কক্সবাজার: কক্সবাজারের উখিয়ায় অন্তত অর্ধ শতাধিক বাণিজ্যিক বহুতল ভবন নির্মাণে ইমারত আইন মানা হয়নি। বিদেশ ফেরৎ কতিপয় লোক ও এক শ্রেণীর প্রভাবশালী মহল কালো টাকা সাদা করার জন্য তড়িগড়ি করে এসব ভবন নির্মাণ করায় যে কোন মুহুর্তে ভবন ধসসহ মারাত্মক প্রাণহানীর আশংকা রয়েছে। শুধু তাই নয়, তারা এসব ভবন থেকে প্রতি মাসে লাখ লাখ টাকা আয় করলেও কোন ধরনের সরকারী আয়কর ও টেক্স প্রদান করে না। কক্সবাজার উপ-কর কমিশনার (রাজস্ব) ও কাষ্টমস কর্মকর্তাসহ সরকারী আইন প্রয়োগকারী সংস্থার অন্তরিকতার অভাব ও রহস্য জনক মনোভাবকে দায়ী করেছেন সচেতন মহল। ফলে সরকার একদিকে লাখ লাখ টাকার রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন, অপরদিকে ভবন ধ্বসে মারাত্মক প্রাণহানীর আশংকা করছেন সচেতন মহল।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ৯০ দশকের পর থেকে উখিয়া সদর, কোটবাজার, সোনার পাড়া, মরিচ্যা বাজার, কুতুপালং, পালংখালী, থাইংখালী, ইনানী, মোহাম্মদ শফির বিল সহ বিস্তীর্ণ উপকুলীয় এলাকায় এবং প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের খাল, নদী, ডোবা, জলাশয়, পুকুর ও ফসলী জমি ভরাট করে অপরিকল্পিত ভাবে কমপক্ষে অর্ধশতাধিক বহুবতল বাণিজ্যিক ভবন নির্মান করা হয়েছে। দেশীয় অদক্ষ নির্মান শ্রমিকের দাযসারা নকশা ও ডিজাইনের ভিত্তিতে বেশিরভাগ ভবন নির্মান করা হয়েছে। এতে কোন ধরনের সরকারী ইমারত আইন মানা হয়নি। পাশাপাশী এসব ভবন ভাড়া দিয়ে মালিক পক্ষ প্রতি মাসে একেকটি ভবন থেকে লাখ লাখ টাকা ভাড়া হাতিয়ে নিলেও তারা সরকারকে কোন ধরনের আয়কর, টেক্স প্রদান করেনা। মালিক পক্ষ নিজের স্বার্থ সংরক্ষণে ব্যাস্ত থাকায় তারা ভাড়াটিয়াদের সার্বিক নিরাপত্তার জন্য কোন ব্যবস্থা রাখেনি। উপজেলা প্রকৌশলী জামাল উদ্দিন জানান, ভবন নির্মান কাজে নিম্ন মানের উপকরণ ব্যবহার সহ অদক্ষ নির্মান শ্রমিক দ্বারা কাজ করানোর ফলে বেশিরভাগ ভবন মান সম্মত হয়নি। তিনি জানান, সাভারের রান প¬াজা ধ্বসে পড়ার পর থেকে উধর্বত কর্তৃপক্ষের নির্দেশক্রমে এ উপজেলার অধিকাংশ সরকারী ভবনে জরিপ চালিয়ে ২০টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় সহ ৪টি সরকারী দপ্তর ঝুকিপূর্ণ ঘোষনা করা হয়েছে। স্থাণীয়রা জানেয়েছে, সরকারী ঝুকিপূর্ণ ভবন চিহ্নিত করলেও বেসরকারী ভবন চিহ্নিত না করায় বিষয়টি উদ্ধেগ জনক। উখিয়ার ঘাট (বালুখালী) কাষ্টমস কর্মকর্তা নুরুল আলম জানান, উখিয়ার অধিকাংশ বাণিজ্যিক প্রতিষ্টান সরকারী ভ্যাট না দেওয়ার জন্য তথ্য গোপন করে সরকারী রাজস্বের ফাঁকি দিচ্ছে। পাশাপাশী ভাড়ায় চালিত বহুতল ভবনগুলো ভ্যাট আদায়ের আওতায় আনার জন্য সংশি¬ষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবরে লেখা লেখী হওয়ার পর কর্তৃপক্ষ বাণিজ্যিক ভাবে চালিত বহুতল ভবনের তালিকা তৈরীর নির্দেশ দিয়েছেন এবং ইতিমধ্যে তা কার্যকর করা হবে। সরকারী ভ্যাট বা রাজস্ব পরিষদের ব্যাপারে কয়েকজন বহুতল ভবন মালিকের সাথে আলাপ করে জানার চেষ্টা করলে তারা বিষয়টি এডিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। উখিয়া ইপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ সাইফুল ইসলাম জানান, বহুতল ভবন নির্মান ও বাণিজ্যিক ভিত্তিতে চালু রাখার বিষয়টি সংশি¬ষ্ট মন্ত্রনালয় নিযন্ত্রন করে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে স্থাণীয় সরকার মন্ত্রনালয়ের অধীনে ইউনিযন পরিষদ গুলো উক্ত নীতিমালা নিযন্ত্রণ করলেও বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য মন্ত্রনালয়ে লেখা লেখি করা হয়েছে।
(ডিনিউজ)
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ৯০ দশকের পর থেকে উখিয়া সদর, কোটবাজার, সোনার পাড়া, মরিচ্যা বাজার, কুতুপালং, পালংখালী, থাইংখালী, ইনানী, মোহাম্মদ শফির বিল সহ বিস্তীর্ণ উপকুলীয় এলাকায় এবং প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের খাল, নদী, ডোবা, জলাশয়, পুকুর ও ফসলী জমি ভরাট করে অপরিকল্পিত ভাবে কমপক্ষে অর্ধশতাধিক বহুবতল বাণিজ্যিক ভবন নির্মান করা হয়েছে। দেশীয় অদক্ষ নির্মান শ্রমিকের দাযসারা নকশা ও ডিজাইনের ভিত্তিতে বেশিরভাগ ভবন নির্মান করা হয়েছে। এতে কোন ধরনের সরকারী ইমারত আইন মানা হয়নি। পাশাপাশী এসব ভবন ভাড়া দিয়ে মালিক পক্ষ প্রতি মাসে একেকটি ভবন থেকে লাখ লাখ টাকা ভাড়া হাতিয়ে নিলেও তারা সরকারকে কোন ধরনের আয়কর, টেক্স প্রদান করেনা। মালিক পক্ষ নিজের স্বার্থ সংরক্ষণে ব্যাস্ত থাকায় তারা ভাড়াটিয়াদের সার্বিক নিরাপত্তার জন্য কোন ব্যবস্থা রাখেনি। উপজেলা প্রকৌশলী জামাল উদ্দিন জানান, ভবন নির্মান কাজে নিম্ন মানের উপকরণ ব্যবহার সহ অদক্ষ নির্মান শ্রমিক দ্বারা কাজ করানোর ফলে বেশিরভাগ ভবন মান সম্মত হয়নি। তিনি জানান, সাভারের রান প¬াজা ধ্বসে পড়ার পর থেকে উধর্বত কর্তৃপক্ষের নির্দেশক্রমে এ উপজেলার অধিকাংশ সরকারী ভবনে জরিপ চালিয়ে ২০টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় সহ ৪টি সরকারী দপ্তর ঝুকিপূর্ণ ঘোষনা করা হয়েছে। স্থাণীয়রা জানেয়েছে, সরকারী ঝুকিপূর্ণ ভবন চিহ্নিত করলেও বেসরকারী ভবন চিহ্নিত না করায় বিষয়টি উদ্ধেগ জনক। উখিয়ার ঘাট (বালুখালী) কাষ্টমস কর্মকর্তা নুরুল আলম জানান, উখিয়ার অধিকাংশ বাণিজ্যিক প্রতিষ্টান সরকারী ভ্যাট না দেওয়ার জন্য তথ্য গোপন করে সরকারী রাজস্বের ফাঁকি দিচ্ছে। পাশাপাশী ভাড়ায় চালিত বহুতল ভবনগুলো ভ্যাট আদায়ের আওতায় আনার জন্য সংশি¬ষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবরে লেখা লেখী হওয়ার পর কর্তৃপক্ষ বাণিজ্যিক ভাবে চালিত বহুতল ভবনের তালিকা তৈরীর নির্দেশ দিয়েছেন এবং ইতিমধ্যে তা কার্যকর করা হবে। সরকারী ভ্যাট বা রাজস্ব পরিষদের ব্যাপারে কয়েকজন বহুতল ভবন মালিকের সাথে আলাপ করে জানার চেষ্টা করলে তারা বিষয়টি এডিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। উখিয়া ইপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ সাইফুল ইসলাম জানান, বহুতল ভবন নির্মান ও বাণিজ্যিক ভিত্তিতে চালু রাখার বিষয়টি সংশি¬ষ্ট মন্ত্রনালয় নিযন্ত্রন করে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে স্থাণীয় সরকার মন্ত্রনালয়ের অধীনে ইউনিযন পরিষদ গুলো উক্ত নীতিমালা নিযন্ত্রণ করলেও বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য মন্ত্রনালয়ে লেখা লেখি করা হয়েছে।
(ডিনিউজ)
খবর বিভাগঃ
সর্বশেষ সংবাদ
সারাদেশ
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়