Wednesday, May 22

টাঙ্গাইলে ইটভাটার ধোঁয়ায় ফসলের ক্ষতি

টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে ইটভাটা থেকে নির্গত বিষাক্ত কালো ধোঁয়ায় জামুরিয়া গ্রামের প্রায় ৭০ বিঘা জমির ধান সম্পূর্ণ বিনষ্ট হয়ে গেছে। এ বিষয়ে কৃষকরা ক্ষতিপূরণের দাবিতে কৃষি বিভাগসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাননি।

ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা জানান, ঘাটাইল উপজেলার জামুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য সাইফুল ইসলাম, সহযোগী  শাহীন, মাখন ও সুবীরকে নিয়ে যৌথ মালিকানায় জামুরিয়া গ্রামের তিন ফসলি জমির উপর এসকেবি নামে ইটভাটা গড়ে তুলেন। ইটভাটা স্থাপনের সময় তারা আধুনিক জিগজ্যাগ পদ্ধতি ব্যবহারের প্রতিশ্র“তি দেন। কিন্তু তারা কথা রাখেননি। এলাকবাসীর অভিযোগ, ত্র“টিপূর্ণ পদ্ধতিতে ইটভাটা স্থাপন করায় ভাটার চিমনী দিয়ে নির্গত কালো ধোঁয়ায় প্রায় ৭০ বিঘা জমির ধান সম্পূর্ণ বিনষ্ট হয়ে গেছে।  শুধু ধান নয় বিষাক্ত কালো ধোঁয়ায় বাড়ির আম, কাঁঠাল, জলপাই ও সবজির বাগানও বিনষ্ট হয়ে যাচ্ছে। জামুরিয়া গ্রামের গৃহবধু নাছিমা আক্তার(৩২) জানান, প্রতিবছর গাছের আম বিক্রি করে তিনি ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা আয় করতেন। এ মৌসুমে ভাটার ধোঁয়ার কারণে গাছে কোন ফলই ধরেনি।

ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক রফিকুল ইসলাম(৪০) জানান, তার ১০ শতাংশ জমিতে মাত্র এক মণ ধান হয়েছে। আরেক কৃষক গফুর মিয়া(৫৫) জানান, তার ১৭ শতাংশ ভুমিতেও মাত্র এক মণ ধান হয়েছে। ইটভাটার কালো ধোঁয়া শুধু ফলজবৃক্ষ ও ক্ষেতের ধানই বিনষ্ট হয়নি দূষিত হচ্ছে এলাকার পরিবেশ। পার্শ্ববর্তী হেলনাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী মোহনা জানায়, ইটভাটার বিষাক্ত ধোঁয়ার কারণে তাদের শ্রেণিকক্ষে বসে পড়াশোনা করতে খুব কষ্ট হয়। অন্যদিকে জামুরিয়া পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র লিমন জানায় ইটভাটার কারণে তাদের স্কুলের সামনে জলপাই গাছের পাতা ঝড়ে গেছে।

স্থানীয় কৃষক লাল মিয়া আক্ষেপ করে বলেন, ইটভাটার কারণে জমি চাষ করে ধান ঘরে তুলতে পারেননি। সব ধান চিটা হয়েছে।
কৃষকরা জানান, তারা ক্ষতিপুরণের দাবিতে কৃষি বিভাগ, পরবেশ অধিদপ্তর সহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোন কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি।
ঘাটাইল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নূরে আলম সিদ্দিকী জানান, কৃষকদের অভিযোগ ও ধান বিনষ্ট হওয়ার বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। (ডিনিউজ)

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়