মানিকগঞ্জ: তুমি কার লাগিয়া গাঁথরে সখি বকুল ফুলের মালা..। ফোক গানের জনপ্রিয় শিল্পী মনির খানের গাওয়া এ গানে বকুল ফুলের মালার গুরুত্ব ও তাৎপর্য প্রকাশের সাথে সাথে তুলে ধরা হয়েছে গ্রামবাংলার প্রেমিক যুগলের অপ্রকাশিত মনের কথামালা। গানের কথার মতো বকুল মালার সমাদরের কথা ঠিকই জানে মানিকগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে বকুল ফুলের মালা বিক্রেতা শিশু সুমী, আলী হাসান, রিপন, মৌসুমীরা।
এ জন্যেই তারা ভোর সকালে ঘুম থেকে উঠে। বকুল গাছের নীচ থেকে ঝড়া বকুল ফুল কুড়ানোর পর বাড়ি গিয়ে সুই সুতার মালা গেঁথে তারপর মালা গাথা শেষ হলে মালা নিয়ে চলে যায় মানিকগঞ্জ বাসটার্মিনালসহ বিভিন্ন স্থানে। মালা হাতে রাস্তায় দাড়িয়ে মালা নিবেন গো ... বকুল ফুলের মালা বলে সুর তুলে ডাকতে থাকে। এমনি কয়েকজন বকুল ফুলের মালা হাতে দাঁড়িয়ে থাকা শিশু মালা বিক্রেতার দেখা মিললো মঙ্গলবার মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার সদর বাসস্ট্যান্ডে। তাদের দেখে স্থানীয় কলেজ পড়–য়া ছাত্র সোলায়মান ও তার বন্ধু জাহিদ। কাছে গিয়ে বকুল মালা নেড়ে চেড়ে দেখে কিনে নিল ৪টি মালা।
মালা বিক্রেতা কয়েকজন মিশুর সাথে কথা বলে জানা গেছে, প্রতিবেশী শিশুরা যখন ঘুমে বিভোর থাকে তখন এসব মালা বিক্রেতা শিশুরা ঘুম থেকে উঠে। চোখ মুছতে মুছতে বাড়ির কাছে অথবা আশে পাশ্বের বকুল গাছের নীচ থেকে ঝড়া বকুল ফুল কুড়ানোর প্রতিযোগীতায় নামে। পুর্ব দিগন্তে লাল সুর্য্য উকি দিলে ফুল কুড়ানোর পালাও শেষ হয় তাদের। কুড়ানো ফুল বাড়ি নিয়ে গিয়ে মা, বোন অথবা পরিবারের অন্যদের সাথে নিয়ে সুই সুতার মালা গাঁথতে ব্যস্ত হয়ে উঠে তারা। মালা গাথা শেষ হলে ২৫/৩০টি মালা নিয়ে চলে যায় বিক্রির জন্য। বিভিন্ন স্থানে ঘুরে সুর তুলে বলতে থাকে মালা নিবেন, মালা, বকুল ফুলের মালা। শিশুদের এ মধুর সুরে বকুল মালা বিক্রির ডাক শুনে কেউবা নিজের জন্যে আবার কেউবা প্রিয়জনকে দেয়ার জন্যে আবার অনেকে শিশুদের জন্যেও কিনে নেয় বকুল ফুলের মালা। প্রতিটি মালা বিক্রি হয় স্থান ভেদে ৫/১০ টাকা করে। মালা বিক্রি করা মিশুরা ৫ থেকে ১০ টাকা করে প্রতিটি মারা বিক্রির পর দিন শেষে এক দেরশ’ টাকা যা হয় তাতে ওরা বেজায় খুশী হয়।
মালা বিক্রেতা শিশু আলী হাসান (৮) মানিকগঞ্জের বালিয়াটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩য় শ্রেণীতে পড়ে। সে জানায় লেখাপড়ার খরচ জোগাতে বকুল ফুল কুড়িয়ে মালা গেতে বিক্রি করে সে।
আরেক মালা বিক্রেতা সাটুরিয়ার সুমী (৯) জানায়, প্রতিদিন ২২/ ২৫ করে মালা বেচতে আনি। মালা বিক্রি করে টাকা বাপেরে দিলে ট্যাকা দিয়া আমারে সুন্দর জামা কিনা দিবো।
আরো কয়েকজন মালা বিক্রেতা রিপন, মৌসুমী, ছাদেকসহ মালা বিক্রেতা অন্যশিশুরা জানায়, বকুল ফুলের মালা বিক্রি টাকা তাদের মায়ের কাছে জমিয়ে রাখে। গ্রামের মেলা খেলা ও ধর্মিয় উৎসবে তারা এ টাকায় শখের কেনাকাটার চাহিদা মেটায়।
এ জন্যেই তারা ভোর সকালে ঘুম থেকে উঠে। বকুল গাছের নীচ থেকে ঝড়া বকুল ফুল কুড়ানোর পর বাড়ি গিয়ে সুই সুতার মালা গেঁথে তারপর মালা গাথা শেষ হলে মালা নিয়ে চলে যায় মানিকগঞ্জ বাসটার্মিনালসহ বিভিন্ন স্থানে। মালা হাতে রাস্তায় দাড়িয়ে মালা নিবেন গো ... বকুল ফুলের মালা বলে সুর তুলে ডাকতে থাকে। এমনি কয়েকজন বকুল ফুলের মালা হাতে দাঁড়িয়ে থাকা শিশু মালা বিক্রেতার দেখা মিললো মঙ্গলবার মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার সদর বাসস্ট্যান্ডে। তাদের দেখে স্থানীয় কলেজ পড়–য়া ছাত্র সোলায়মান ও তার বন্ধু জাহিদ। কাছে গিয়ে বকুল মালা নেড়ে চেড়ে দেখে কিনে নিল ৪টি মালা।
মালা বিক্রেতা কয়েকজন মিশুর সাথে কথা বলে জানা গেছে, প্রতিবেশী শিশুরা যখন ঘুমে বিভোর থাকে তখন এসব মালা বিক্রেতা শিশুরা ঘুম থেকে উঠে। চোখ মুছতে মুছতে বাড়ির কাছে অথবা আশে পাশ্বের বকুল গাছের নীচ থেকে ঝড়া বকুল ফুল কুড়ানোর প্রতিযোগীতায় নামে। পুর্ব দিগন্তে লাল সুর্য্য উকি দিলে ফুল কুড়ানোর পালাও শেষ হয় তাদের। কুড়ানো ফুল বাড়ি নিয়ে গিয়ে মা, বোন অথবা পরিবারের অন্যদের সাথে নিয়ে সুই সুতার মালা গাঁথতে ব্যস্ত হয়ে উঠে তারা। মালা গাথা শেষ হলে ২৫/৩০টি মালা নিয়ে চলে যায় বিক্রির জন্য। বিভিন্ন স্থানে ঘুরে সুর তুলে বলতে থাকে মালা নিবেন, মালা, বকুল ফুলের মালা। শিশুদের এ মধুর সুরে বকুল মালা বিক্রির ডাক শুনে কেউবা নিজের জন্যে আবার কেউবা প্রিয়জনকে দেয়ার জন্যে আবার অনেকে শিশুদের জন্যেও কিনে নেয় বকুল ফুলের মালা। প্রতিটি মালা বিক্রি হয় স্থান ভেদে ৫/১০ টাকা করে। মালা বিক্রি করা মিশুরা ৫ থেকে ১০ টাকা করে প্রতিটি মারা বিক্রির পর দিন শেষে এক দেরশ’ টাকা যা হয় তাতে ওরা বেজায় খুশী হয়।
মালা বিক্রেতা শিশু আলী হাসান (৮) মানিকগঞ্জের বালিয়াটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩য় শ্রেণীতে পড়ে। সে জানায় লেখাপড়ার খরচ জোগাতে বকুল ফুল কুড়িয়ে মালা গেতে বিক্রি করে সে।
আরেক মালা বিক্রেতা সাটুরিয়ার সুমী (৯) জানায়, প্রতিদিন ২২/ ২৫ করে মালা বেচতে আনি। মালা বিক্রি করে টাকা বাপেরে দিলে ট্যাকা দিয়া আমারে সুন্দর জামা কিনা দিবো।
আরো কয়েকজন মালা বিক্রেতা রিপন, মৌসুমী, ছাদেকসহ মালা বিক্রেতা অন্যশিশুরা জানায়, বকুল ফুলের মালা বিক্রি টাকা তাদের মায়ের কাছে জমিয়ে রাখে। গ্রামের মেলা খেলা ও ধর্মিয় উৎসবে তারা এ টাকায় শখের কেনাকাটার চাহিদা মেটায়।
খবর বিভাগঃ
ফিচার
ফিচার পাতা
বিশেষ খবর
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়