Sunday, May 19

জুনেই সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ: ইসি

ঢাকা: আগামী জুনেই চূড়ান্ত হচ্ছে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সংসদীয় আসনের সীমানা। তবে সীমানা নির্ধারণকে কেন্দ্র করে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) এখনো চিঠি আসছে।  প্রতিদিন আসছে গড়ে ৩০ থেকে ৪০টি চিঠি। যদিও এরই মধ্যে খসড়া সীমানার ওপর গণশুনানি শেষ করেছে ইসি।

ইসি সূত্র জানায়, এসব চিঠিতে কেউ ইসিকে ধন্যবাদ দিচ্ছেন। আবার কারও চিঠিতে থাকছে তীব্র অসন্তোষ। কেউ বলছেন--ইসির খসড়া সীমানা বাস্তবায়ন হোক। আবার কেউ বলছেন--গত নির্বাচনে যে সীমানা ছিলো দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সেটি-ই বহাল থাকুক।

এরকম ইতিবাচক এবং নেতিবাচক চিঠির পাহাড় জমছে নির্বাচন কমিশনে। এ পর্যন্ত তা হাজার ছাড়িয়েছে। নির্বাচন কমিশন বলছে, সীমানা নির্ধারণ আইনের আওতায় জুনে সবকিছু চূড়ান্ত করা হবে। কোনো আবেদন-নিবেদন কমিশনের কাজে প্রভাব ফেলবে না। তবুও চিঠি আসার কোনই বিরাম নেই। চিঠি আসছে প্রতিদিনই।

সীমানা নির্ধারণ নিয়ে চিঠি আসা সম্পর্কে নির্বাচন কমিশনার মোঃ শাহ নেওয়াজ বলেন, “দাবি ও আপত্তি নিয়ে সবার আবেদন আমরা শুনেছি। এখন সবকিছু পর্যালোচনা করে আইনের আলোকে আগামী মাসে চূড়ান্ত সীমানার গেজেট প্রকাশ করা হবে।”

উল্লেখ্য, গত ২৩ এপ্রিল থেকে ১২ মে পর্যন্ত এ শুনানি চলে।

এদিকে খসড়া সীমানা বহাল রাখার পক্ষে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা আবেদন জানিয়েছেন। এদের মধ্যে নারায়ণগঞ্জের সিদ্দিরগঞ্জ, সোনারগাঁও ও সদর উপজেলার সংসদীয় আসন-৩, ৪ ও ৫ নতুন করে বিন্যাস করায় কমিশনকে অভিনন্দন জানানো হয়েছে। সীমানা বিন্যাসের ফলে প্রশাসনিক ও যোগাযোগের ক্ষেত্রে ভোটারদের সুবিধা হবে বলে স্থানীয়রা চিঠিতে উল্লেখ করেছেন।

পাশাপাশি খসড়া তালিকা চূড়ান্ত করে দ্রুত গেজেট প্রকাশ করতে অনুরোধ জানানো হয়েছে ওইসব চিঠিতে। সম্প্রতি কমিশনে পাঠানো চিঠিতে সিদ্দিরগঞ্জের আওয়ামী লীগ নেতা শহিদুল্লাহ, বিএনপির সফর আলী ভূইয়া ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আজাদ বিশ্বাস কমিশনে আবেদন জানিয়েছেন। একইভাবে পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়া-কাউখালী সংসদীয় আসনের স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা কমিশনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তারা চিঠিতে উল্লেখ করেছেন, খসড়া সীমানা ভান্ডারিয়া-কাউখালী এলাকাবাসীর আকাঙ্খার প্রতিফলন ঘটেছে।

অন্যদিকে খসড়া সীমানা বিন্যাসের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন অনেকেই। এরমধ্যে, কুড়িগ্রাম-৩ ও ৪ আসনের খসড়া সীমানা বিন্যাসের ওপর প্রবল আপত্তি জানিয়েছেন অধিকাংশ আবেদনকারী। এ সীমানা পরিবর্তনের জন্য একজন নির্বাচন কমিশনারকেও তারা সরাসরি দায়ী করেছেন।

ঢাকা-১৫ আসনের এমপি কামাল আহমেদ মজুমদার বর্তমান সীমানা বিন্যাসকে অযৌক্তিক উল্লেখ করে কমিশনে আপত্তি জানিয়েছেন। তিনি জনগণের স্বার্থে ২০০৮ সালের সীমানা বহাল রাখার জন্য কমিশনকে অনুরোধ করেছেন।

২০০৮ সালের সংসদীয় আসনের সীমানা বহাল রাখার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী ও ঢাকা ১৩ আসনের সংসদ সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক ও ঢাকা-১৪ আসনের সংসদ সদস্য আসলামুল হক। এছাড়াও ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেনন ২০০৮ সালের সীমানা বহাল রাখার দাবি জানান। ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন ও ঢাকা-৩ সংসদ সদস্য নসরুল হামিদ বিপুও বিগত সংসদীয় সীমানায় ফিরে যাওয়ার আবেদন জানিয়েছেন।  

নির্বাচন কমিশনের সংশ্লিষ্ট শাখার কর্মকর্তারা জানান, বিন্যাসকৃত ৮৮টি আসনের ওপর সারাদেশ থেকে এক হাজারেরও উপরে দাবি-আপত্তি এসেছে ইসিতে। গত ৬ ফেব্রুয়ারি পুনর্বিন্যাসিত আসনের তালিকাসহ গেজেট প্রকাশ করা হয়। আর এর ওপর আপত্তির সময় ছিল ১০ মার্চ পর্যন্ত।

নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ অধ্যাদেশ, ১৯৭৬ এর ৬ (২) এ বলা আছে, নির্বাচনী এলাকাগুলোর সীমানা, প্রশাসনিক সুবিধার বিষয় বিবেচনাক্রমে তা এমনভাবে চিহ্নিত করতে হবে, যাতে প্রতিটি নির্বাচনী এলাকা-ই একটি নিবিড় এলাকা হয়। এটা করার সময় সর্বশেষ আদমশুমারি রিপোর্ট প্রদত্ত জনসংখ্যার বণ্টনের বিষয় যত দূর সম্ভব, যথাযথভাবে বিবেচনায় রাখতে হবে।

এরইমধ্যে ইসির খসড়া সীমানাকে অসম হিসেবে দাবি করেছে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)। এ ক্ষেত্রে তারা ঢাকা-১৯ (সাভার - আশুলিয়া) আসন এবং গাজীপুর (কোনাবাড়ি) আসনের তুলনা করেছে। এ দুই আসনের ভোটার তারতম্য দেখানো হয়েছে প্রায় সাড়ে ছয় লাখ।

আসানুর

জুনেই সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ: ইসি

ঢাকা: আগামী জুনেই চূড়ান্ত হচ্ছে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সংসদীয় আসনের সীমানা। তবে সীমানা নির্ধারণকে কেন্দ্র করে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) এখনো চিঠি আসছে।  প্রতিদিন আসছে গড়ে ৩০ থেকে ৪০টি চিঠি। যদিও এরই মধ্যে খসড়া সীমানার ওপর গণশুনানি শেষ করেছে ইসি।

ইসি সূত্র জানায়, এসব চিঠিতে কেউ ইসিকে ধন্যবাদ দিচ্ছেন। আবার কারও চিঠিতে থাকছে তীব্র অসন্তোষ। কেউ বলছেন--ইসির খসড়া সীমানা বাস্তবায়ন হোক। আবার কেউ বলছেন--গত নির্বাচনে যে সীমানা ছিলো দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সেটি-ই বহাল থাকুক।

এরকম ইতিবাচক এবং নেতিবাচক চিঠির পাহাড় জমছে নির্বাচন কমিশনে। এ পর্যন্ত তা হাজার ছাড়িয়েছে। নির্বাচন কমিশন বলছে, সীমানা নির্ধারণ আইনের আওতায় জুনে সবকিছু চূড়ান্ত করা হবে। কোনো আবেদন-নিবেদন কমিশনের কাজে প্রভাব ফেলবে না। তবুও চিঠি আসার কোনই বিরাম নেই। চিঠি আসছে প্রতিদিনই।

সীমানা নির্ধারণ নিয়ে চিঠি আসা সম্পর্কে নির্বাচন কমিশনার মোঃ শাহ নেওয়াজ বলেন, “দাবি ও আপত্তি নিয়ে সবার আবেদন আমরা শুনেছি। এখন সবকিছু পর্যালোচনা করে আইনের আলোকে আগামী মাসে চূড়ান্ত সীমানার গেজেট প্রকাশ করা হবে।”

উল্লেখ্য, গত ২৩ এপ্রিল থেকে ১২ মে পর্যন্ত এ শুনানি চলে।

এদিকে খসড়া সীমানা বহাল রাখার পক্ষে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা আবেদন জানিয়েছেন। এদের মধ্যে নারায়ণগঞ্জের সিদ্দিরগঞ্জ, সোনারগাঁও ও সদর উপজেলার সংসদীয় আসন-৩, ৪ ও ৫ নতুন করে বিন্যাস করায় কমিশনকে অভিনন্দন জানানো হয়েছে। সীমানা বিন্যাসের ফলে প্রশাসনিক ও যোগাযোগের ক্ষেত্রে ভোটারদের সুবিধা হবে বলে স্থানীয়রা চিঠিতে উল্লেখ করেছেন।

পাশাপাশি খসড়া তালিকা চূড়ান্ত করে দ্রুত গেজেট প্রকাশ করতে অনুরোধ জানানো হয়েছে ওইসব চিঠিতে। সম্প্রতি কমিশনে পাঠানো চিঠিতে সিদ্দিরগঞ্জের আওয়ামী লীগ নেতা শহিদুল্লাহ, বিএনপির সফর আলী ভূইয়া ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আজাদ বিশ্বাস কমিশনে আবেদন জানিয়েছেন। একইভাবে পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়া-কাউখালী সংসদীয় আসনের স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা কমিশনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তারা চিঠিতে উল্লেখ করেছেন, খসড়া সীমানা ভান্ডারিয়া-কাউখালী এলাকাবাসীর আকাঙ্খার প্রতিফলন ঘটেছে।

অন্যদিকে খসড়া সীমানা বিন্যাসের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন অনেকেই। এরমধ্যে, কুড়িগ্রাম-৩ ও ৪ আসনের খসড়া সীমানা বিন্যাসের ওপর প্রবল আপত্তি জানিয়েছেন অধিকাংশ আবেদনকারী। এ সীমানা পরিবর্তনের জন্য একজন নির্বাচন কমিশনারকেও তারা সরাসরি দায়ী করেছেন।

ঢাকা-১৫ আসনের এমপি কামাল আহমেদ মজুমদার বর্তমান সীমানা বিন্যাসকে অযৌক্তিক উল্লেখ করে কমিশনে আপত্তি জানিয়েছেন। তিনি জনগণের স্বার্থে ২০০৮ সালের সীমানা বহাল রাখার জন্য কমিশনকে অনুরোধ করেছেন।

২০০৮ সালের সংসদীয় আসনের সীমানা বহাল রাখার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী ও ঢাকা ১৩ আসনের সংসদ সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক ও ঢাকা-১৪ আসনের সংসদ সদস্য আসলামুল হক। এছাড়াও ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেনন ২০০৮ সালের সীমানা বহাল রাখার দাবি জানান। ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন ও ঢাকা-৩ সংসদ সদস্য নসরুল হামিদ বিপুও বিগত সংসদীয় সীমানায় ফিরে যাওয়ার আবেদন জানিয়েছেন।  

নির্বাচন কমিশনের সংশ্লিষ্ট শাখার কর্মকর্তারা জানান, বিন্যাসকৃত ৮৮টি আসনের ওপর সারাদেশ থেকে এক হাজারেরও উপরে দাবি-আপত্তি এসেছে ইসিতে। গত ৬ ফেব্রুয়ারি পুনর্বিন্যাসিত আসনের তালিকাসহ গেজেট প্রকাশ করা হয়। আর এর ওপর আপত্তির সময় ছিল ১০ মার্চ পর্যন্ত।

নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ অধ্যাদেশ, ১৯৭৬ এর ৬ (২) এ বলা আছে, নির্বাচনী এলাকাগুলোর সীমানা, প্রশাসনিক সুবিধার বিষয় বিবেচনাক্রমে তা এমনভাবে চিহ্নিত করতে হবে, যাতে প্রতিটি নির্বাচনী এলাকা-ই একটি নিবিড় এলাকা হয়। এটা করার সময় সর্বশেষ আদমশুমারি রিপোর্ট প্রদত্ত জনসংখ্যার বণ্টনের বিষয় যত দূর সম্ভব, যথাযথভাবে বিবেচনায় রাখতে হবে।

এরইমধ্যে ইসির খসড়া সীমানাকে অসম হিসেবে দাবি করেছে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)। এ ক্ষেত্রে তারা ঢাকা-১৯ (সাভার - আশুলিয়া) আসন এবং গাজীপুর (কোনাবাড়ি) আসনের তুলনা করেছে। এ দুই আসনের ভোটার তারতম্য দেখানো হয়েছে প্রায় সাড়ে ছয় লাখ।

আসানুর(ডনি্উজ)

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়