Tuesday, May 28

উজিরপুর উপজেলা আইনশৃঙ্খলা সমন্বয় সভায় হাতাহাতি


বরিশাল: বরিশালের উজিরপুর উপজেলা আইনশৃঙ্খলা সমন্বয় সভায় উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বাদল ও স্থানীয় সাংসদ মনিরুল ইসলাম মনির বাকবিতন্ডা হয়েছে। এক পর্যায়ে হলরুম থেকে উপজেলা চেয়ারম্যান বের হলে সাংসদ মনির পুত্র রিয়াজুল ইসলাম সুমন উপজেলা চেয়ারম্যান জাসদ নেতা আবুল কালাম বাদলকে মারার জন্য উদ্যত হলে স্থানীয় লোকজন বাদলকে সরিয়ে নেয়। এ ঘটনা উপজেলা সদরে ছড়িয়ে পড়লে মুহুর্তের মধ্যে হাজার হাজার জনতা জড়ো হয়ে সাংসদ মনি ও তার পুত্রের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা করে। এক পর্যায়ে বরিশাল - ২ উজিরপুর-বানারীপাড়া এলাকার সাংসদ মনিরুল ইসলাম মনিকে প্রায় ৩ঘন্টা অবরুদ্ধ করে উপজেলা পরিষদ চত্বরে ঝাড়– মিছিল করেছে ক্ষুব্ধ বাদল সমর্থকরা। 
উজিরপুর থানা পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে হিমসিম খাওয়ায় বরিশাল পুলিশ সুপার এসানুল হক উজিরপুরে এসে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে বসে এম.পি মনি ও উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদকে নিয়ে ঘটনাটি নিবৃত্ত করার চেষ্টা চালালেও তার উপস্থিতিতে সাংসদ পুত্র রিয়াজুল ইসলাম সুমন ও সাংসদ মনির সাথে উপজেলা চেয়ারম্যান বাদলের সাথে হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে। পুলিশ সুপার এহসানুল হক উভয় পক্ষকে শান্ত থাকার অনুরোধ করে উজিরপুর ত্যাগ করেন। বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার জন্য থানা পুলিশকে নির্দেশ দেন। উপজেলা চেয়ারম্যান বাদলের সাথে অপ্রতিকর ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়লে বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন এমপির মনির বিরুদ্ধে মিছিল নিয়ে উপজেলা চত্বরে এসে ঘেরাও করে রাখে। ওই সময় তারা সাংসদ মনির পদত্যাগসহ তার দূর্নীতির বিরুদ্ধে বিভিন্ন শে¬াগান দেয়। তখন মনি ও তার পুত্র সুমন প্রায় ২০গজ ভিতরে ইউএনও অফিসে অবস্থান করছিল। বাদলের উপর হামলার ঘটনার বিচারের দাবীতে ক্ষুব্ধ জনতা এক পথসভা করে। 
সভায় বক্তব্য রাখেন, শংকর মজুমদার, রিয়াজ মিয়া, কাউন্সিলর সোহেল হাওলাদার, মনিরুজ্জামান লিখন প্রমূখ। বক্তরা উজিরপুরের উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ডে বাধা দেয়া সাংসদ মনি ও তার পুত্রের বিরুদ্ধে কঠোর আন্দোলন করবেন। উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বাদল জানিয়েছেন, উজিরপুরের অসহায় মানুষদের জন্য কিছুদিন আগে মন্ত্রনালয় থেকে টি.আর ও কাবিখার মালামাল বিশেষভাবে বরাদ্দ আনা হয়। এ ঘটনা সাংসদ মনি’র পছন্দ না হওয়ায় তিনি মন্ত্রীর সাথে দেখা করে তা বাতিল করে দেয়। বিষয়টি জানার পর উপজেলা আ’লীগের সভাপতি, সম্পাদক ও ৯টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানসহ মন্ত্রীরসাথে দেখা করে বাতিল হওয়া প্রকল্প সম্পর্কে জানতে চাইলে সেখান থেকে জানানো হয় এমপি সাহেব ওই বরাদ্দ বাতিল করিয়েছেন। এছাড়া সাংসদ মনি ও তার পুত্র বিভিন্ন সময় জন প্রতিনিধিদের কাছ থেকে বিভিন্ন প্রকল্পের কমিশন নেয়ার চেষ্টা চালায় এসব ঘটনার প্রতিবাদ করায় পিতা-পুত্র ক্ষুব্ধ হয়ে উপজেলা আ’লীগ ও জন প্রতিনিধিদের উপর নানাভাবে হয়রানি করার হুমকী দেয়।(ডিনিউজ)

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়