষের চ্যালেঞ্জ বিএনপি অবশ্যই মোকাবেলা করবে। তবে আমরা আশা করি, নির্বাচনের সময় নির্দলীয় সরকার থাকবে এবং তখন তারেক রহমান ফিরলে মামলার বিষয়ে মুখোমুখি হতে হবে না। আর যদি রাজনৈতিক সরকারই থাকে, তাহলেও ঝুঁকি নিয়েই তারেক রহমানকে দেশে ফিরতে হবে।''
সেনা সমর্থিত বিগত তত্বাবধায়ক সরকারের শেষ দিকে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্যারোলে মুক্তি নিয়ে চিকিৎসার জন্য বিদেশ গিয়েছিলেন। দীর্ঘসময় পর গত সপ্তাহে লন্ডনে তিনি একটি রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ নেন।
এর পক্ষে বিপক্ষে প্রতিক্রিয়া দেখা যায়, বাংলাদেশের রাজনীতির অঙ্গনে। সিঙ্গাপুরে অর্থপাচারের অভিযোগে একটি মামলায় ঢাকার একটি আদালত তারেক রহমানকে ইন্টারপোলের মাধ্যমে গ্রেপ্তার করে দেশে ফেরত আনার নির্দেশ দেয়। এর প্রতিবাদে বিএনপি বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে।
নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী জানান, সরকারের শক্ত অবস্থানের কারণে তারেক রহমানের দেশে ফেরাটা কতটা সহজ হবে তা বলা মুশকিল।
তিনি বলেন, ''তারেক রহমানের দেশে ফেরাটা যতটা সহজ মনে হয়, ততটা সহজ হবে না। কারণ তার ফেরার ক্ষেত্রে বাধা সরকার সর্ব্বোচ্চ চেষ্টা চালাবে। এছাড়া হাওয়া ভবন নিয়ে নেতিবাচক ভাবমূর্তি এখনও কিছুটা রয়েছে। কিন্তু কোন মামলায় এখনও সাজা হয়নি। ফলে হওয়া ভবনে বিষয় খুব একটা সমস্যায় ফেলবে না।''
তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ১৪টি মামলা রয়েছে এবং এগুলো মুলত দুর্নীতি ও চাঁদাবাজির অভিযোগে। আর বেশিরভাগ মামলাই উচ্চ আদালত থেকে স্থগিত হয়ে রয়েছে।
তবে এগুলোর মধ্যে ২০০৮ সালের ২১শে আগস্ট ঢাকায় আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলার মামলাতেও তারেক রহমান অভিযুক্ত রয়েছেন। এটিসহ দু’টি মামলার বিচারকাজ চলছে।
আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম দাবি করেছেন, তারেক রহমানের বিরুদ্ধে আইনগত প্রক্রিয়া নিজস্ব গতিতেই এগুচ্ছে। এখানে সরকারের দিক থেকে বিশেষ কোন উদ্যোগ নেই।
তবে বিএনপি নেতারা উল্লেখ করেছেন, তারেক রহমানকে ঘিরে সরকারের অবস্থানের বিরুদ্ধে বিএনপি বড় ধরণের কর্মসূচি নেবে।-বিবিসি অনলাইন থেকে
এরই মধ্য বিভিন্ন জেলায় পৃথক হরতালের ডাক দিয়েছে স্থানীয় বিএনপি। বুধবারও হরতাল ডেকেছে ১৮ দল। এদিকে রাজধানী ঢাকায় বিএনপির ছাত্র সংগঠনের মিছিল থেকে ভাঙচুর এবং বাস অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে।
দুর্নীতির বিভিন্ন অভিযোগে বিএনপির সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট তারেক রহমান বছর দেড়েক কারাগারে থেকে ২০০৮ সালে চিকিৎসার জন্য জামিনে লন্ডনে আসেন, এবং এখনও লন্ডনেই আছেন।
সরকারবিরোধী আন্দোলনে বিএনপি রাজপথে রয়েছে দীর্ঘ সময় ধরে। কিন্তু দলটি সাংগঠনিক দিক থেকে নিজেদের শক্তভাবে গুছিয়ে আনতে পারেনি। আর সেই পরিস্থিতিতেই বিএনপির মাঠপর্যায় থেকে তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনার তাগিদ রয়েছে।
দলটির নেতারা বলছেন, এখন পুরো বিএনপিই প্রস্তুত, নির্বাচনকে সামনে রেখে তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে। বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের বক্তব্য হচ্ছে, তারেক রহমান এখন দেশে ফিরতে অনুকূল পরিবেশের অপেক্ষায় রয়েছেন। একইসাথে মামলা বা আইনগত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার বিষয়কেও তারা বিবেচনায় নিচ্ছেন।
তিনি বলেন, ''তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে সরকার বা প্রতিপক্ষের চ্যালেঞ্জ বিএনপি অবশ্যই মোকাবেলা করবে। তবে আমরা আশা করি, নির্বাচনের সময় নির্দলীয় সরকার থাকবে এবং তখন তারেক রহমান ফিরলে মামলার বিষয়ে মুখোমুখি হতে হবে না। আর যদি রাজনৈতিক সরকারই থাকে, তাহলেও ঝুঁকি নিয়েই তারেক রহমানকে দেশে ফিরতে হবে।''
সেনা সমর্থিত বিগত তত্বাবধায়ক সরকারের শেষ দিকে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্যারোলে মুক্তি নিয়ে চিকিৎসার জন্য বিদেশ গিয়েছিলেন। দীর্ঘসময় পর গত সপ্তাহে লন্ডনে তিনি একটি রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ নেন।
এর পক্ষে বিপক্ষে প্রতিক্রিয়া দেখা যায়, বাংলাদেশের রাজনীতির অঙ্গনে। সিঙ্গাপুরে অর্থপাচারের অভিযোগে একটি মামলায় ঢাকার একটি আদালত তারেক রহমানকে ইন্টারপোলের মাধ্যমে গ্রেপ্তার করে দেশে ফেরত আনার নির্দেশ দেয়। এর প্রতিবাদে বিএনপি বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে।
নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী জানান, সরকারের শক্ত অবস্থানের কারণে তারেক রহমানের দেশে ফেরাটা কতটা সহজ হবে তা বলা মুশকিল।
তিনি বলেন, ''তারেক রহমানের দেশে ফেরাটা যতটা সহজ মনে হয়, ততটা সহজ হবে না। কারণ তার ফেরার ক্ষেত্রে বাধা সরকার সর্ব্বোচ্চ চেষ্টা চালাবে। এছাড়া হাওয়া ভবন নিয়ে নেতিবাচক ভাবমূর্তি এখনও কিছুটা রয়েছে। কিন্তু কোন মামলায় এখনও সাজা হয়নি। ফলে হওয়া ভবনে বিষয় খুব একটা সমস্যায় ফেলবে না।''
তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ১৪টি মামলা রয়েছে এবং এগুলো মুলত দুর্নীতি ও চাঁদাবাজির অভিযোগে। আর বেশিরভাগ মামলাই উচ্চ আদালত থেকে স্থগিত হয়ে রয়েছে।
তবে এগুলোর মধ্যে ২০০৮ সালের ২১শে আগস্ট ঢাকায় আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলার মামলাতেও তারেক রহমান অভিযুক্ত রয়েছেন। এটিসহ দু’টি মামলার বিচারকাজ চলছে।
আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম দাবি করেছেন, তারেক রহমানের বিরুদ্ধে আইনগত প্রক্রিয়া নিজস্ব গতিতেই এগুচ্ছে। এখানে সরকারের দিক থেকে বিশেষ কোন উদ্যোগ নেই।
তবে বিএনপি নেতারা উল্লেখ করেছেন, তারেক রহমানকে ঘিরে সরকারের অবস্থানের বিরুদ্ধে বিএনপি বড় ধরণের কর্মসূচি নেবে।-বিবিসি অনলাইন থেকে
খবর বিভাগঃ
বিশেষ খবর
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়