মিঠাপুকুর (রংপুর): আম আমাদের একটি অতি পরিচিত ফল। স্বাদে গুণে ভরপুর এই ফলটি ছোট বড় সকলের কাছে প্রিয়। সবচেয়ে সুস্বাদু ফল এটি। পৃথিবীতে প্রায় ৩৫ জাতের আম আছে। এর মধ্যে অন্যতম একটি সুস্বাদু আম হল হাড়িভাঙ্গা। এই আমটি সুস্বাদু আম বাণিজ্যিকভাবে চাষ করে মিঠাপুকুরের পশ্চিম এলাকার লোকজন ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছে। এদের মধ্যে একজন আব্দুস সালাম। হাড়িভাঙা আম প্রেমিক আব্দুস সালাম সরকার গত বছর ১৩ লাখ টাকার আম বিক্রি করে এলাকায় রীতিমত হৈচৈ ফেলে দিয়েছিলেন। এবার আরও বেশি টাকার আম বিক্রি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ইতোমধ্যে স্থানীয় এমপি, উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউএনও সহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা তাঁর বাগান পরিদর্শন করেছেন।
মিঠাপুকুর উপজেলা সদর থেকে ১৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে খোড়াগাছ ইউনিয়নের নিভৃত পল্ল¬¬ী বারঘরিয়া সর্দার পাড়া গ্রাম। এ গ্রামে গিয়ে চোখে পড়বে হাঁড়িভাঙ্গা আম বাগান বেষ্টিত সবুজ ছায়াঘেরা দৃষ্টিনন্দন একটি বাড়ি। নিজের শৈলী দিয়ে আব্দুস সালাম তৈরী করেছেন সরকার ভিলা। সরকারী চাকুরী থেকে অবসর গ্রহনের পর আম বাগান করার নেশা জেঁকে বসে আব্দুস সালাম সরকারের।
চাকুরী করা কালীন অবস্থায় তিনি ১৯৮৪ সালে শখ করে বসত বাড়ী সংলগ্ন এক খন্ড জমিতে আম বাগান করেন। একপর্যায়ে বাগানে বিভিন্ন প্রজাতির আম উৎপাদন শুরু হলে তিনি আকৃষ্ট হন এবং বড় আকারের বাগান করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। কিন্তু চাকুরীরত অবস্থায় বাগানের পরিচর্যা করা সম্ভব না হওয়ায় তিনি ৮ বছর পূর্বেই গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর থেকে উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা হিসাবে অবসর গ্রহণ করেন। বাগান করার পর ১৯৯২ সালে গাছে ফলন শুরু হয়। এর মধ্যে হাড়িভাঙা আমের গুনাবলী দেখে অন্য জাতগুলো স্থানন্তর করে ৮ একর জমিতে বানিজ্যিকভাবে শুরু করেন হাড়িভাঙা আম চাষ। প্রথম বারেই অভাবনীয় সফলতা পেয়েছেন তিনি। সেবার তিনি ৩লাখ টাকায় বাগান বিক্রি করেন। ওই সময় এলাকায় তাঁর এ সাফল্যে হৈচৈ পড়ে যায়। আশপাশের লোকজন তাঁর কাছে হাড়িভাঙা আম চাষের পরামর্শ নিতে আসেন। উপজেলার খোড়াগাছ, ময়েনপুর, রানীপুকুর ইউনিয়নসহ প্রায় প্রতিটি ইউনিয়নে বানিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে বিশ্বখ্যাত হাড়িভাঙা আম।
ফলজ বৃক্ষ প্রেমিক আঃ সালাম ৮ একর জমিতে ২৭ প্রজাতির আম চারা রোপন করে আলোচিত হয়ে ওঠেন। বর্তমানে তার বাগানের প্রায় ৮শ গাছে আম ধরেছে। ২৭ প্রজাতির আমের মধ্যে সর্বাধিক সুমিষ্ট সুঘ্রান যুক্ত আমের নাম “হাড়িভাঙা”। এই আমটি আমাদের দেশে শুধুমাত্র মিঠাপুকুরে চাষ হয়। অবশ্য অন্যান্য জেলা থেকেও লোকজন হাড়িভাঙা আমের চারা এখান থেকে নিয়ে যাচ্ছে। আমটি এতই সুমিষ্টি যে, রাজধানী ঢাকা সহ বিদেশেও হাড়িভাঙা আমের কদর রয়েছে। আঃ সালাম সরকার জানান, গত মৌসুমে তিনি ১৩ লাখ টাকার আম বিক্রি করেছেন। এবার আরও বেশি টাকার আম বিক্রি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বর্তমানে তার বয়স ৭০ বছর হলেও সারাদিন বাগানে সময় কাটান। আব্দুস সালাম এখন এই হাড়িভাঙা আম চাষে অন্যদের উৎসাহিত করার জন্য নিজেই কলম চারা উৎপাদন শুরু করেছেন। এছাড়াও তাঁর বাগানে আড়াই হাজার লটকন চারা রোপন করা হয়েছে। এ বছর শতাধীক গাছে লটকন ধরেছে প্রচুর। গত বছর কৃষি মন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরীও হাঁড়িভাঙ্গা আমের স্বাদ নিতে ছুটে এসেছিলেন মিঠাপুকুরে। তিনিও মিঠাপুকুরের ঐতিহ্য এ হাঁড়িভাঙ্গা আম দেশের সর্বত্র ছড়িয়ে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। ইতোমধ্যে পরিকল্পনা মন্ত্রনালয় সর্ম্পকিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এইচএন আশিকুর রহমান, মিঠাপুকুর উপজেলা চেয়ারম্যান জাকির হোসেন সরকার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহা. হারুন অর রশীদ সহ উর্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ ।(ডিনিউজ)
মিঠাপুকুর উপজেলা সদর থেকে ১৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে খোড়াগাছ ইউনিয়নের নিভৃত পল্ল¬¬ী বারঘরিয়া সর্দার পাড়া গ্রাম। এ গ্রামে গিয়ে চোখে পড়বে হাঁড়িভাঙ্গা আম বাগান বেষ্টিত সবুজ ছায়াঘেরা দৃষ্টিনন্দন একটি বাড়ি। নিজের শৈলী দিয়ে আব্দুস সালাম তৈরী করেছেন সরকার ভিলা। সরকারী চাকুরী থেকে অবসর গ্রহনের পর আম বাগান করার নেশা জেঁকে বসে আব্দুস সালাম সরকারের।
চাকুরী করা কালীন অবস্থায় তিনি ১৯৮৪ সালে শখ করে বসত বাড়ী সংলগ্ন এক খন্ড জমিতে আম বাগান করেন। একপর্যায়ে বাগানে বিভিন্ন প্রজাতির আম উৎপাদন শুরু হলে তিনি আকৃষ্ট হন এবং বড় আকারের বাগান করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। কিন্তু চাকুরীরত অবস্থায় বাগানের পরিচর্যা করা সম্ভব না হওয়ায় তিনি ৮ বছর পূর্বেই গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর থেকে উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা হিসাবে অবসর গ্রহণ করেন। বাগান করার পর ১৯৯২ সালে গাছে ফলন শুরু হয়। এর মধ্যে হাড়িভাঙা আমের গুনাবলী দেখে অন্য জাতগুলো স্থানন্তর করে ৮ একর জমিতে বানিজ্যিকভাবে শুরু করেন হাড়িভাঙা আম চাষ। প্রথম বারেই অভাবনীয় সফলতা পেয়েছেন তিনি। সেবার তিনি ৩লাখ টাকায় বাগান বিক্রি করেন। ওই সময় এলাকায় তাঁর এ সাফল্যে হৈচৈ পড়ে যায়। আশপাশের লোকজন তাঁর কাছে হাড়িভাঙা আম চাষের পরামর্শ নিতে আসেন। উপজেলার খোড়াগাছ, ময়েনপুর, রানীপুকুর ইউনিয়নসহ প্রায় প্রতিটি ইউনিয়নে বানিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে বিশ্বখ্যাত হাড়িভাঙা আম।
ফলজ বৃক্ষ প্রেমিক আঃ সালাম ৮ একর জমিতে ২৭ প্রজাতির আম চারা রোপন করে আলোচিত হয়ে ওঠেন। বর্তমানে তার বাগানের প্রায় ৮শ গাছে আম ধরেছে। ২৭ প্রজাতির আমের মধ্যে সর্বাধিক সুমিষ্ট সুঘ্রান যুক্ত আমের নাম “হাড়িভাঙা”। এই আমটি আমাদের দেশে শুধুমাত্র মিঠাপুকুরে চাষ হয়। অবশ্য অন্যান্য জেলা থেকেও লোকজন হাড়িভাঙা আমের চারা এখান থেকে নিয়ে যাচ্ছে। আমটি এতই সুমিষ্টি যে, রাজধানী ঢাকা সহ বিদেশেও হাড়িভাঙা আমের কদর রয়েছে। আঃ সালাম সরকার জানান, গত মৌসুমে তিনি ১৩ লাখ টাকার আম বিক্রি করেছেন। এবার আরও বেশি টাকার আম বিক্রি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বর্তমানে তার বয়স ৭০ বছর হলেও সারাদিন বাগানে সময় কাটান। আব্দুস সালাম এখন এই হাড়িভাঙা আম চাষে অন্যদের উৎসাহিত করার জন্য নিজেই কলম চারা উৎপাদন শুরু করেছেন। এছাড়াও তাঁর বাগানে আড়াই হাজার লটকন চারা রোপন করা হয়েছে। এ বছর শতাধীক গাছে লটকন ধরেছে প্রচুর। গত বছর কৃষি মন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরীও হাঁড়িভাঙ্গা আমের স্বাদ নিতে ছুটে এসেছিলেন মিঠাপুকুরে। তিনিও মিঠাপুকুরের ঐতিহ্য এ হাঁড়িভাঙ্গা আম দেশের সর্বত্র ছড়িয়ে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। ইতোমধ্যে পরিকল্পনা মন্ত্রনালয় সর্ম্পকিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এইচএন আশিকুর রহমান, মিঠাপুকুর উপজেলা চেয়ারম্যান জাকির হোসেন সরকার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহা. হারুন অর রশীদ সহ উর্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ ।(ডিনিউজ)
খবর বিভাগঃ
সর্বশেষ সংবাদ
সারাদেশ
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়